আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রানা ফের রিমান্ডে

ভবন ধসের দুটি মামলায় ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুটি মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে বুধবার আদালতে আনে পুলিশ।
ঢাকার হাকিম আদালতে শুনানি শেষে অস্ত্র মামলায় ছয় দিন, মাদক মামলায় দুই দিন পুলিশ হেফাজতের আদেশ হয়। এই আদেশ দেন হাকিম তাজুল ইসলাম।  
এছাড়া হত্যাচেষ্টার আগের মামলায় রানাকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন হাকিম তৈয়েবুল হাসান।
গত ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর দুটি মামলা হয়।

এর একটি করে রাজউক এবং অন্যটি পুলিশ।
পুলিশের করা মামলায় ফাটল ধরা ভবনে জোর করে শ্রমিকদের ঢুকিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভবনটি ধসে ১১শ’র বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছে, যারা ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের অভিযোগ, আগের দিন ফাটল ধরার পরও তাদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়।
হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রানা বলেন, ভবনের মালিক তিনি হলেও গার্মেন্টগুলোর মালিক তিনি নন।

ফলে তিনি কোনো শ্রমিককে জোর করে কারখানায় ঢোকাননি।
ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় অস্ত্র ও মাদক পাওয়ার পর রানার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।  
এই অভিযোগেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রানা বলেন, তার কাছে কোনো অস্ত্র পায়নি পুলিশ। আর উদ্ধার করা অস্ত্রের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
ভবন ধসের এসব মামলার আসামিদের হয়ে আইনি লড়াই না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি।


রানার পক্ষ নিয়ে আগের দিনের মতোই ব্যারিস্টার শেখ আবু মুসা মুহাম্মদ আরিফ নামে এক আইনজীবী কথা বলার চেষ্টা করলে এজলাসে উপস্থিত সব আইনজীবী তাকে থামিয়ে দেন।
ভবন ধসের পর পালিয়ে যাওয়া কথিত যুবলীগ নেতা রানাকে ২৮ এপ্রিল বেনাপোলে গ্রেপ্তার করা হয়। রানার বাবা খালেকও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
ভবন ধসের মামলায় কারখানাগুলোর চার মালিক, সাভার পৌরসভার দুই প্রকৌশলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.