আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ম ও রাজনীতি: ইসলামী প্রেক্ষাপট



রাজনীতি কি? মত প্রকাশ ও কার্য পরিচালনার একটা পন্থা হলো রাজনীতি। এখানে কতগুলো নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র থাকে, নিয়মাবলী থাকে যা একগুচ্ছ লোক একমত ভাবে পালন করে। রাজনীতির লক্ষ হলো মানুষের কন্যান করা। প্রশ্ন হলো ইসলাম কি এর বাইরে? এর সাথে রাজনীতির সম্পর্ক জানতে হলে আগে ইসলাম জানতে হবে। ইসলাম হলো এক কথায় একটা জীবন বিধান।

এখানে বিশ্বাসীদের জন্য কতগুলো নিয়ম কানুন বলা আছে যা নি:সণ্দেহে মানুষের জন্য উপাকারী। রাজনীতি বলতেই আমরা প্রথমে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা দখলের লড়ায় কে বুঝে থাকি। দেশের ক্ষমতা দখল করে নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী মানুষের কল্যানে কাজ করাই আমাদের প্রথাগত রাজনীতি। এখন কথা হলো ইসলাম কি এর বাইরে? ইসলাম ও চায় মানুষের কল্যান, এর ও আছে একাটা দর্শন। এখন রাষ্ট্র ক্ষমতার বিষয়ে বলতে গেলে অন্যান্য ধর্মের সাথে এখানেই ইসলামের পার্থক্য।

আর সব ধর্ম হলো নেহাতেই কতগুলো আনুস্ঠানিকতা পালনের নাম, আর ইসলাম হলো সুনির্দস্ট আদর্শের প্রতিস্ঠার নাম। এবার আসুন দেখি ইসলামে কিভাবে মুলনীতি গুলো সাজানো, ইসলামী আদর্শের মুল কথার শুরুতে আছে "এই বিশ্বের সব কিছুর স্রস্ঠা আল্লাহ, তিনি একক, মহা ক্ষমতা বান (সুরা আল রাদ ১৬)। তিনি জিন ও মানুষকে তাঁর এবাদতের জন্য সৃস্টি করেছেন। সবাই তাঁর আদেশ মান্য করবে, "ফয়সালা দেয়ার মালিক একমত্র তিনিই (সুরা আল আনাম ৫৯)"। তাই এভাবে মুসলমানদের জন্য রাস্ট্রীয় ধারার সর্বাগ্রে আল্লাহের উপর পুর্ন বিশ্বাস ও আস্থা থাকা দরকার।

ইসলাম কোন একক ভাবে পালন করার আনুস্ঠানিক ধর্ম নয়। ইসলামের মুল কথা হলো এটা সবার জন্য ও কল্যান ময়। আর তাই তো সবার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কিছু করতে ইসলামে কঠোব ভাবে বলা আছে " তোমার আল্লাহর রজ্জুকে পরস্পর আকরে ধরো এবং একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়োনা (আল ইমরান)। আর এভাবেই সবায় মিলে একত্রে ব্যাক্তি, পরিবার ও সমাজে ইসলামের আলো জ্বালাতেই এসেছে রাস্ট্রীয় চিন্তা। কাজেই একথা পরিস্কার ইসলামের সাথে রাস্ট্রীয় একটা সম্পর্ক আছে।

মুসলমানদের চেস্টা হলো সবাই মিলে এক হয়ে আল্লাহের দেয়া শৃংখলা মেনে জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি ও কল্যান প্রতিস্ঠা করা। আর এ কাজের জন্যই ইলসামের থেকে রাজনীতি কখনই আলাদা ভাবে বিবেচনা করার উপায় নেই। সু পরিকল্পিত সমাজ ব্যাবস্থার জন্যই রাস্ট্রের জন্ম। ইসলাম এই পরিকল্পিত সমারজের প্রতিস্ঠা বলতে বোঝায়, ন্যায় বিচার। এ বিষয়ে আল্লাহর বানী হলো, " আমি সুইস্পস্ট হেদায়ত দিয়ে রাসুল পাঠিয়েছি, সাথে কিতাব ও মিযান যেনো তোমরা ইনসাফ প্রতিস্ঠা করতে পারো।

আমি লোহা নাজীল করেছি যাতে আছে কঠিন শক্তি যা মানুষের জন্য কল্যান কর, (সুরা আল হাদীদ ২৫)। ইসলামী রাস্ট্রে মানুষকে দিয়েছেন মৌলিক অধিকার যার সর্বাগ্রে আছে, জীবন রক্ষা: হক ছাড়া কোন জীবন হত্যা করা যাবে না (সুরা বনি ইসরাইল ২৯) মান সম্ভ্রম রক্ষা: একে অপরের বিদ্রুপ ও গীবত করো না (আল হুজরাত ১১-১২) ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা: কারও গোপন কিছু খুঁজা যাবে না। এমন কে অনুমতি না নিয়ে নিজ বাড়িতেও ঢোকা যাবে না (সুরা আন নুর ২৭) মানুষকে দেয়া নয়েছে যুলুম থেকে বাঁচার অধিকার। ভালো কাজে স্বাধীন সংগঠন করার অধিকার, স্বাধিন ধর্ম পালনের অধিকার (ধর্মে কোন জবরদস্তি নাই, সুরা বাকারা ১৫৬) ইসলামী সমাজের জনগনের মংগলের জন্য সকল কিছুর বিধান আল্লাহ ইসলামে দিয়েছেন, আইন কি হবে, ব্যাবসা কিভাবে করবে, পাশের দেশের সাথে পররাস্ট্র নীতি কেমন হবে সব। সব ইসলামে দেয়া আছে, এন্যই ইসলাম পরিপুর্ন জীবন বিধান।

এর পরও কি বলবো ইলসামে রাজনীতি নাই? ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম। এই শান্তি একার নয় সবার। ব্যাক্তিগত ভাবে তাই ইসলাম নয়। এরা সামস্টিক, সব মানুষের জন্য। তাই এর সুফল পেতে ভৌগলিক সীমারেখা পেরিয়ে ইসলাম ছুটেছে দেশ থেকে দেশান্তরে।

নবী সা: থেকে খেলাফায়ে রাশেদারা তা দেখিয়ে গেছেন। আমাদের নবী সা: মাক্কা বিজয়ের পর দেখিয়েছেন ইসলামী রাস্ট্র কি? এর পরও কি আমরা গ্যানের আলোয় আলোকিত হবো না। অন্ধের নত বাতিলী ভ্রান্ত মানুষেদের সাথে বলে যাব ইসলামের মহান আদর্শিক শিক্ষার বিরুদ্ধে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.