আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাইকোর আবেদন খারিজ

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটের (ইকসিড) এই রায়ের কপি পাওয়ার পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে তা জানান পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর।
সালিশি প্রতিষ্ঠানের এই রায়ের ফলে দেশের আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে করা সরকারের ক্ষতিপূরণ দাবির মামলা চলতে কোনো বাধা থাকছে না।
হোসেন মনসুর বলেন, “ইকসিডে নাইকোর অভিযোগ টেকেনি। এখন দেশের আদালতে নাইকোর বিরুদ্ধে করা ক্ষতিপূরণ মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছি আমরা। ”
আদালতের রায় পক্ষে এলে ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্যোগ নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে নাইকোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।


নাইকোর কাছে বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ দাবির বিরুদ্ধে ২০১০ এর জুলাইয়ে ইকসিডে অভিযোগ করে কানাডীয় এ তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে একই বছরের মে মাস থেকে তারা ফেনীর গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ বন্ধ রাখে।
নাইকো ইকসিডে দুটি অভিযোগ করে। একটি হলো গ্যাসের বকেয়া বিল আদায় সংক্রান্ত, অন্যটি টেংরাটিলা বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ দাবির মামলার বৈধতা নিয়ে।
নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে ২০১১ সালের ১৩-১৪ অক্টোবর লন্ডনে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।


২০১০ সালের মে মাসে নাইকো পরিচালিত ফেনী গ্যাসক্ষেত্রটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়ে জরিমানা আদায় না হওয়ায় নাইকোর গ্যাস বিল বাবদ পাওনা সাড়ে তিন কোটি ডলার আটকে দেয় পেট্রোবাংলা।
এছাড়া ২০১১ সালের ২৪ জুন কানাডার একটি আদালত বাংলাদেশে ঘুষ লেনদেনের অপরাধে নাইকোকে জরিমানা করে। নাইকোকে ওই সময় ৯৫ লাখ ডলার জরিমানা পরিশোধ করতে হয়েছে।
পেট্রোবাংলা কর্মকর্তারা জানান, ছাতকের টেংরাটিলায় নাইকোর গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননের সময় ২০০৫ সালের জানুয়ারি ও জুন মাসে দুই দফা বিস্ফোরণ ঘটে।


এর ফলে গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি বাবদ নাইকোর কাছে ৭৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে সরকার।
কিন্তু নাইকো বাংলাদেশের দাবির বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা দ্বিতীয় জজ আদালতে মামলা করে পেট্রোবাংলা। মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
এর আগে ২০০৬ সালে পরিবেশবাদী আইনজীবীদের সংগঠন বেলা ঢাকায় উচ্চ আদালতে নাইকোর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যৌথ চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিপূরণ দাবিতে নাইকোর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।


এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বাংলাদেশ সরকারের ক্ষতিপূরণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাইকোর গ্যাসের মূল্য পরিশোধ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়।
টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের পর বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে নাইকো বিএনপি আমলের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফকে প্রায় দুই লাখ ডলার দামের একটি গাড়ি ঘুষ দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
২০১১ সালের জুনে কানাডার আদালতের কাছে বিষযটি স্বীকারও করে নাইকো। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ বাবদ মন্ত্রীকে ৫ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় স্বীকারোক্তিতে।
২০০৩ সালে জয়েন্ট-ভেঞ্চার চুক্তির মাধ্যমে ফেনী ও ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা লাভ করে নাইকো।

ফেনী গ্যাসক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।