আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযুদ্ধের সময় টিক্কা খানের সঙ্গে গোলাম আযমের বৈঠক নিয়ে ছবিসহ সংবাদ ছেপেছিল সংগ্রাম। ওই একটা ছবিই তাঁকে (গোলাম আযম) ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য যথেষ্ট।

ব্লগার অনুপস্থিত আছেন !! (এই ব্লগার বিশেষ কোন দল বা মতের অনুসারী নন..তাই ওনার পোস্টের কোন আগা মাথা নাই!! যখন যা ভাল লাগে তাই তিনি পোস্ট করেন। )

গতকাল শুক্রবার ‘গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর গ্রেপ্তার, তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন: সমকালীন প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, খুব সহজেই গোলাম আযমকে অভিযুক্ত করা যায়" বলে মত দেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় টিক্কা খানের সঙ্গে গোলাম আযমের বৈঠক নিয়ে ছবিসহ সংবাদ ছেপেছিল সংগ্রাম। ওই একটা ছবিই তাঁকে (গোলাম আযম) ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য যথেষ্ট। ’ মূল প্রবন্ধে শিক্ষক ও গবেষক রাজীব চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানে চলে যাওয়া গোলাম আযম ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে লাহোরে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন।

এর পর থেকে তিনি পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাজ্য গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে থাকেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করলে ১৯৭৮ সালে গোলাম আযম বাংলাদেশে আসেন। সূত্র - প্রথম আলো (উল্লেখিত ছবি/ছবির লিংক যদি কারও কাছে থাকে প্লিজ শেয়ার করুন। ) জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত চলার কথা উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনাল চাইলে যেকোনো সময় তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারেন। তবে এখন তাঁকে গ্রেপ্তারে সরকারের কোনো সুযোগ নেই।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ গোলটেবিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা গোলাম আযমের বাসভবনের আশপাশে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাম্প্রতিক তৎপরতায় তাঁর গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। নিজামী, মুজাহিদসহ কয়েকজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এখন কারাগারে আছেন।

দ্রুত এসব যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শেষ হবে এবং বিচার শুরু হবে। ’ বিএনপি ও জামায়াতকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই মন্তব্য করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা এক ও অভিন্ন শক্তি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি, মুসলিম লীগসহ যারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারছিল না, জিয়াউর রহমান তাদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। সাংসদ তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের মূল হোতা গোলাম আযম। তিনি বাইরে থাকলে নানা ষড়যন্ত্র করবেন।

অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচার করা এখন সময়ের দাবি। ’ প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে গোলটেবিলে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল, কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সভাপতি এ কে আজম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.