আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন করে মানসিক ও অর্থনৈতিক কষ্ট দেয়ার চক্রান্তের নাম হলো ‘অ্যানথ্রাক্স’। বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু ইত্যাদির পরে এখন অ্যানথ্রাক্স একটি নতুন চক্রান্ত।



বেসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স রোগের আক্রমণ ঘটে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া তার চতুর্দিকে একটি স্পোর অর্থাৎ এক ধরনের শক্ত আবরণ তৈরি করে রাখে বলে মাটিতে বহু বছর বেঁচে থাকতে পারে। এই জীবাণু থেকে অ্যানথ্রাক্স রোগের বিস্তার বা আক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা তখনই থাকতে পারে যখন মানুষের শরীরে সরাসরি প্রবেশ করে। মানুষ এই স্পোর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সাধারণতঃ তিনটি উপায়ে। এক. একই সাথে যদি হাজার হাজার স্পোর শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে।

দুই. যে প্রাণী অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে সে প্রাণীর গোস্তে জীবাণু থাকলে এবং ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খেলে। তিন. সরাসরি জীবাণুর সংস্পর্শে গেলে অর্থাৎ কেটে যাওয়া কোন অংশে স্পোর লাগলে। উল্লেখ্য, এই তিন পদ্ধতির যে কোন একটি বা দুটি অথবা তিনটি সংঘটিত হলেই যে রোগে আক্রান্ত হবে এমন নয়। অ্যানথ্রাক্স কখনো ছোঁয়াচে নয় এবং এটা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। আর ইসলাম-এ ছোঁয়াচে বলে কোন রোগ নেই।

কোন রোগকে ছোঁয়াচে বলে বিশ্বাস করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। অথচ তথ্য বিভ্রাট ঘটানো হচ্ছে এভাবে যে, ‘মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে যারা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গোস্ত খাবে এবং নাড়াচাড়া করবে’। অথচ গোস্ত ভালোভাবে সিদ্ধ হলে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকে না এবং কাটা অংশে জীবাণুর সরাসরি সংস্পর্শ ছাড়া আক্রান্ত হয় না। এ তথ্যগুলো কৌশলে গোপন করা হচ্ছে। যদি জীবাণু চামড়ার অন্ত্রে এবং ফুসফুসে না যায় তবে রোগে আক্রান্ত হয় না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ যাবৎ ৩২৭ জন লোক অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে। আর গরু আক্রান্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গে প্রায় ৩০০টির মতো। অথচ হঠাৎ করেই গরু জবাই বন্ধ হয়ে গেলো, গোস্ত কেনার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হলো। পোশাক শিল্পে বাইরের হস্তক্ষেপে শ্রমিক অসন্তোষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের কোন ধারণাই ছিল না। অনেক লেখালেখির পর সরকার বলতে শুরু করেছে, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা হবে’।

অর্থাৎ একটি বিশেষ গোষ্ঠী এদেশের শিল্পগুলোকে নষ্ট করে অন্য দেশমুখী করার চেষ্টা করছে- এ বিষয়টি সরকারের নজরে আসে অনেক পরে। তবে ততোদিনে বিস্তর ক্ষতি হয়ে গেছে। আর চিহ্নিত শত্রুদের খুঁজে বের করতে না পারার কারণে অথবা উদাসীনতার জন্য এদেশের পোল্ট্রি ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে একই ধাঁচে কুরবানী ঈদের প্রাক্কালে অ্যানথ্রাক্স নিয়ে তথ্যসন্ত্রাসের নেপথ্যে রয়েছে গবাদি পশুর ব্যবসা নষ্ট করে দেয়া। কুরবানী ঈদে মুসলমানদের গরু কুরবানী থেকে বিরত রাখা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.