আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের দায়ে ১৮ ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

আমি বিদ্রোহী

বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের দায়ে ১৮ ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা রিবেল মনোয়ার সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে অবৈধ মুনাফা করায় এবং দোকানে দ্রব্য মূল্যে তালিকা না টাঙ্গানোর দায়ে ১৮ জন ব্যবসায়ীকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য মনিটরিং-এ নিয়োজিত তিনটি টীম ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ৪০ ধারা অনুযায়ী বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেছে। শান্তিনগর বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার এবং মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিঞা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আখতারুজ্জামান এবং উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম । এ অভিযানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টীম এর সদস্যবৃন্দ ছাড়াও ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন, ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল এবং র‌্যাব ও পুলিশ অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র রমজান মাসে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে ধার্যকৃত কতিপয় পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য যেমন- প্রতি কেজি চিনি-৪৭ টাকা, সয়াবিন তেল-৮০ টাকা, পাম সুপার ৭৬ টাকা, পাম তেল- ৭৩ টাকা, গরুর মাংস ২৫০ টাকা এবং খাসীর মাংস ৩৫০ টাকাসহ নির্ধারিত মূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা তদারকীই এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। অভিযানে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে সয়াবিন তেল নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রয় করায় রাব্বী স্টোরকে ৩০ হাজার, মামনি ভ্যারাইটি স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা, নাসিমা জেনারেল স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা, মেসার্স হক ট্রেডার্সকে ২৫ হাজার টাকা, রামগঞ্জ মাংসের দোকানকে ২০ হাজার টাকা এবং দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা না রাখার দায়ে যশোর ট্রেডার্সকে ২৫ হাজার টাকা এবং শাকিল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শান্তিনগর বাজারে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে চিনি বিক্রয় করায় আব্দুল হাই ষ্টোর, মতলব ষ্টোর, নিউ কাজী জেনারেল ষ্টোর, অনুপম ষ্টোর, চৌধুরী ট্রেডার্স, মক্কা ষ্টোর, পপুলার ষ্টোর, বাতেন ষ্টোর, কুদ্দুস ষ্টোর এবং সাহাবুদ্দিন জেনারেল ষ্টোরকে মোট ৫০ হাজার টাকা এবং মেসার্স সৌসুমী ট্রেডার্সকে অধিক মূল্যে সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মনিটরিংকালে প্রতিটি দোকানকে খাদ্যপণ্য অধিক মূল্যে ও কম ওজনে এবং ভেজাল মিশ্রিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় বিক্রয় না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। প্রতিটি পণ্যের ক্রয় মূল্যের ভাউচার/প্রমাণপত্র সংগ্রহ ও দোকানে সংরক্ষণের জন্যও বিক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এর অন্যথা হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদানের বিষয়েও দোকানদারদেরকে সতর্কও করে দেয়া হয়। বালিজ্য মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, এ অভিযান পুরো রমজান মাসব্যাপী চলবে এবং একই মার্কেটে বার বার অভিযান পরিচালনা করা হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.