আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা বনাম ঈমানের দাবী...

তার্কিক দুই প্রকার: সু-তার্কিক আর কু-তার্কিক...

নাস্তিকরা এই লেখাটি থেকে দূরে থাকুন: অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য মুছে দেয়া হবে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ ঘোষনা করেছেন: ইহা এমন একটি কিতাব যাতে কোন শোভা-সন্দেহ নাই। এতে রয়েছে মুত্তাকীদের জন্য পথ নির্দেশনা। যারা গায়েব বা অদৃষ্যের প্রতি ঈমান আনে। (সুরা-২: আয়াত-২-৪) মানব জীবনের এমন কোন বিষয় নেই - যা নিয়ে পবিত্র কোরআন আলোচনা করেনি। অপর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন: নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (সঃ) এর আদর্শ হচ্ছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।

আমাদের বর্তমান জীবন চলার পথে বিজ্ঞান এবং সমাজ ব্যবস্থার উন্নতি ও পরিবর্তনের সাথে সাথে মুহাম্মদ (সঃ) এর আদর্শের বিপরীত অনেক বিষয় আমাদের সামনে এসে উপস্থিত। প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কি আমাদেরকে মুহাম্মদ (সঃ) এর সেইসব আদর্শগুলিকে এই সময়ের জন্য অযোগ্য ঘোষনা করতে হবে? তার উত্তর হচ্ছে-- “অবশ্যই না”। কারন: আল্লাহ্ যাহা বলেছেন- তাহা সর্বকালের সর্ব যুগের জন্য সঠিক। কিন্তু কোন কোন আদর্শ যখন অসামঞ্জস্যপুর্ন হয়ে দাঁড়ায় সেটার দায় আমাদেরই আল্লাহকে সেখানে দোষারোপ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তেমনি মুহাম্মদ (সঃ) এর কোন আদর্শ যখন আমাদের জীবন ব্যবস্থার সাথে অসঙ্গতি পুর্ন হিসাবে ধরা দেবে তখন আমাদেরকে এই কথা মানতে হবে যে- আল্লাহর কথা ও রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) এর আদর্শই সঠিক- আমি মানতে পারিনা এটা আমার বা আমার সমাজের একদিকে যেমন অযোগ্যতা- অপরদিকে আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা তো বটেই।

এটা হলো ঈমানের দাবী। কেউ যদি কোন কারনে আল্লাহ্ ও তার রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) এর আদর্শ মানতে না পারে-তবে বিশ্বাস রাখলেই যথেষ্ট যে সেইটা সঠিক- আমার চলার পথ ভুল। তাহলে ঈমানের দাবী আমার দ্বারা আদায় হলো। আর যদি কালের পরিক্রমায় আমি বলে ফেলি বা সন্দেহও পোষন করি যে, কোরআনের অথবা রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) এর কথা বা আদর্শ ভুল। তাহলে আমার ইমান নাই।

আর ঈমানহীনের সম্পর্কে আল্লাহ্ কি বলেছেন-সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আপাত দৃষ্টিতে আমরা যা মনে করি সঠিক নয়- আল্লাহর দৃষ্টিতে তা সঠিক। কারন আল্লাহর বক্তব্য সর্বকালের ও সর্বযুগের জন্য- আর আমরা একটা খন্ডিত সময়ের সাক্ষী মাত্র। ইমানের দাবী হলো : আগে একজন মুসলমানকে কোরআন এবং হাদিসের কথাগুলি মানতে হবে-তারপর এর বৈজ্ঞানিক ও সার্বজনীন কারন অনুসন্ধান করতে হবে। আর এই "কারন" অনুসন্ধান করতে গিয়ে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবু সেটা সঠিক।

কারন আমাদের জ্ঞান আল্লাহর জ্ঞানের কাছে মুখাপেক্ষী। যেমনটি আল্লাহ্ বলেছেন: দেখ আকাশ মন্ডলী ও তারকা রাজির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর: কোন ফাটল পাইয়াছ কি? দেখ বার বার দৃষ্টি নিক্ষেপ কর। প্রকৃত পক্ষে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়া আসিবে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত হয়ে তোমারই কাছে। এইরূপ আরো অনেক চ্যালেঞ্জ - আল্লাহ্ করেছেন- যার উত্তর আমাদের জানা নেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.