আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংয়ের নামে মুসলিম নারীগণকে বেপর্দা, বেহায়া, অশ্লীলতায় নিমজ্জিত করা হচ্ছে

জীবন কখনোই সংগ্রাম বিহীন হতে পারে না মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে মহিলারা! তোমরা জাহিলিয়াত যুগের মহিলাদের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেরিও না। ’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে দেখে ও দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ’ তাহলে যেদেশে ৯৭ ভাগ মুসলমান ও যেদেশের রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম উক্ত দেশে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি লা’নতগ্রস্ত বিষয়গুলি কিভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? কারণ পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপেই হারাম। তবে ইসলাম ও মুসলমানগণের দুশমন ইহুদী, মুশরিক ও নাছারাগুলো মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংয়ের নামে মুসলিম নারীগণকে বেপর্দা, বেহায়া ও জাহান্নামী বানাতে চায়। তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংসহ সর্বপ্রকার অশ্লীলতা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রতি বছরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় কথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা। আর এই কথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি ও বেরসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। ফলে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এক বড় ধরনের বেহায়া-বেপর্দার মচ্ছব। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার “পবিত্র সূরা নিসা শরীফ, পবিত্র সূরা নূর শরীফ ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ” উনাদের মধ্যে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ মুবারক ও নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ৩০, ৩১ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষগণ উনাদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে।

এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনা মহিলা উনাদেরকে বলুন, উনারা যেন উনাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং উনাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও উনাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। ” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে, হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে আলী আলাইহিস সালাম! আপনি দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না।

প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না। ” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি করে কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় অর্থাৎ যে বেপর্দা হয় ও যে বেপর্দা করায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ‘সূরা মায়িদা শরীফ’ উনার ৮২নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে ইহুদীদেরকে।

অতঃপর যারা মুশরিক তাদেরকে। ” অর্থাৎ পবিত্র ইসলাম ও মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রথমতঃ ইহুদীরা, দ্বিতীয়তঃ মুশিরকরা, আর তৃতীয়তঃ হচ্ছে নাছারারা। এক কথায় সকল বিধর্মীরাই পবিত্র ইসলাম ও মুসলমান উনাদের শত্রু। তাই বলা হয়, “সমস্ত কাফিরেরা মিলে এক ধর্ম। ” অর্থাৎ কোনো কোনো বিষয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও পবিত্র ইসলাম ও মুসলমান উনাদের ক্ষতিসাধনে তারা সবাই একজোট।

ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজূসী ও মুশরিক তারা সবাই মিলে সর্বদাই চেষ্টা করে থাকে কী করে মুসলমান উনাদের ঈমান আমল নষ্ট করে কাফিরে পরিণত করা যায়। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১০৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “ইহুদী-নাছারা, আহলে কিতাব তথা বিধর্মীদের মধ্যে অনেকেই প্রতিহিংসাবশত চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোনো রকমে কাফির বানিয়ে দিতে। ” নাউযুবিল্লাহ! কাজেই বিধর্মীরা যেহেতু ইসলাম ও মুসলমানগণের চরম পরম শত্রু তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়েই মুসলমানগণের ঈমান-আমল নষ্ট করে। অর্থাৎ তথাকথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিংসহ আরো বহুবিধ বেপর্দা ও বেহায়ামূলক কাজে মশগুল করে দিয়ে ‘দাইয়্যূছ’ বানিয়ে চির জাহান্নামী করতে চায়। কারণ, ইহুদী-খ্রিষ্টান তথা মুসলমানগণের তাবৎ শত্রুরা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পেয়েছে, “দাইয়ূছ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।

” (নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ) ইহুদী-নাছারারা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, যে কোনো মূল্যেই হোক না কেন মুসলমান উনাদেরকে ‘দাইয়ূছ’ বানিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ পুরুষ ও মহিলা উভয়কে বেপর্দা করে দিতে হবে। এলক্ষে তারা কাজ শুরু করেছে এবং অনেকটা সফলও হয়েছে। আজ সারা বিশ্বের অধিকাংশ মহিলাই চরম বেপর্দা। তারা আজ পুরুষের সাথে একই অফিসে চাকুরী করছে, লেখা-পড়া করছে, সিনেমা, নাটক করছে, গান গাইছে, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো ও মডেলিংয়ে অংশগ্রহণ করছে, রাজনীতি করছে, খেলাধুলা করছে।

অর্থাৎ নানানভাবে আজকে মহিলাদেরকে বেপর্দা, বেহায়া অর্থাৎ দাইয়ূছ করা হচ্ছে। মূলকথা হলো, যেদেশে ৯৭ ভাগ মুসলমান ও যেদেশের রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম তাহলে উক্ত দেশে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি লা’নতগ্রস্ত বিষয়গুলি কিভাবে জায়িয হতে পারে? অর্থাৎ সেগুলি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, মডেলিং ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপেই হারাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.