আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পানি না পাওয়ার ক্ষোভে বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও !!!!!!!

তাশফী মাহমুদ

দিনাজপুর, সেপ্টেম্বর ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে এর জন্য বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে দায়ী করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মঙ্গলবার দুই ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে সহস্রাধিক গ্রামবাসী। বেলা ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টায় কর্মসূচি পালন করে তারা। এরপর এক সমাবেশে তারা হুমকি দেয়, সমস্যার সুরাহা না হলে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৪টি পানির পাম্পের লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ১৪টি গভীর নলকূপের কারণে দুধিপুর, তেলি পাড়া, ইছবপুরসহ আশপাশের গ্রামে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অগভীর নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।

সেইসঙ্গে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আশপাশের গ্রামগুলো কোনো ধরনের বিদ্যুৎ সুবিধাও পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ জানায় গ্রামবাসী। দুধিপুর পানি-বিদ্যুৎ সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের পাম্পগুলোর কারণে গ্রামগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। খাবার পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। " কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ারুল হক বলেন, "এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই। এ কারণে পানি ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে গ্রামবাসী।

" তিনি জানান, তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যার সুরাহা করতে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। গ্রামবাসী লাঠি মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ হালদার সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন। তিনি বৈঠকে জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে গ্রামবাসীর দাবির কথা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া পল্ল�ী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মাধ্যমে দুধিপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ও পল্ল�ী উন্নয়ন একাডেমি ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পানি সঙ্কট সমাধানেরও সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে বৈঠকের পরও গ্রামবাসী ২৬ অক্টোবরের কর্মসূচির সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানের কথা জানায়। বিশ্বনাথ হালদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। " জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খবিরউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রায় এক বছর আগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে পাম্প বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় পাম্প স্থাপন করা সম্ভব হয় নি। " বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু'টি ইউনিট বন্ধ এদিকে যান্ত্রিক ত্র"টির কারণে ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন্ কয়লাভিত্তিক এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। গত সোমবার ভোর ৬টার দিকে ১ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় দেড়ঘণ্টা পর ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী বশ্বনাথ হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "যান্ত্রিক ত্র"টির কারণে ইউনিট দু'টি বন্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ইউনিট দু'টি চালুর করার জন্য কাজ করছেন। " যান্ত্রিক ক্রুটিটি 'জটিল' জানালেও কী ধরনের ক্রুটি এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। বর্তমানে ভালভ পরিবর্তনের কাজ চলছে বলে জানান বিশ্বনাথ। তবে কবে নাগাদ ইউনিট দু'টি চালু করা যাবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.