আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেবদূতের ছোট ছোট ভন্ডামীগুলো-১

সখা, নয়নে শুধু জানাবে প্রেম, নীরবে দিবে প্রাণ, রচিয়া ললিতমধুর বাণী আড়ালে গাবে গান। গোপনে তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া রেখে যাবে মালাগাছি। এই ব্লগের©শান্তির দেবদূত।

১. কিছুদিন আগে হঠাৎ করে দেখি অফিসের জানালায় কবুতরের বাসা, আর সেখানে দুটি ডিম। অজানা এক খুশিতে মনটা ভরে গেলো; সেই খুশিটা কলিগদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য সবাইকে ডেকে ডেকে দেখালাম।

প্রতিদিন অফিসে ঢুকেই প্রথমে জানালার ধারে গিয়ে উঁকি মেরে ডিমগুলোকে একনজর দেখতাম, মনটাই ভালো হয়ে যেত। একদিন হঠাৎ দেখি ডিমগুলো নেই! মাথা খারাপ হয়ে গেলো! সাথে সাথে অফিসের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, "কি ব্যাপার ? এখান থেকে ডিম কোথায় গেলো?" কেউ কোন উত্তর দিতে পারলো না। গিয়ে ধরলাম ডাইনিং এর মহিলাটিকে। সে বললো, "ও! কবুতরের ডিম? আমি তো ঐদুইটা নিয়ে এসেছি" কেন? চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম। নিজের গলার আওয়াজ শুনে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।

আমার মত শান্ত স্বভাবের মানুষের এমন চিৎকার শুনে মেয়েটি হতভম্ব হয়ে গেলো, ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সে বললো, "আমি তো ভেবেছিলাম আজকে লাঞ্চে তোমাকে ডিমদুটো ভেজে দেব" "এক্ষণি ডিম দুটো জায়গামত রেখে আস, না হলে তোমার খবর আছে", বলে একটু ঝাড়ি দিতেই সূরসূর করে ডিমদুটো জায়গামত রেখে আসলো। এর চার/পাঁচদিন পরই ডিমদুটো ফুটে কালোকুচকুচে দুটি বাচা বের হয়েছে, গায়ে, পাখায় কোন লোম বা পালক নেই, প্রথমে একটু ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। আগে কখনো কবুতরের সদ্য ফোটা বাচ্চা দেখিনি। আজ দেখলাম বেশ বড় হয়ে গেছে বাচ্চা দুটো, মনে হচ্ছে তিন/চার দিনের মধ্যেই ঊড়াল দিতে পারবে। ২. গত পরশু বাজার থেকে একটা রাজহাঁস কিনে এনেছি।

ঝাল ঝাল করে হাঁসের মাংসের সাথে ভুনা খিচুড়ি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রেসিপি। এইতো একটু আগে হাঁসটা জবাই করে আসলাম। আগামীকাল মা খুব মজা করে রেঁধে দেবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।