আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবজাব কথাবার্তা

~ ভাষা হোক উন্মুক্ত ~
চ্রুম মন ও মিজাজ খারাপ লইয়া লিখিতে বসিয়াছি। আবজাব কিছু লিখাই উদ্দেশ্য। ইশ ... ভাব দেখো আমার। যেন আমি হরহামেশাই ঘি মশলা সহযোগে গরম গরম গদ্য লিখিয়া বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ করিতেছি! এ জেপনে যাহা যাহা লিখিয়াছি তাহাই অখাদ্য। তবুও এই অখাদ্য জনগনের গলনালীপথে জোরপুর্বক ঠুশিয়া দেওয়া হইতে নিজেকে বিরত রাখিতে আমার চেষ্টার নামগন্ধও নাই।

কেবলমাত্র বাংলা সাহিত্য নহে, স্কুলের গন্ডি পার হইয়া কলেজে উঠিয়াই রসায়নের মত রসকশহীন বিষয়ে এই বান্দা সাহিত্য রচনা করিয়া শিক্ষক মহলে ব্যাফক সাড়া ফেলিয়া দিয়াছিলো। ফলশ্রুতিতে রশায়নের শিক্ষক আমার শ্রদ্ধেয় নিজাম স্যারের বাসায় বিনা পারিশ্রমিকে একমাস পাঠ গ্রহনের অফারে আপ্লুত হইয়াছিলাম। যদিও দিন পুনারো পরে নিজাম ডাকাত উনার কন্যারত্নকে ভোর ৫টায় জানালাপথে একখানি চায়ে ভিজানো বিস্কুট আমার মুখে ভরিয়া দিবার দৃশ্য দেখিয়া অন্তরালে মাথা চাপড়াইয়াছিলেন। অবস্য তাহার কিছুকাল পরে রিমার সহিত আমাকে কলেজ মাঠে হুটোপুটি দৌড়াদৌড়ি করিতে দেখিয়া উনার সেই ভুল ধারনার অবসান হইয়াছিলো, বাস্তবে সবই ছিল ভ্রম। কোথা হইতে কোথায় চলিয়া যাইতেছি আমি? সাতসকালে - যদিও ঘড়িতে সময় তখন ১২টা ছাড়াইয়াছে - আমার বাড়ীওয়ালি বুড়ী জানালাপথে মধুর আহ্ববানে আমার ঘুম ভাঙ্গাইয়া বলিলেন - বাছা, ঘরের যা অবস্থা করিয়াছো - উহাতে এই ঘরে কুকারুচ (তেইল্লাচোড়া) অবধি বাস করিবেনা বলিয়া আমার ধারনা।

আমিও কাঁচা ঘুম ভাঙ্গার রাগ সামলাইয়া উহার কথায় সায় দিয়া বলিলাম - আমার নিজেরও তাই ধারনা, কিন্তু আমি বড়ই ব্যাস্থ, ঘুমানোর মত সময় নাই, তুমি তো বুড়ী - তোমারে কেমনে বলি, কাজেই তুমি যদি তোমার কনিষ্ঠা কইন্যাটিকে পাঠাইয়া দাও, তবে দুইজনে মিলিয়া ঘরখানি গুছাইতে চেষ্টা করি। শুনিয়া বুড়ী হাসিতে হাসিতে গড়াইয়া পড়ে আর বলে - "ইউ নটী ইউ নটী" - আমি মনে মনে বলি - "তুই ভাগ বেটি ... তুই ভাগ বেটি" কাঁচা ঘুম ভাঙ্গাইয়া দেওয়ার পর বুড়ী তো আপন গন্তব্যে চলিয়া গেল, কিন্তু আমার আর ঘুম আসিলো না। অগত্যা বিছানা হইতে গাত্রত্থান করিয়া ট্রাউজারখানা পায়ে গলাইয়া নরসুন্দর দর্শনে বাহির হইলাম। আজিকে বৃহস্পতিবার, কাজেই এই ভর দুপুরে নাপিতালয় ফাকা থাকিবার আসঙ্কাই বেশী। গিয়া দেখি - হা হুতম্বি, ৪ খানা মনুষ্য সন্তান চুল কাটাইবার অপেক্ষায় অপেক্ষমান, যাহাদের উচ্চতা সর্বনিম্ন এক হইতে সর্বোচ্চ সোয়া দুই ফুট হইবে নাপিতালয়ে তান্ডব - নামে কোন প্যাকেজ নাটক রহিয়াছে কি না জানিনা, কিন্তু নাপিতালয়ের ভেতর প্রবেশ করিয়া আমার ভ্রম হইতেছিল যে টাইম মেশিনে করিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোন ব্যাটেলফিল্ডে উপস্থিত হইয়াছি নাপিত বেচারার করুণ মুখপানে চাহিয়া আমি চোখে চোখে আন্তরিক সমবেদনা জানাইয়া নাপিতালয় ত্যাগ করিলাম।

আমার আজিকেও নরসুন্দরের হস্তে বান্দর হওয়া উঠা হইলোনা।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।