আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকায় বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার কানাডীয়ান ব্যবসায়ী



ঢাকায় বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার কানাডীয়ান ব্যবসায়ী নতুনদেশ ডটকম মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে দেশে ছুটে গিয়েছিলেন টরন্টো প্রবাসী ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন। কিন্তু ফেরার পথে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মচারীদের হাতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সিআইপি এই ব্যবসায়ীকে। জানা গেছে, টরন্টোর ইউনাইটেড এক্সচেঞ্জের স্বত্বাধিকারী বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন কিছুদিন আগে অসুস্থ মাকে দেখতে বাংলাদেশে যান। মায়ের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে তিনি সঙ্গে ১৩ হাজার ডলার সঙ্গে নেন। বিমানবন্দরে শুল্ককর্তৃপক্ষের কাছে তিনি সঙ্গে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার ঘোষণা দেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

ফেরার সময় বোর্ডিং পাস নিয়ে বিমানে উঠার আগ মুহূর্তে দুইজন কর্মচারী তার সঙ্গে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপারে আপত্তি তুলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেওয়া কাগজপত্র তাদের সামনে তুলে ধরেন। কিন্তু তারা ওই কাগজপত্র দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন তিনি এই ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছেন। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ওই দুই কর্মচারী মোট অংকের উৎকোচ দাবি করে বসে। কিন্তু ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তার সঙ্গে অশোভন আচরন করে।

জানা গেছে,ওই দুই কর্মচরী লোকমান হোসেনের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশি মুদ্রা জোড় করে রেখে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে কানাডীয়ান নাগরিক লোকমান হোসেন নতুনদেশ ডটকমকে জানান, ডিউটিতে থাকা অবস্থায়ও ওই দুই কর্মচারীর কোনো নেমপ্লেট ছিলো না। ফলে তিনি তাদের নাম জানতে পারেন নি। কাস্টমসএর একজন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনি কাগজপত্র দেখে সরে পড়েন। ওই দুই কর্মচারী তাকে হয়রানি করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সিআইপি লোকমান হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে সিআইপি হিসেবে মনোনীত করেছেন। অথচ বিমানবন্দরে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। http://notundesh.com/shirshokhobor_news2.html

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।