আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ বিমান ও বিমান বন্দরে হয়রানি আর কতোদিন?

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক লোক প্রবাসি। আর প্রবাসীদের কষ্টমাখা ঘামে ওইসব পরিবার যেমন সুখের পরশ পায় তেমনি দেশও লাভ করে বৈদেশিক মুদ্রা। আর দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান প্রথম সারিতে। স¤প্রতি সরকার দেশে প্রেরিত অর্থের ভিত্তিতে কয়েকজন প্রবাসিকে সম্মাননা দিয়েছেন।

আমরা সরকারের এই মহতি কাজকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে সরকার বদল করেছেন বিমানের প্রতীকও। কিন্তু আদৌ বিমানের সেবা বদল হয়েছে কি? এটা সব প্রবাসি বাংলাদেশীদের প্রাণের প্রশ্ন। এখনো বাংলাদেশ বিমানের অনিয়মিত যাত্রি সেবা আর সময়মতো না পৌঁছানোতে অনেকেই কত বিপদের সম্মুখিন হয়েছেন এবং হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তা একমাত্র তারাই জানেন যারা এমন ঘটনার স্বীকার হয়েছেন।

অনেকেই দেশপ্রেমের দিক থেকে দেশে যেতে বা ফেরত আসতে বাংলাদেশ বিমান এর টিকেট বুকিং করেন। কিন্তু তাদের সেই দেশপ্রীতি হাওযায় মিশে যায় দূর্ভোগে। আর কতকাল এমন চলবে? এ সমস্যা সমাধানে আদৌ আমাদের সরকারের মাথা ব্যাথা নেই? নাকি আমাদের সেই সুযোগ নেই ভাল সেবা পাবার। এ নিয়ে সব সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে প্রবাসিদের কাছে। আমরা চাই দেশের জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে এর স্থায়ী সমাধান আবশ্যই।

এ সমস্যা সমাধানে সরকার দ্রুত এগিয়ে আসবেন এবং সেই সাথে দরকার হলে প্রবাসিদের সম্পৃক্ত করবেন। আশার কথা এই যে, অনেক প্রবাসিরা এমন কাণ্ড দেখে নিজেরাই বেসরকারি বিমান চালু করেছেন। তাদের সেবাও সন্তুষ্টজনক। এমনিতে বাংলাদেশ বিমানের সেবা নিয়ে যাত্রিদের অনাস্থা প্রকাশ। তারপর বিমানবন্ধরে হয়রানির শেষ নেই।

তত্বাবধায়ক সরকার থাকতে সেনাবাহিনীর কারণে এ কাজটি একটু বন্ধ হলেও আবার শুরু হয়েছে তা ভুক্তভোগীদের কথা। এক্কেবারে লাগেজ টেস্ট থেকে শুরু করে বিমানে ওঠার আগ পর্যন্ত সব জায়গায় ঘুষের মোকাবেলা করতে হয়। এ দৃশ্য দেখে মনে হয় প্রবাসিরা যেন বনরুটি আর ওইসব লোকেরা একেকটা পাগলা কুকুর। কিন্তু কতোদিন চলবে এ রকম? তাছাড়া বিমান বন্দরের ভিতরেও যাত্রিরা বসার জন্য জায়গা আছে। রয়েছে সেখানে একটি টেলিভিশন।

সেখানে বেশির ভাগ সময় চলতে থাকে ভারতীয় চ্যানেল। বিদেশী কোন লোক বাংলাদেশ বিমানবন্দরের এমন অবস্থা দেখলে সে নিজেই থ লেগে যাবে এটা বাংলাদেশ নাকি ভারত? তাহলে ১৯৫২ সালে তাজা ক’টি প্রাণের বিনময়ে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছিল যারা তাঁদের রক্ত বৃথা যাবে? বড়ই বেদনাময় এ দৃশ্যগুলো। এ সব মন্দগুলো তাড়িয়ে আমাদের ভাল গুণ গুলো ফুটে ওঠুক ভিনদেশিদের কাছে। বাংলাদেশ বিমান ও বিমানবন্দরের সেবা যেন হয় যাত্রিদের সন্তুষ্টজনক। এ কামনা আমাদের নিত্য দিনের।

লেখক: সম্পাদক, মাসিক মুকুল, দুবাই, আমিরাত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.