আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবজাব কথাবার্তা.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।



ধরেন, প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করা হইলঃ কওত দেখি। গরুর কয়টা পা আছে? উত্তর যে ৪ টা লিখবে তারে দিবেন ৮০+। যে তিনটা লিখবে তারে দিবেন ৭০+; যে দুইটা লিখবে তারে দিবেন ৬০+ আর যে একটা লিখবে তারে পাশ করাইয়া দিবেন। কারণ টাকা পয়সা দিয়া এখানে কেউ ফেইল করতে আসে নাই। ইহা একটি বোর্ড মিটিং এর গল্প; যা আমাদের বিভাগের এক স্যার আমাদের ক্লাশে বলেছিলেন।

ফেসবুকে একটা গ্রুপ দেখছিলাম, উত্তর দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয় এর পুলাপাইনদের। ওই গ্রুপে তাহারা যথারীতি নিজেদের দেশের সেরা ছাত্র হিসেবে দাবী করছিল। এরপর তাদের কে যথারীতি *** দিয়াছিলাম; কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ওই ঘটনার পর আমার কিছু ভাল বন্ধুর সাথে আমার সম্পর্কের একরকম ইতি ঘটে। সারাজীবন আতেল ছিলাম না; কিন্তু ভাল ছাত্রে টাইটেল ঠিকই লাইগা গেছিল।

আর সেই টাইটেল নিয়া ঢুকছিলাম কলেজে। মতিঝিল পাড়ায় আমাদের ৪ তলা বিল্ডিং এর স্কুল এর তুলনায় কলেজটি যথেষ্ট বড় ছিল। যেখানে স্কুলে ৬০ জন একসাথে ক্লাশ করতে হত; সেখানে গ্রুপ সেভেন এ যখন দেখি একসাথে আমরা ১৬০ জন ক্লাশ করব তখন বেশ অবাক হয়েছিলাম। ২ বছর পার; এইচ এস সি শেষ, ঈদের চাদ হাতে পাওয়ার পর হাত থেকে সাথে সাথে পড়ে যাওয়া। কারণ আবার সেই ভর্তি যুদ্ধ।

কলেজের ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভয়ে ঘাম বের হয়ে গিয়েছিল আর এইখানে ত সারাজীবন এর প্রশ্ন। নানা কারণে বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষায় সুবিধা করতে পারিনি। ফেল মারার ১ দিনের পর কুয়েটের ফরম কেনা, জমা দেয়া, ভর্তি পরীক্ষা দেয়া আর অতপর কোন এক সময়ে ভর্তি। একসময় ঢাকা ইউনিভার্সিটির জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার স্বপ্ন দেখতাম। আজমল স্যার এর লেখা বইয়ের শেষ চ্যাপ্টার চেয়ে অনেক অনেক বেশি কিছু জানতাম।

কিন্তু পরে আর ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা দেয়া হয়নি। তবে এইটুকু জানি একজন ছাত্র কে এইসব জায়গায় ভর্তি হতে হলে তাকে কি নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ভাল-মন্দ একটি আপেক্ষিক বিষয়। আমার এক বন্ধু যে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ছাত্র। বুয়েট-কুয়েট-রুয়েট এর কোনটাতে হয়নি।

ওইটুকুন সময় পর্যন্ত কিন্তু তার নাম নিশানা আমাদের মধ্যে ছিলনা; কেননা ততদিন এর মধ্যে আমাদের কোন না কোন জায়গায় জায়গা হয়ে গিয়েছে। অতপর তাহার ফর্মে ফিরে আসা। জাহাঙ্গীর নগর এ বিবিএ তে চান্স; আর ইয়র্কার বলে ছক্কা মারার মতই তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তে মাইক্রোবায়লজী তে ভর্তি হওয়া। একটু আগে এন এস ইউ এর আন্ডারগ্র্যাড এর এডমিশন রিকোয়ারমেন্ট দেখলাম। এস এস ছি আর এইচ এইচ ছি তে চাইছে ৩.৫দ, ব্র্যক এর লাগে ২.৫; ইস্ট ওয়েস্ট ২.৫, সাউথ ইস্ট এর ও একই; বোধ করি বাকীগুলার একই অবস্থা।

তা বাবারা এত কিছু যখন পার তাইলে এডমিশন রিকোয়ারমেন্ট টা একটু বাড়াও না কেন চান্দু? একটা প্রবাদ আছে " জোর যার মুল্লুক তার"। আর আমি বানাইছি " মামা (আছে) যার চাকরী তার"। তাইত দেখি নর্থ সাউথ থেকে ২.৬ এর ঘরে সিজি নিয়ে বের হয়ে কাউকে খুব ভাল জায়গায় চাকরী করতে; আবার এক স্কুল-কলেজ এর অনেক বন্ধুকে একই জায়গা থেকে ৩ এর ওপরে নিয়ে বের হয়ে আরো ভাল চাকরীর আশায় এমবি এ তে ভর্তি হতে দেখেছি। সামুতে মনে হয় ইদানীং "পাবলিক-প্রাইভেট" এর পুরান ক্যাচাল আবার রূপকথার সেই দুষ্টু ডাইনী বুড়ি এর মত ফিরে এসেছে। আমার কাছে মনে হইছে এইসব ক্যাচাল কইরা কোন লাভ নাই।

কারণ পাবলিক আর প্রাইভেট এই ২ টা জিনিস অন্তত বাংলাদেশে পুরাটাই আলাদা। আমরা হইলাম দুইটা ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। অযথা ক্যাচাল কইরা মাথা নষ্ট করার কোন মানে নাই। "Genius is one per cent inspiration, ninety-nine per cent perspiration." ( Thomas A. Edison, Harper's Monthly, 1932) এটাই সবচেয়ে বড় সত্য। জীবনে যা করার নিজেরই করতে হবে।

আসুন আমরা এই Thomas A. Edison এর কথাটা মনে রেখে সামনে এগিয়ে যাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।