আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোরের বন্ধুরা আমার



এত ভোরে আগে কখনো ঘুম থেকে উঠেছি কিনা ঠিক মনে পরেনা। রাত বারটায় যার সন্ধ্যে নামে, আর তিনটায় হয় রাত, কাক ঢাকা ভোর দেখা কি তার ভাগ্যে জোটে! তবু আজ সক্কাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম, কম ঠেলাই কি আর বিড়াল গাছে উঠে, উদ্দেশ্য জগিং করা। কারন পারিবারিক ঐতিহ্যের ছিটে ফোটাও আমার মধ্যে না থাকলেও এই একটা ঐতিহ্যকে আর বহন না করে পারা গেলনা। পরিমিত খাবার আর সেই সাথে জগিং ওষ্ঠাগত জীবন আরো ওষ্ঠাগত হয়ে উঠা এই আর কি, থাক সে ভিন্ন কথা। যে ভোর দেখা কখনো ভাগ্যে জোটেনি সেই ভোর দেখতে গিয়েই বাধল যত বিপত্তি।

মিরপুর-২ নং এর বাসা থেকে ষ্টেডিয়াম হয়ে রুপনগর পাড়ি দিয়ে মিরপুর-১ নং হয়ে ফের বাসায়, রুট ছিল এটিই। সব ভালই ছিল, নতুন কেডস, ত্রি-কোয়টার পেন্ট আর টি-সার্টের সাথে রোধ চশমা মাঞ্জাটা খুব একটা খারাপ ছিলনা কিন্তু ভুল করে মানি ব্যাগটাই নেয়া হলোনা। তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হওয়ার কথা নয়, কারন হেটেই তো বাসায় ফিরব কিন্তু মানি ব্যাগ না নেয়ার খেসারত যে এভাবে দিতে হবে কখনো ভাবিনি। রুপনগর পাড়ি দিয়ে বা পাশের রাস্তা ধরে যেই এক নম্বরের দিকে হাটা শুরু করেছি ঠিক তখনি রাস্তার দু’পাশ থেকে আমার তিন বন্ধু এসে পথ আগলে দাড়ালো, কতদিনের পরিচয়, এতদিন কোথায় ছিলাম, কি খবর আরো কত কি? রাস্তা ফাকাই ছিল এর মধ্যে একজন রীতিমত কোলাকোলি শুরু করে দিল, অন্যজন রোদ চশমা হাতে নিয়ে বলল দোস্ত সুন্দর তো, পাশের জন নয় মাস আগে ২৮০ টাকায় কেনা ঘড়িটা পকেটে পুরে পিট চাপরে বলল এখনো আগের মতই আছিস, তুই পারিস ও বটে। সব শেষে খোজ পড়ল মানি ব্যাগের, ভুল করে আনিনি বলাতে এক সাথে তিন জনের মুখ থেকেই বেড়িয়ে এল শা...........।

আমি সম্ভিত ফিরে পাওয়ার আগেই ওরা আরো একাধিকবার শা...... বলতে বলতে পাশের রাস্তা ধরে হাওয়া হয়ে গেল। পুরু বিষয়টাই ঘটল মাত্র কয়েক মিনিটে, ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু এই শা..... শব্দটাই বার বার মাথায় ঠোকা দিচ্ছিল আর নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিলাম কেন মানি ব্যাগটা ভুলে ফেলে এলাম। এই একটা বিষয় ছাড়া ওরাতো বন্ধুর মতই আচরন করেছে, তাই না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।