আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূল্যবোধ ভিত্তিক পারিবারিক শিক্ষার অভাব, হাজারো ঐশী তৈরীতে ভীনদেশী সাংস্কৃতির প্রাদুর্ভাব।

গ্রামীণ সমাজের বাস্তবতা আর অশ্লীলতার বিপক্ষে অবস্থান।

এখানে নির্দিষ্ট কোন অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সন্তান বখে যাওয়া লেখার মূল উদ্দেশ্য নয় যদি তাই হতো তাহলে সন্তানের হাতে পুলিশ কর্মকর্তা খুন হতেন না। যেখানে উনারাই অপরাধ দমনের অন্যতম হাতিয়ার, আইনের প্রয়োগকারী। কিছুদিন আগে একজন উর্ধতন দ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুড়িয়ে মেরেছে সন্ত্রাসীরা , তাহলে উনার কি অপরাধ ! উনার সন্তান তো এমন ছিলেন না! এখানে একজন বাবা তার সন্তানকে একজন মা তার সন্তানকে বিরত রাখতে চেয়েছিলেন উৎশৃংখল জীবন যাপন থেকে। যেখানে প্রতিটি মা বাবাই চায় সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জল হউক, সেখানে ঐশীর মা বাবা কি জানতেন সন্তানের হাতেই জীবন দিতে হবে তাদেরকে।

যেখানে নস্ট হওয়ার জন্য হাজারো উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পুরোটা সমাজ জুড়ে। এখন আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে সেই উপাদান গুলো কি কি, প্রতিকারের উপায়ও বা কি। সন্তান যন্ত্র দানবে পরিনত হওয়ার পেছনে যৌথ পরিবার পদ্ধতির বদলে একক পরিবার ব্যবস্থা এখানে সব চাইতে দায়ী বলে আমি মনে করি। যেখানে সন্তানকে নির্দষ্ট গন্ডীর ভিতরে খাঁচায় পোষা হয়। যা খোলা আবহাওয়ার অপক্ষা তাকে অপরাধী মন তৈরীতে সাহায্য করে।

অনেক সময় সন্তানের বায়না রক্ষার্থে অন্যায় আবদরের কাছে নতিস্বীকার করতে হয়, সময় আর পরিবেশের দোহাই দিয়ে। কিন্তু আপনাকে বিরত রাখবে কে, কে দিবে উপদেশ, মানুষের আলোচনা সমালোচনা থেকে বাঁচবার সুযোগ কোথায়। আপনি এমন এক খাঁচায় আবদ্ধ পাখি, আপনি এমন এক গন্ডির ভিতরে বাস করেন যেখানে ফকির ভিক্ষা চাইতে যাওয়ারও সাহস রাখে না! সন্তান হাতদ্বারা ফকিরকে ভিক্ষা দিলে মানবের প্রতি মমত্ববোধ সৃস্টি হয়। ঐশীর মা বাবা না হয় খারাপ , ওর দাদা দাদী , চাচা চাচি, পুফু, আপনজন ওরাও কি খারাপ!!! ওর দাদা দাদী যখন নামাজ পড়ত ও পাশে বসে দেখত, আল্লাহর কালামের প্রভাব তার উপর পরতো। মা বাবা জীবিকার তাগিদে বাইরে গেলেও ও থাকতো তাদের কোলের পরশে, শুনতো মহান মানুষের জীবন কাহিনী।

ওর খারাপ স্বভাব দেখলে ওর চাচাচাচী অনেক আগেই বাধা হয়ে দাড়াতো। আত্বীয়স্বজনের সমালোচনার মুখে ও বিরত থাকতে থাকতে বাধ্য হত। অথছ পুরো পরিবারকে ঠকিয়ে অট্টালিকায় বাসা বেঁধেছেন, অন্যের উন্নতি দেখে প্রতিযোগীতায় অবতীর্ন হয়ে প্রাচুর্য্য গড়ার স্বপ্ন আপনাকে এমন এক গভীর খাদে নিপতিত করবে যেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবন কম। স্ত্রীর মনবাঞ্ছা পূরণ করতে ইচ্ছা না থাকা স্বত্বেও অন্যায় পথে পা বাড়াতে হয়েছে অনেক হাসবেন্ডকে। পিতার মৃত্যুতে মিলাদ পড়াবার সময় নেই সন্তানের স্কুলে পরীক্ষা , যে স্কুলে পড়ানো হয় ওসব স্কুলে সারাবছর পরীক্ষা লেগেই থাকে কারন এগুলো তাদের ব্যবসা।

বাচ্চার ওজনের চাইতেও বইয়ের ওজন বেশী! আমি নিশ্চিত যে স্কুলের পরীক্ষা পিতার মিলাদ আর অন্তুষ্টিক্রিয়ার অন্তরায় সে স্কুলে আতিউর রহমান তৈরী হবে না, যে কিনা গভর্নরের চেয়ারে বসে তার অতীতকে ধরে রেখেছেন, ভুলেননি তার গ্রামের স্কুলের কথা। আপনার সন্তান হলমার্কের জেসমিন হবার অপক্ষায় অপক্ষা করুন। হয়তো বড় কোন আর্কিটেক্ট হবে আর উনার টেক্টএর কল্যাণে ভবন ধসে হাজারো মানব সন্তানের রক্তে রঞ্জিত হাত জাতির ইতিহাসে এক কলংকিত অধ্যায় রচনা করবে। ঐশীদের একমাত্র সম্বল টিভি আর মোবাইল ফোন। বাচ্চাকে আদর যত্নে গড়ে তোলার পরিবর্তে তাকে কার্টুন ছবির সামনে বসিয়ে রাখা হয় যা কিনা মার ডাংয়ায় ভরপুর আর ভীনদেশী ছবিতো এমনিতেই খুন খারাবীর পাঠশালা, কোন পদ্ধতিতে মারলে তাড়াতাড়ী জীবন যাবে ওটা কোন ডাকাতের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে হয় না বরং আরো সূক্ষ কলাকৌশল শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে।

ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। টিভিতে নগ্ন ছবির দৃশ্য দেখার পাপাপাশি মায়ের অর্ধনগ্ন চেহারা যদি কমপেয়ার করতে শেখায় কে তার আদর্শ মা নাকি ঐ নগ্ন অভিনেত্রী। তাহলে দোষ কাকে দিবেন ? বডির ফিটনেস ধরে রাখতে বাচ্চাকে বুকে দুধ খাওয়ানো হয় না। পার্টি সোর নাম করে বাইরে ঘুরে বেড়ানোর আড়ালে সন্তানকে তুলে দেয়া হয় পয়সার বিনিময়ে কোন আয়া বুয়ার কাছে। অথচ বুকের দুধের সহিত সন্তান ও মায়ের এক অলৌকিক সম্পর্ক লুকিয়ে আছে।

নিজের সন্তানকে স্ট্রেচারে বসিয়ে কুকুরের বাচ্চাকে কোলের পরশে বিদেশিনী সাজার প্রবণতা ভবিষ্যত প্রজম্মের কাছে কি আশা করা যায়। কুকুরের আচরন না মানুষের আচরন। অথচ মানুষ হচ্ছে সৃস্টির সেরা জীব। খোদার শোকর গোজারী এক মহান সৃস্টি যারা অন্যের দৃষ্টান্ত হবে, থাকবে নিরঅহংকার মানব দরদী। ঐশীদের যেখানে আটকিয়ে রাখা হয় সেই ঘরের টিভিতে কি এমন কোন অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় যেখানে মাদকের ভয়াবহতার ক্ষতিকর দিকগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

কি ভাবে মাদক একটা জীবনকে নস্ট করার পাশাপাশী একটা পরিবার ও সমাজকে নস্ট করে দেয়। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর বয়সের সীমা কি নির্ধারন করা আছে!!! সিক্স সেভেনের ছেলে মেয়ের হাতে মোবাইল ফোন কেন? কার সাথে কথা হয়, কি দেখা হয় আপনি কি জানেন, কখনো কি দেখেছেন ওর মেমোরীকার্ডে কি ডাউনলোড করা আছে। কম্বল মুড়ী দিয়ে যদি ব্লু ফ্লিম দেখা হয় আপনি কি করবেন। কম্পিউটারে রাত দুটো পর্যন্ত কি শেখা হয়, দিনের বারোটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার নাকি রোগের আগমন। আপনি উৎসাহ দিয়ে চায়ের পেয়ালা ধরিয়ে দিচ্ছেন, বাহ বাহ আদর্শ সন্তানের আশা করেন!!! অথচ রাসুল বলেছেন তাড়াতাড়ী ঘুমাও ভোরে উঠো।

একবার ট্রাই করে দেখুন না মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভর করতে হবে না সৃজনশীলতা এমনিতেই প্রকাশ পাবে। আপনি যখন টিভির চ্যানেল পাল্টাচ্ছেন আপনার পাশের রুমে আপনার মেয়ে ছেলে বন্ধুটির সহিত দরজা বন্ধ করে পড়া শেয়ার করছেন নাকি অন্য কিছু ,উকি দিয়ে দিয়ে কি কখনো দেখেছেন আসলে কি করা হচ্ছে, দরজা কেন বন্ধ!!! অথচ পরস্পর দুটি বিপরিত চরিত্রের আকর্ষণ যা প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করছে দুজনকে। মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপণে অর্ধ নগ্ন হয়ে ছেলেমেয়েরা এক সাথে নাচানাচি করে কম্পানীর বাজার চাঙ্গা করছে। ছেলে মেয়ে নগ্ন হয়ে এক সাথে নাচানাচির সাথে মোবাইল ফোনের বাজারজাতের সম্পর্ক কি? এখানে অসমলিঙ্গের বন্ধুত্বের গান শুনানো হচ্ছে, যারা মডেল হয়ে নীতিবাক্য শুনাচ্ছে তাদের ব্যক্তিজীবন কত নোংরা যা কল্পনাও যায় না। বন্ধুত্বের আসল সঙ্গা কি? বন্ধুত্বের আগমনের যে কত রুপ যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।

কখনো সাহায্যকারী , কখনো সেবিকা, কখনো উপদেশক , নারীর বন্ধু নারী , পুরুষের বন্ধু পুরুষ হতেই পারে, তা যদি বিশ্বাস আর শ্রদ্ধ্যার ভিত্তিতে হয়। তা না হয়ে অবিবাহিত নারীর পুরুষ বন্ধু¡ কি করে সম্ভব!!! যেখানে প্রকৃতি প্রদত্ত এক আকর্ষনীয় শত্রু“ লুকিয়ে আছে যা কিনা প্রতিনিয়ত কাছে পাবার উদগ্র বাসনা আর উত্তেজনার সুরসুরি দেয়! মূল্যবোধ বলছে শরীর ঢেকে রাখতে অথছ আপনি হাতাকাটা ফ্রগ, ব্লাউজ আর র্স্কাট পরে সন্তানের সামনে উরু উচিয়ে টাইটফিট জামা জড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর আপনার বন্ধু মৌমাছিরা চারিদিকে ভণভণ করছে। অথচ কথা ছিল চাকুরী বাকুরী করলেও স্বামীর সংসারের আমানতদার হিসেবে সূখে দু:খে তাদের পাশে দাড়াবেন দৃষ্টান্ত হবেন সন্তান ও পরিবারের। যদি নামাজ পড়তেন আপনার ও পরিবারের দেখাদেখি আপনার সন্তান প্রভাবিত হয়ে নামাজ পড়তো । পরিবার প্রথায় বিশ্বাসী হলে কোন বন্ধু ভাল, আর কার কি মতলবে আগমন আপনাদের অগচোরে পরিবারের কারো না কারো চোঁখে পড়ে যেত।

আপনার সন্তান থাকতো নিরাপদ আপনি স্বস্তিতে ঘুমোতে পারতেন। রাসুল বলেছেন আত্বীয়তার সাথে সম্পর্ক ছীন্নকারী আমার উম্মত নয়। নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (আল কোরআন) ধর্ম বলে মূল্যবোধ হচ্ছে সংসার জীবনের ভিত্তি। সিগারেটের দোকান খুলে সিগারেট এর গায়ে লেখা হচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্য তিকর।

আর্শ্চয্য যারা সিগারেট ফুঁকে তারা কি ঐ লেখা পড়ে নাকি সিগারেটের ধোঁয়া অন্যের মুখে ছুঁড়ে মারে। এখন নাকি এগুলো ফ্যাশন!!! সিগারেট হাতে বন্ধুকে নাকি আকর্ষণীয় লাগে তাও আবার মেয়ের কাছে ছেলের। সিগারেটের মাধ্যমে বন্ধুত্বের সব চাইতে বড় নস্ট পরিচয় ঘটে, আস্তে আস্তে গাঁজার সূখটান, তারপর হিরোইন। মেয়ে বন্ধু হলে তো আপন বাবার নাম ভুলিয়ে ইয়াবাবা আর নেশার কল্যাণে সব কেড়ে নিয়ে রীতা বানিয়ে ছাড়ে তারপর আর ডাকতে হয় না, রিমোটে টিপ তো আপনাকে হাজির হতেই হবে। অথচ ইয়াবাকে কে চিনতো! নস্ট মিডিয়ার কল্যাণে কোন এক নস্টা ভ্রস্টাকে উপস্থাপন করতে যেয়ে এত হৈচৈ ফেলেছে যে ইয়াবার গুণাগুণ এখন দেশজুড়ে বাচ্চারাও জানে!!! বাঁচতে হলে জানতে হবে নামক মর্মবাণীর মূল উদ্দেশ্য কি, এইডস রোগের জনসচেতনতা মূলক প্রচারের বিজ্ঞাপণ।

নাকি অবচেতন মনকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে অবাধ যৌনতার দিকে। যারা বিবাহ প্রথায় বিশ্বাস করে তাদের তো এইডস হওয়ার কথা নয়। যে যার ধর্ম পালন করলে তো এইডস এর প্রশ্নই উঠে না। বরং প্রকারান্তরে অনেকগুলো উপাদানের পাশে হা হা করে কৌশলে নিরাপদ যৌন মিলনের কথা গেলানো হচ্ছে। তাও আবার কপোত কপোতী যুগলবন্দি হয়ে.................................................. কি ভাবে রাজা কনডম ব্যবহার করতে হয় তার কৌশলগত বিবরন।

কি ভাবে প্যাথেডিন পুশ করতে হয় তার কলা কৌশল শেখানো । রাস্তার মোড়ে মেডিসিন দোকানদার জন্মনিরোধক বড়ির চোঁখ ঝলসানো প্যাকেট নিয়ে বসে আছে, দোকানদার একবারো কি জিজ্ঞেস করছে, এ বড়ি যে কিনতে এলেন আপনি কি বিবাহিত! এগুলো তো বিবাহিতদের জন্য। আপনার সন্তান রাজা কনডম ফুলোতে গিয়ে আপনার বিছানার নিচে রাজা কনডমের প্যাকেট খোজে পেয়ে আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করে, মা আমি না হয় ফুলিয়ে আনন্দ পাই তুমি কি কর!!! (এটাতো ফুলনোর জিনিষ নয়!) অথছ রাস্তার পাশে দোকানী বয়াম ভর্তি করে অবাধে বিক্রি করছে। বাজারে সহজলভ্য জিনিষটি বাচ্চার সহজপ্রাপ্যতায় তার শিশু সূলভ মন একদিন বড় হয়ে দ্বিধাদ্বন্ধের হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিবে, মাকে সন্দেহ করবে না সম্মান করবে!!! এর জন্য কারা দায়ী। যে বইয়ের লিখককে আদর্শ বানানো হচ্ছে তার নিজের জীবনইতো নোংরামীতে ভরা অথছ তার লিখা বই পড়িয়ে আপনার সন্তানকে বিজ্ঞানী বানাতে চান।

যদি একবার আপনার সন্তানকে সুরা ইয়াছিন নামক বিজ্ঞানের বইটি দিতেন তাহলে ও নিজেই আসল বিজ্ঞানের পার্থক্য নির্নয় করতে পারতো ,ওর জীবনের পাশাপাশী আপনার জীবনও হতো ধন্য। আত্বীয় স্বজন দেখলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে না দেখার ভান করা একটা আর্ট বানানো হয়েছে, যন্ত্র দানবেরা ওর আত্বীয় স্বজন আছে জানেনই না, সারা জীবন বাপের বাড়ীর প্রসংশা আর স্বামীর বাড়ীর লোকদের সম্পর্কে একটা কু ধারনার জন্ম দিয়ে বিষিয়ে তোলা হয়েছে তাদের কোমল মন, সালাম তো দুরের কথা পরিচয় দিতেও চায় না। গ্রামের হলে তো কথাই নেই। অথচ সালাম হল পারস্পারিক সম্মানবোধের প্রথম পরিচয়, যেখানে মহান প্রভূর কাছে অপরের কল্যাণ কামনা করা হয়। যাদের ভর্তসনা করে তাড়িয়ে দেয়া হল এমনো তো হতে পারে ছোট বেলায় ঐ লোকের কোলে পিঠে আপনার স্বামী বড় হয়েছেন, একবার যদি তার ভাংয়া মন হাহাকার করে উঠে আপনার সন্তারের উপর গজব পড়ার জন্য আপনিই দায়ী থাকবেন।

উচুতলার বেলকনীতে বসে রংয়িন চশমার আড়ালে গরীব গার্মেন্টস কর্মির জীবিকার সন্ধানে পাল ধরে যাওয়া মেয়ে গুলোকে উপহাসের তামাশা মনে করা হয়, হয়তো আপনাকে সূখী করতে গার্মেন্টস মালিককে সরকারী নিয়মনীতির ভয় দেখিয়ে আনা হয়েছে সুটকেস ভরা টাকা যার ফলশ্রুতিতে প্রতিজন গার্মেন্টস কর্মির বেতন থেকে পঞ্চাশ টাকা করে কেটে রাখা হয়েছে। এবার বলুন রংয়িন চশমার আড়ালে ভিখারীনি কে ওরা, না আপনি .............................. অপক্ষা করুন ঐ অর্থের টাকায় জন্ম নেয়া সন্তান আপনাকে লাথি মেরে বৃদ্ধ্যাশ্রমে পাঠাবে আপনি তখন খবরের কাগজে শোভা পাবেন। আপনার সন্তান আপনাকে টাকার জন্য হয়তো কয়দিন পর আর খোঁজও নিবে না কারনে অকারনে আপনাকে পাঠানো হবে অনাথ আশ্রমে যেখানে আপনাকে বৃদ্ধ বয়সে ফুল বাগানের মালী কিংবা বাসনকোসন ধোয়ার কাজ দেয়া হবে। সেদিন বিকাশমান গার্মেন্টস শিল্পের কর্মির বেতন হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা ওদের জন্য বানানো হবে টাইলস করা ডর্মেটরী ওরা খবরের কাগজে আপনাকে দেখে ভর্তসনা নয় আফসোস করবে। কারন ভর্তসনা শব্দের সহিত ওরা পরিচিত নয়।

মনে রাখবেন মেঘের আড়ালে সূর্য্য হাসে, রাতে পরে দিন, সূখের পরে দু:খ। বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহা সূখে অট্টালিকা পরে তুমি কত কস্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে। ........................................................ মহান প্রভু বলেছেন অহংকার করো না অহংকার আমার গায়ের চাদর যারা অহংকার করে তারা আমার চাদর নিয়ে টানাটানি করে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।