আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদের হাসিতে ভাঙবে ঈদের খুশির বাঁধ



আজ বিকেল থেকে আকাশ হবে পরম আরাধ্য। কারণ, আকাশের গায়ে যে চাঁদ উঠবে, তা নিয়ে আসবে আনন্দের বার্তা। আজ বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখা গেলে রোজা হবে ২৯টি এবং ঈদ হবে শুক্রবার। আজ চাঁদ না দেখা গেলে ৩০ রোজা শেষে শনিবার হবে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। তাই ঈদ শুক্রবার হবে, না শনিবার—তা নিয়ে একটু আনন্দময় অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।

কারণ, চাঁদের হাসিতেই ভাঙবে ঈদের খুশির বাঁধ। দিনটি ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ নির্বিশেষে সবাইকে এককাতারে দাঁড় করায়। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, ইসলামের সাম্যের এক বড় বিজ্ঞাপন এই ঈদ। ইসলাম ধর্মের দুই ঈদের মধ্যে এক মাসের রোজার কারণে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি-আয়োজন নজর কাড়ে। গত এক মাস ছিল সংযমের।

আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় রোজা পালন করেছে কোটি মানুষ। ঘরে ঘরে, মসজিদে-মক্তবে করা হয়েছে কোরআন খতম। ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি ছিল সবার জন্য নতুন পোশাক-সংস্থানের চেষ্টা। নিজের আর প্রিয়জনের জন্য সাধ্যমতো পোশাক-আশাক কেনার আনন্দই বা কম কিসের! সবশেষে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে বহু কষ্টে বাড়ি ফেরার আয়োজন। পুরো একটি মাস যেন আবর্তিত হয়েছে এই ঈদকে ঘিরে।

এখন অপেক্ষা কেবল ঈদের চাঁদের। চাঁদ দেখতে আছে সরকারি উদ্যোগ-আয়োজন। চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা, সিদ্ধান্ত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে সভায় বসবে চাঁদ দেখা কমিটি। চাঁদ দেখা গেলে সরকারি ঘোষণার সমান্তরালে বাজবে সাম্যের কবি নজরুলের অমরগাথা—‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ...’। পাড়া-মহল্লায় মসজিদের মাইকে ভেসে আসবে ঈদ মোবারক ধ্বনি।

জানিয়ে দেওয়া হবে ঈদের জামাতের সময়সূচি। ঘরে ঘরে শুরু হবে সাধ্যমতো উপাদেয় খাবারের আয়োজনের তোড়জোড়। ‘সেমাইয়ের ঈদ’ নামে প্রচলিত এই ঈদে নানা রকম সেমাইয়ের সঙ্গে থাকবে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, পোলাও, কোরমাসহ মুখরোচক খাবারের আয়োজন। বিশেষ আয়োজন থেকে বাদ যাবে না রোগী, চিকিৎসাধীন বন্দী বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মীরাও। রোগীদের জন্য হাসপাতালে, এতিমদের জন্য এতিমখানায় ও বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে প্রথাগতভাবে।

সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে খাবার ও বিনোদনের বিশেষ ব্যবস্থা। ঈদ উপলক্ষে বড় শহর ও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোও সাজছে উৎসবের রূপে। রাজধানীতে বনানী থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক-খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হবে। ঈদের দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনগুলোতেও আলোকসজ্জা করা হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।