আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতা—মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় এ পরোয়ানা জারি করেন। পাশাপাশি আদালত পরোয়ানার বিষয়টি আসামিদের স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমানে যেখানে আটক আছে সেখানে অবহিত করতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে এ পরোয়ানা তামিল করা হয়েছে কি না তা আগামী ২ আগস্ট জানাতেও বলা হয়েছে। গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনার শাখা জামায়াতের এ চারজন নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ট্রাইব্যুনাল আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আবেদন শুনানির ক্ষণ নির্ধারণ করেন। আজকের শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রসিকিউশন শাখার প্রধান গোলাম আরিফ প্রথমেই বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালি নিধন এবং স্বাধীনতার বিরোধীদের সঙ্গে সহায়ক বাহিনী হিসেবে আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনী গঠন করে একটি চক্র গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যুদ্ধাপরাধ, মানবতা ও শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধসহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। যে চারজনের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে তাঁরা মুক্ত থাকলে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়, ন্যায়নিষ্ঠভাবে তদন্ত এগোতে পারবে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আবেদনটি করা হয়। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ৩(২) ধারায় বর্ণিত অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও অনুসন্ধান অব্যাহত থাকায় আইনের ১১(৫)-এর ধারায় তাঁদের আটক ও গ্রেপ্তার অপরিহার্য। তাঁরা মুক্ত থাকলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আদালত গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটকাদেশ দিতে পারেন এবং প্রয়োজনে আইনানুগ আদেশও দিতে পারেন। এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান জানতে চান, ওই চারজনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ এবং তাঁরা কী করেছেন? জবাবে গোলাম আরিফ বলেন, ১৯৭৩-এর আইন অনুযায়ী বর্ণিত অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ তাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে। তাঁরা দখলদার বাহিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। তাঁদের চক্রটি গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যুদ্ধাপরাধ, মানবতা ও শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধসহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। অপরাধ কোথায় হয়েছে তা জানতে চাইলে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা অপরাধ করেন।

বেলা পৌনে ১১টায় আদালত আদেশে বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁদের চারজনের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো। বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এজলাস ত্যাগ করেন। এ বিচারকাজকে কেন্দ্র করে আজ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সুত্রঃ প্রথম আলো
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।