আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘নতুন ব্লগার’ এই স্টিগমা থেকে কবে মুক্তি? নতুন ব্লগাররা কি এইচআইভি ভাইরাস বহন করে!?



ব্লগ বিশেষ করে সামুর মতো এমন বাংলা ব্লগ আছে বলে আমার কোন ধারনাই ছিল না। এতো বৈচিত্র্যময় লেখা! সাইটটি এবং এর বিচিত্রতা আমাকে অভিভূত করল। সদস্য না হয়ে আর পারলামনা। তারপর ক্রমশ আমার এই মোহাচ্ছন্ন ভাব কেটে যাচ্ছে বোধহয়। অনেকদিন ধরে ’ওয়াচ’ স্ট্যাটাস গায়ে লেবেলের মতো সেঁটে আছে কিছুতেই এটাকে সরাতে পারছিনা।

অবশ্য আন্তরিক ্ও নিরলস চেষ্টার অভাব্ও আছে আমার। সময়য়্ও কম এখানে দেবার মতো। অবসাদ, একাকিত্ব ্ও মানসিক বির্পযস্ত ভাব থেকে মুক্তি প্ওায়া এবং যন্ত্রনাদায়ক সময়কে একটু ভালোভাবে পাড় করাই এখানে আসার মূল ল্য ছিল। কোন লেখা পড়ে মন্তব্য করতে গেলেই দেখি লেখা- দুঃখিত আপনি এখানে মন্তব্য করতে পারবেন না। মহামেজাজ খারাপ হয়।

আপনি নতুন ব্লগার- এই কথাটাকে রাজাকার, ভাদাকার, কেপি, লোল এইসবের চেয়ে অনেক খারাপ গালি মনে হয়। মনে হয় আর্মিতে ভর্তি হয়েছি এবং এটা কোন মুক্ত চিন্তার ব্লগ না। কবে প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা উঠবে তারপর আমি অন্যের লেখায় মন্তব্য করতে পারব! এই ফিল্টার কার মাথা দিয়ে বের হইছে... মাবুদ জানে! আরে বেকুবের দল-ফাডিং, ব্লগের শান্তি ্ও পরিবেশ কিভাবে নষ্ট করে এইডা নতুনদের জানার কথা না। যারা পুরান পাপী তারাই আবার নতুন হয়ে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করে, তারপর একদিন ভাগে। কিন্তু যারা এর বাইরে তারা কেন এর শিকার হবে?! আমার জন্য লেখা কঠিন।

আর আমার লেখা ভাল হলে সবাই তো আমার লেখাতেই কমেন্ট করবে। আমার আর তখন অন্যদের লেখা পড়ার আর সময়ই থাকবে না। আর কমেন্ট! অংশগ্রহণ একটি বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। যা প্রতিভা বিকাশের একটা অপরিহার্য শর্ত। আপনাদের মনে হয় সবারই ‘তারে জমিন পার’ দেখা আছে.. যেখানে একজন স্টিগমাটাইজড শিশুকে কেবল একটি বৈদ্যুতিক সুইচ অন করানোর মাধ্যমে কিভাবে এক বিশাল সৃষ্টিশীলতার জগতে নিয়ে য্ওায়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত তার কি অভাবনীয় বিকাশ ঘটল।

মনে হয় আমি নতুন ব্লগার হয়ে বিশাল পাপ করে ফেলেছি, যেন এইচআইভি ভাইরাস বহন করছি! কাজেই সবার কাছে অনুরোধ- কিভাবে এই ‘নতুন ব্লগার’ লেবেলিং থেকে মুক্তি পাবো পথ বাতলে দিন। আর কর্তৃপক্ষরে ( মডু না কি যেন কয়?) নিকট বিনীত নিবেদন- আমারে এই ‘নতুন’ স্টিগমা থেকে মুক্তি দিয়া বুড়োভামদের ( আশাকরি এখানে আপনারা নাই) শায়েস্তা ও উচ্ছেদ করার সুযোগ দিয়ে নতুনদের নতুন দিন উন্মোচন করার সুযোগদানে হুজুরের মর্জি হয়। ইতি আপনার একমাত্র অনুগত ব্যাক্কল ব্লগার। একটা জিনিস খেয়াল করলাম- মেয়ে ব্লগারদের লেখা যেমন তেমন হইলেও তা অসংখ্যবার পড়া হয় এবং কমেন্ট ও করা হয়, বেহুদা প্রসংশ্ওা করা হয়। যারা এইগুলা করে তাদেরই লোল বলা হয় না কি? আবার আসলে মেয়ে ব্লগার হয়ে আসবো বলে ভাবছি।

নতুন ব্লগার হিসেবে ভুল কমা করার হুমকি দিচ্ছি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.