আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নামাজের দৈহিক উপকারিতা

I Love of Good

ইসলাম ধর্মে যে পাঁচটি কাজকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তার মধ্যে নামাজ অন্যতম। এটা এমন একটি ইবাদত যা মানুষকে মহান আল্লাহপাকের কাছাকাছিই করে না, শারীরিক কল্যাণও সাধিত হয়। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হলো কারো বাড়ির পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত স্রোতধারার মতো। কোনো ব্যক্তি তাতে পাঁচবার গোসল করলে যেমন গায়ে ময়লা থাকতে পারে না, তেমনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও মানুষকে পবিত্র করে দেয়। ’ মহিলাদের জামাতে সালাত জামাতের সাথে সালাত আদায়ের জন্য মহিলাদের মসজিদে উপস্থিতির বিষয়টি তর্কাতীত নয়।

এ বিতর্কটি খোদ সাহাবায়ে কিরাম রাঃ-এর যুগ থেকে চলে আসছে। এখনো মতানৈক্য চলছে। কিন্তু মহিলারা জামাতে সালাত আদায় করতে পারবেন না বা তারা যদি জামাতে সালাত আদায় করেন তাহলে সেটি শুদ্ধ হবে না­ এমন কথা কেউ বলেননি। কারণ অনেক মহিলা সাহাবি খোদ রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর সাথে জামাতে সালাত আদায় করেছেন বলে বহু হাদিসে বর্ণিত আছে। ভোর রাতের শরঈ পরিভাষা গলছের সময়টা ফাজরে সাদেকের সময়ের অন্তর্গত এবং এর প্রাথমিক অংশ।

শাফেই ও হাম্বলি ইমাম ও ফকিহগণের মতে ফাজরে সাদেকের সময় যখন শুরু হয় তখন ভূ-পৃষ্ঠেও ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে, যেমন থাকে পূর্ব দিগন্তে। হানাফি ফকিহগণের বক্তব্য হলো ফাজরে সাদেকের মতো গলছের সময়ও শুধু অন্ধকার নয়, বরং তার সাথে আলোর প্রকৃতি দিয়েই নির্ণীত হবে। ফাজরে সাদেকের সময় নির্ধারণের মানদণ্ড কুরআনে করিমে ফাজরে সাদেকের সময় নির্ধারণের মূল মানদণ্ড একটিই নির্দেশ করা হয়েছে। সেটা হচ্ছে, ‘আল-খায়তুল-আছওয়াদ’ থেকে ‘আল-খায়তুল-আবইয়ায’-এর ‘তাবাইয়ুন’ হলেই ফাজরে সাদেক শুরু হয়। ফাজরে সাদেক কখন শুরু হয় সে বিষয় নিশ্চিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাঃ এদের ব্যাখ্যা দিয়ে এরশাদ করেছেন, ‘আল-খায়তুল-আছওয়াদ’-এর অর্থ দিগন্তের সাথে সেঁটে থাকা রাতের অন্ধকার এবং ‘আল-খায়তুল-আবইয়ায’-এর অর্থ ‘দিনের আলো’।

নিয়মিত নামাজ আদায়ের তাৎপর্য কালিমা স্বীকার করার পরেই যে কাজটি একজন মুসলমানের জন্য অবধারিত হয়ে যায় তাহলো নামাজ। কারণ কালিমা বিশ্বাস করার পরে নামাজ না পড়লে এই বিশ্বাসের কোন অর্থ হয় না। তাছাড়া কালিমা বিশ্বাস করার সঙ্গে সঙ্গে তার উপর ইসলামের যে পাঁচটি বুনিয়াদ-কালিমার পরে বাকী চারটি তথা- নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত ও তার উপর অবধারতি হয়ে যায়। ফজর-এর ইসলামী সংজ্ঞা ফজর-এর প্রকারভেদ এবং তার প্রকৃতি সম্পর্কে মোফাসসেরিনে কেরাম, মোহাদ্দেসিনে কেরাম ও ফকিহ-মোজতাহেদিনে কেরাম র্কতৃক কুরআনে কারিম ও হাদিসে নববী সাঃ-এর নির্দেশনার আলোকে দেয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আমি এখানে তুলে ধরতে চেষ্টা করব। ফজরের ইসলামী ব্যাখ্যাঃ ফজর অর্থ প্রত্যুষে পূর্বাকাশে দৃশ্যমান শুভ্র আলো।

ভোরবেলায় এ আলোর (লম্বা, বিস্তৃত, কৃত্রিম ও প্রকৃত নির্বিশেষে) উদয়ের মুহূর্ত থেকে সূর্যোদয়ের মুহূর্ত পর্যন্ত পুরো সময়কালকে শরিয়তে ফজরের সময় বলা হয়। জুমার নামাজের শর্ত জুমার নামাজ বড় শহর বা ছোট শহর বা শহরতুল গ্রামে হওয়া আবশ্যক। কেননা ছোট পল্লীতে বা মাঠে, নদী বা সমুদ্রের মধ্যে জুমার নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়। যে গ্রাম ছোট শহরতুল্য যেমন- ৩ থেকে ৪ হাজার লোকের বসতি আছে, তথায় জুমার নামাজ জায়েজ। ফরজ নামাজ শেষে ইমাম ও মুক্‌তাদির করণীয় ফরজ বলতেই মনে করা হয় অবশ্য পালনীয় কিছু একটি কাজ।

ফরজ সালাত আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নির্দেশিত ইবাদত। এখানে ইচ্ছা করলে পালন করলাম আর ইচ্ছা না থাকলে ছেড়ে দিলাম। এমনটি হয় না। এ ছাড়া সালাত সুন্নত ও নফল সবই আল্লাহর জন্য। তবে রাসূল (সাঃ)-এর অনুকরণে বা তার নির্দেশে আদায় করা হয় বলে একে সুন্নত বলা হয়।

গুরুত্বের দিক দিয়ে ফরজ সালাত তুলনাহীন, এর সাথে যাতে অন্য কোনো সালাতের গুরুত্ব সমান মনে না করা হয়, সে জন্য ফরজ সালাত অন্তে রাসূল (সাঃ) এমন কিছু কাজ করতেন যাতে এর পরবর্তী সালাত হতে এর বৈশিষ্ট্য আলাদা হয়ে যায়। জুমার খুতবা রাসূল (সা·)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর আল্লাহর একেশ্বরবাদ যখন জারি হল, তখন আরব দেশে প্রচলিত ছিল বহু দেব-দেবীর মূর্তিপূজা। পৌত্তলিকরা ছিল অর্থবিত্তে, সামাজিক মর্যাদায় এবং প্রভাব প্রতিপত্তিতে সমাজের অত্যন্ত প্রতাপশালী ব্যক্তি। বহু দেব-দেবীর প্রতিমা পূজাকে বাতিল ঘোষণা করে, সেই জায়গায় ইসলামের একেশ্বরবাদ প্রচার করা রাসূল (সা·)-এর জন্য ছিল যথেষ্ট ঝুঁকির কাজ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।