আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারাম কাজ সুদ-ঘুষ খেয়ে, ডাকাতি-ছিনতাই করে,দূর্নীতি করে যদি গরিবদের উপকারীমূলক কাজ যাকাত আদায় না হয় তাহলে হারাম ছবি তুলে এবং বেপর্দা হয়ে কিভাবে হজ্জ হবে?

”সব রাজাকারদের বিচার চাই”

যাকাত একটি ফরয ইবাদত এবং ইসলামী ৫টি ভিত্তির একটি। এই যাকাত আদায়ের জন্য অনেক তর্জ-ত্বরিকা এবং শর্ত আছে। যেগুলো কোনও ব্যাক্তির পূরণ হলে তার জন্য যাকাত আদায় করা ফরয। যাকাত আদায়ে মূলত গরিব-দু:খী এবং অভাবীদের যেমন খুব উপকার হয় তেমন যাকাত আদায়কারী ব্যাক্তিরও মাল-সম্পদ পবিত্র এবং বরকত হয়। এখন আমি ফরয যাকাত আদায়ের জন্য এবং যাকাতের টাকায় গরিব দু:খীদের অনেক উপকার হবে বলে যদি সুদ-ঘুষ খেয়ে, ডাকাতি-ছিনতাই করে,দূর্নীতি করে সম্পদের পহাড় করে যাকাত আদায় করি তাহলে কি যাকাত আদায় হবে? সবাই বলবে হবে না্।

কিন্তু কেন? কারণ একটাই উপরোক্ত কাজ গুলি শরীয়তের খিলাফ বা হারাম্ । অর্থাৎ হারাম উপায়ে যাকাত আদায় করলে যাকাত আদায় হবে না। হ্জ্জও ঠিক তেমন কিছু তর্জ-ত্বরিকা এবং শর্তানুযায়ী ফরয হয়। সবার জন্য হজ্জ ফরয নয়। একজন ব্যাক্তির নিসাব পরিমান মাল থাকতে হবে, পথের নিরাপত্তা থাকতে হবে, ঈমানের নিরাপত্তা থাকতে হবে এবং অসুস্থ নয়, জালিম বাদশাহ নেই,বাহ্যিক কোনও বাধা নেই(হোক দৈহিক বাধা বা ঈমানী বাধা) নেই , এমতো অবস্থায় সে ব্যাক্তির জন্য জন্য ফরয হবে।

আর মহিলা হলে অবশ্যই মারহাম থাকতে হবে, নইলে সে দেশের মালিক হলেও তার জন্য হজ্জ ফরয নয়। অপরদিকে কুরআন শরীফে বলা হয়েছে, পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যার উপর পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করা ফরয সে যেন পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করতে গিয়ে নির্জন অবস্থান ও তার সংশ্লিষ্ট কোন কাজ না করে এবং বেপর্দা-বেহায়ামূলক কোনো কাজ না করে এবং কোনো প্রকার ফাসিকী বা নাফরমানিমূলক কাজ না করে এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯৭) অর্থাৎ হজ্জ পালন করতে যেয়ে বেপর্দা হলে এবং ফাসিকী বা নাফরমানীমূলক কাজ(ছবি তুললে) করলে তার হ্জ্জ মাকবুল হবে না্। হারাম কাজ সুদ-ঘুষ খেয়ে, ডাকাতি-ছিনতাই করে,দূর্নীতি করে যদি গরিবদের উপকারীমূলক কাজ যাকাত আদায় না হয় তাহলে হারাম ছবি তুলে এবং বেপর্দা হয়ে কিভাবে হজ্জ হবে? হজ্জ যেমন ফরয তেমনি পর্দা করাও ফরয। স্বার্থের জন্য পর্দা রক্ষা করবেন না কিন্তু হজ্জ করবেন -এটা কোথায় পেলেন? হারাম গুলো কি এখন জায়েয করে নিবেন? যদি হারামকে জায়েয করেন তাহলে তো আপনি কাফির হবেন।

যে সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম মানবে না অর্থাৎ অস্বীকার করবে? যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন”। উপরোক্ত আয়াত শরীফে স্পষ্ট ঘোষনা করা হয়েছে,” নিজের ইচ্ছামত বা যুগের সাথে ইচ্ছামত মিলিয়ে কিছু কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ মোতাবেক আর কিছু বিধর্মীদের মোতাবেক আমল করলে চলবে না। পরিপূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হালালের সাথে হারাম সংশ্লিষ্ট করতে পারবে না। যদি কেউ হালালের সাথে কিছু হারামের মিশ্রন ঘটায় তাহলে সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে।

তাই সকল মুসলমান উনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী ছবি ব্যতীত ও পর্দার সাথে পবিত্র হজ্জ উনাকে পালন করা। গায়ের জোরে বেপর্দা হয়ে এবং হারাম ছবি তোলে হজ্জ করলে আরও কঠিন শাস্তি হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.