আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাইভেট ভার্সিটিতে আরোপিত ভ্যাট, কিছু ফার্মের মুরগী ও শুয়োর, আর কিছু দেশপ্রেমিক মেধাবী .......

Everything in the world has an expirary date, even relationship.
প্রাইভেট ভার্সিটি (মুরগী বা কবুতরের খামার হইবেক) এর সার্টিফিকেট ক্রয়কারী স্টুডেন্টদের উপর আমাদের মাননীয় সরকার ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত লইয়াছেন। একদম যুগোপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত। এরকম সঠিক সিদ্ধান্ত ৭১ পরবর্তী যুগে বাংলাদেশে আর একটিও নেওয়া হইয়াছিলো কি না তা এই অধমের জানা নাই। এ ভ্যাট থেকে বছরে কয়েক মিলিয়ন টাকা বাংলাদেশ সরকারের অর্থাগারে জমা হইবে। এ দিয়ে দেশ ও জাতীর অনেক উন্নতি করা যাইবে।

কিভাবে এই অর্থ দেশের উন্নয়নের কাজে লাগিতে পারে তা নিম্নরূপ: ১। দেশের কিছু কিছু পাবলিক টয়লেটের নাম এখনো পরিবর্তন করা হয় নি। এয়ারপোর্টের পাশাপশি এসব টয়লেটের নাম পরিবর্তন করিতে অর্থ প্রয়োজন। ২। আগে অনুগ্রহপূর্বক নিম্নের ছবিটি দেখুন।

আমাদের মেধাবী ছাত্রলীগের অস্ত্র এখনো মান্ধাতা আমলের(এই অস্ত্র তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার সময়ের)। এইসব অস্ত্র দ্রুত আপগ্রেড করার জন্য অর্থ প্রয়োজন। ৩। আবার ছবি দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আবাসিক ছাত্রহল-দখল করিতে, ভাংচুর করিতে মেধাবী ছাত্রদের আজকাল ককটেলে পোষায় না, তাহাদের জন্য গ্রেনেড কেনা প্রয়োজন।

যাইহোক এতো কারণ বর্ণনা করার আগে আসেন কিছু শুওর ও মুরগী-আন্ডার সাথে পরিচিত হওয়া যাক। বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা এক মেধাবীর মতে প্রাইভেট ইউনিতে শুধুমাত্র শুওররা পড়াশুনা করে(সার্টিফিকেট কেনে)। নিচের স্ক্রীনশর্টের শুধু শেষ অংশটুকু পড়লেই বুঝবেন। আরেক নোবেল-অস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী অবশ্য একটু মোলায়েম ভাষায় প্রাইভেট ইউনির ছাত্রদের মুরগী, আন্ডা ইত্যাদি বলে গেছেন। আরো কিছু গূনীজন তাহাদের ছাগলের বাচ্চা, গরু ই.টি.সি. ই.টি.সি. বলিয়াছেন -- থাক সেসব কথা।

আসেন কিছু শুওয়ের খামারের শুওর ও মুরগীর ফার্মের মুরগীদের ব্যর্থ পড়াশুনার হাল-হকিলত দেখা যাক। এই ছবিটি ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের একটি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। গত বছর গরুর ভুষি খেয়ে বদহজম হবার কারণে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের কিছু গরু বাংলাদেশের একটি মুরগীর খামারের ৮৫ জন মুরগীকে ৫.৫ মিলিয়ন ইউরো স্কলারশিপ দিয়ে ইউরোপের ৫ টি হাইর‌্যাংকড ইউনিতে পড়াশুনা করার সুযোগ দিয়েছে। এক শুওরের খামার এশিয়ার সেরা বিজনেস স্কুল লিডারশিপ এওয়ার্ড পাইয়াছে। যাহারা এই এওয়ার্ড দিয়াছে তাহাদের মাথায় গোবর বৈকি আর কিছুই ছিলো না।

ঝড়ে বক পড়ে, ডিমের কেরামতি বাড়ে। এভাবে একদা একদিন ঝড়ে বক পড়ায় একদল আন্ডা বাংলাদেশের সেরা বিদ্যাপীঠকে হারিয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হইয়াছিলো। এইসব শুওয়ের খামার, মুরগীর ফার্ম থেকে সার্টিফিকেট কেনা কিছু মুরগী আজকাল গুগলে সফটওয়ার ইন্জিনিয়ার হয়(জাহিদ সবুর ভাই), বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রোগ্রামার হয়(ওমর আল জাবির ভাই), একদল মুরগী সাউথ এশিয়ায় সেরা সিসকো পারফর্মার হয়, আমেরিকায় এনার্জি কনভার্শন কম্পিটিশনের পারফর্ম করে। করতেই পারে ---- সিসকো, এনার্জি কনভার্শন কম্পিটিশন, গুগল, মাইক্রোসফট এর কোন বেল আছে নাকি, এখানে কি মেধাবীরা থাকে নাকি। মেধাবীদের কাজ হলে হল দখল, চার তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া, রগ কাটা ই.টি.সি. ই.টি.সি. ........ আমাদের দেশের কিছু ব্লগীয় বুদ্ধিজীবিগণ ও ষুষীল (আফসোস, এই বানানটা কোনদিন ঠিকমত লিখতে পারলাম না ..) বলিয়াছেন, "তোদের টাকা আছে, তোরা ভ্যাট দিবি না তো কে দিবে?" আমিও তাদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলি, "হ্যাঁ, তোরাই ভ্যাট দিবি।

কারণ বাংলাদেশের লক্ষাধিক প্রাইভেট ইউনি স্টুডেন্টের বাবারা প্রত্যেকে তারেক জিয়া আর জয় এর মতো বড়লোক, এদের কাছে ত্রিশ-চল্লিশহাজার টাকা কোন ব্যাপার না। দেশে ছাত্রলীগের আরো রামদা-চাপাতি প্রয়োজন, তোরা ভ্যাট না দিলে এরা চাপাতি কেনার টাকা পাইবে কোথায়। " আর যখন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন মাসে ১০ টাকা বাড়ায়, হলে থাকার চার্জ ৫ টাকা বাড়ায় -- তখন আমাদের দেশের ষুষীলরা সরকারের মুন্ডুপাত করিবে, মেধাবীদের উপর আর্থিক অত্যাচার বলে গলা ফাটাইবে। তাহারা হল ভাংচুর করলে, হরতাল ডাকলে ষুষীলরা নীরব, আর তোরা রাস্তায় দুটা গাড়ি ভাংলে তাহারা বলিবে, "মুরগীদের এতো সাহস!!!!" দেশের মেধাবীরা যখন কৃষক-শ্রমিকের রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে নিতান্তই মাগনা পড়াশুনা করিয়া বিদেশে গিয়া [দেশে শিক্ষকতা পদে থাকিয়া বেতন কিন্তু ঠিকই তুলিবে] দেশটা গেল গেল বলিয়া চিৎকার করে তখন তোরা মুরগী-শুওররা ভ্যাট দিবি, লক্ষ লক্ষ টাকা দিবি, পড়াশুনা করে সার্টিফিকেট কেনার ফতোয়া নিয়ে দেশে পড়ে থাকবি। গতকাল ও আজ আমার মতো কিছু প্রাইভেট ইউনির মুরগী-ছাগলরা দেখলাম ভ্যাটের বিপক্ষে লিখছে।

আমি এক মুরগী হিসাবে তোদেরকে বলছি, তোরা যে মাউস নাড়াইতে পারিস, কিবোর্ডে আংগুল রাখতে পারিস ইহাই বেশি, তোদের ও আমার ব্লগ লেখার কোন যোগ্যতা নাই, আমরা সার্টিফিকেট কেনা ছাড়া আর কিছু করিতে পারি না। ----------------------------------------------------------------- বি: দ্র: - ০১: আমি নিজে স্বীকার করি বাংলাদেশে পাবলিক ইউনি প্রাইভেট ইউনির চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। কিন্তু তার মানে এই না যে প্রাইভেট মানে শুধু সার্টিফিকেট কেনা, এখানে ভালো কোন ছাত্র পরে না, আর দেশের সব মেধাবীরা শুধুমাত্র সরকারী ভার্সিটিতে। মাত্র কয়েক বছরে সুযোগ সুবিধা না পেয়েও NSU, AIUB, AUST, UIU, BRAC, IUB, EWU নিজেদেরকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে, ততটা বছর যেতে দেন ঠিক যতটা বছর বয়স BUET, DU, JU --- দেখবেন এই প্রাইভেট ইউনিগুলো কতটা দূর যেতে পারে। তবে কিছু কিছু প্রাইভেট ইউনির মান খুব খারাপ --- দোষ ইউনির না, এদের জন্য দায়ী সরকার ও ইউ.জি.সি, তারা সবকিছু না দেখে অনুমোদন দিলো কেন।

------------------------------------------------------------------- বি: দ্র: - ০২: এই লেখাটা একটি পক্ষপাত-দুষ্ট লেখা - স্বীকার করলাম। লেখাটা শুধুমাত্র তাদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা যারা মনে করেন একমাত্র তারাই মেধাবী, বাকিরা সবাই গরু-ছাগল-মুরগী-শুওর etc. --------------------------------------------------------------------
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.