আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মান্ধরা নিজ ধর্মের চরম শত্রু......

একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ....

নাস্তিক্যবাদিতা ছাড়া অন্য প্রায় সকল ধর্মই মানবকল্যানের জন্য মানুষকে সহজ পথ অনুসরণের দীক্ষা দেয়। আর নাস্তিক্যবাদিতার জন্ম হয়েছে হতাশাবাদিতা থেকে। এই হতাশার বিবিধ কারণ রয়েছে, তবে মৌল কারণগুলোর মধ্যে ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির অধিকার হারানো, আর্থ-রাজনৈতিক প্রভাবহীনতা, এবং অতীব আত্নকেন্দ্রীকতা দায়ী। ব্যক্তিক ও সামাজিক এইসব অধিকার হরণে অনেকাংশেই ধর্মাচারীরা দায়ী, তবে এইজন্য ধর্মকে দায়ী করা মানে মাথাব্যথা সারাতে মাথা কাটার সামিল। ব্যক্তিক ও সামাজিক অধিকার হারিয়ে একটি শ্রেণীর জন্ম হয় যারা সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় বিধাতাকে চরম পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ দিয়ে তার দেয়া ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্হান নেয়।

এরা মানব সৃষ্ট ধর্মের অনুসারী হতে প্রয়াস পায় এবং ইতিহাসের পরিক্রমায় এভাবেই জন্ম নেয় ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজবাদিতা এবং সমাজতন্ত্র। এটি মূলতঃ একটি বাস্তবতা। আর আমরা সবসময়েই একটি সহজ সমাধান কেই বেছে নেই। এটি মানুষের অতি আদিম গুন। যা সহজ মনে হয় আমরা তা অবলীলায় গ্রহন করে নেই।

যদিও জটিল পন্কে পড়ে এমন সহজীয়া পথে চলতে গিয়ে আমাদের অনেক অনেক পূর্বপুরুষ প্রমাদ গুনেছেন এবং তাদের আনুসারীদের দিতে হয়েছে চরম মূল্য, তবু এরই ধারাবাহিকতা চলছে। সমাজে ধার্মিকতা হস্তগত হয়েছে চরম সুবিধালিপ্সু এক জনগোষ্ঠীর হাতে। বোধ করি এটি আমাদের জন্য চরম দূর্ভাগ্যের একটি ঘটনা। এই ঘটনার পরম্পরাই জন্ম দিয়েছে নাস্তিক্যবাদিতা ও মানবসৃষ্ট ধর্মের। তাই মূলতঃ বকধার্মিক এইসব ধর্মান্ধরাই তাদের কথিত ধর্মের সবচেয়ে ক্ষতিকারক কীট।

সমাজ ও হারিয়েছে ধর্মের মূল নির্জাসটাকে সত্যিকার ভাবে দেখতে ও তার সুফল পেতে। আমরা দেখছি ধর্মের বর্জ্য, যাকে সমাজের চিন্তাশীল ও সাধারণ একজন বিবেকবান মানুষ দূর্গন্ধ বলে চিনছেন। তারা এটি সত্যিই চিনেছেন কিন্তু দায় এড়িয়েছেন সমস্যার গভীরে প্রবেশের অথবা সেই সহজিয়া ধর্মের জন্যেই ভুল পথে সমাধানে ব্রতী হচ্ছেন। বস্তুবাদী দৃষ্টিতে নিজে হয়তো সাময়িক চলার একটি পথ পেলেন। কীন্তু- সমাজ তাদের কাছে সঠিক অবদান বা দায়িত্বপূর্ণ আচরণ পেতে বন্চিত হলেন।

আমরা বন্চিতই থেকে গেলাম তাদের কাছ থেকে সুন্দর ও মূল্যবান কিছু পেতে। যা আমাদের নিজের ও সমাজের জন্য অতীব প্রয়োজন ছিল। ২০০৬ এ বিবিসির আয়োজনে ক্যাট স্টিভ্যন্স ( যিনি সমস্যার গভীরে গিয়ে সত্যকে আবিস্কার করে বর্তমানে ইউসুফ ইসলাম) তার একটি লাইভ শো তে বলছিলেন, "আজ যারা সত্যানুসন্ধানি, যারা শুদ্ধ থাকতে চান তাদের এগিয়ে আসতে হবে, এক হতে হবে। নাহয় মিথ্যা, নীষ্ঠুরতা আমাদের সমাজকে গ্রাস করবে, আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে"। হ্যাঁ, সত্যি- আমাদের প্রয়োজন সমস্যার গভীরে ঢোকার, সত্যকে সাধারণের সামনে উদ্ভাসিত করা।

এ কাজটি মূলতঃ তাদের জন্য অত্যাবশ্যক যারা সত্যানুসন্ধি, পরোপকারী এবং সমাজহিতৌষী-যারা নিজেকে সঁপে দেন পরের জন্য, সুন্দর একটি সমাজের জন্য। যে শিশুটি আজ ভূমিষ্ঠ হলো তার জন্য নীখাদ একটি বাসগৃহ রেখে যাবার স্বপ্ন যিনি দেখেন তার জন্য সহজ কোন সমাধান নেই বরং আত্নত্যাগই তার সোপান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।