আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার নতুন নিয়মে অগ্রাধিকার পাচ্ছে মেধাবীরা



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাধারন কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। নতুন প্রবর্তিত এ নিয়মের ফলে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বিশেষ সুযোগ আর থাকছে না মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো কলা ও মানবিক অনুষদের ৭টি বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল বিষয়ে ২০০ নম্বর আবশ্যিক করে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এবারই প্রথম কলা ও মানবিক অনুষদে এ রকম নিয়ম সংযুক্ত হয়েছে।

৭টি বিভাগ হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, ইংরেজি, বাংলা, প্রতœতত্ত্ব, দর্শন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব। নতুন প্রবর্তিত এ নিয়মের ফলে যে সকল শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল বিষয়ে ২০০ নম্বরের কোর্স অধ্যয়ন করেনি তারা এ বছর কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তি হতে পারবে না। এছাড়া সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ২০০ নম্বর আবশ্যিক হিসেবে চাওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সাধারন কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে কম মেধাবী ও যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও কারিগরী ও মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা অনায়াসে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যেত। এবার নতুন প্রবর্তিত এ নিয়মের ফলে তাদের সে সুযোগ আর থাকছে না বলে জানা গেছে।

কারন হিসেবে জানা গেছে বিগত বছরগুলোতে ২০০ নম্বরের আবশ্যিক বিষয় না চাওয়াতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা তাদের বোর্ডের কারিকুলামে থাকা বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ে ১০০ নম্বরের কোর্স শেষ করত। এছাড়াও কলা ও মানবিকী অনুষদের সাধারন কলেজের একজন শিক্ষার্থী কলেজ লেভেলে দর্শন, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয় পড়তে বাধ্য থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সে বিষয়গুলো না পড়ে তাদের কারিকুলাম অনুযায়ি তুলনামূলক সহজ বিষয় পড়ত। কলেজের শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো কঠিন হওয়াতে নম্বর পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কিন্তু এখানেও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সুবিধা লাভ করে আসছে। তাদের পঠিত বিষয়গুলো কলেজের একজন শিক্ষার্থীর বিষয়গুলোর চেয়ে অনেক সহজ এবং নম্বর পাওয়াও সহজ হওয়াতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সব সময় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকতো।

এদিক থেকে তাদের চেয়ে বেশী মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও সাধারন কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠিন বিষয় পড়ার কারনে ও পয়েন্ট তুলনামূলক কম থাকায় পিছিয়ে থাকতো। আর এসব বৈষম্যের কথা বিবেচনা করে এ বছর ভর্তি পরীক্ষা কমিটি নতুন এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। জানা গেছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ইতিমধ্যে বাংলা ও ইংরেজীতে ২০০ নম্বর প্রথা চালু করেছে। যার ফলে এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ না পেলেও আগামী বছর থেকে তারা ভর্তি আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জাবিতে ভর্তি পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহে আসা শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ যায়যায়দিনকে বলেন, বিগত বছরগুলোতে তুলনামূলকভাবে মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারনে ভর্তির সুযোগ পেত না কলেজের শিক্ষার্থীরা।

নতুন প্রবর্তিত এ নিয়মে আমাদের মত কলেজ শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন হবে বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির যায়যায়দিনকে বলেন, প্রতিটি অনুষদের ডীন ও বিভাগীয় সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে মেধার যথার্থ মূল্যায়নের জন্য এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বিশেষ কোন শ্রেনীকে বঞ্চিত করার বা সুবিধা দেয়ার জন্য নেয়া হয় নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.