আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালাম্মা দুইটা ভিক্ষা দিবেন?

আমার চোখে বর্তমান...

বাসে করে ঢাকা শহর ঘুরলে কতো রকমের ভিক্ষুক যে চোখে পড়ে, তার কোন হিসেব রাখা মনে হয় সম্ভব নয়। একদিন কোথায় যেন দেখলাম, সাধু সাজের একজন রাস্তার মাঝে এক তরুনকে থামিয়ে তার ময়লা হাত তরুনের গায়ে বুলিয়ে দিয়ে আশীর্বাদ করছে আর তরুনটি আবেগে বিনয়ে নত হযে আছে, যেন এই দোয়ায় সে সর্বজয়ী হবে। আমার কাছে ঘটনাটি তরুনটির যেন যেচে গিয়ে গাযে ময়লা মাখা ছাড়া স্বর্গীয় কিছু মনে হয়নি। ভিক্ষা বিষয়টি মনে হয় আমাদের মধ্যে জাতিগত ভাবেই জড়িয়ে আছে। আগে সরকার প্রধানরা গর্ব করে হিসেব দিতেন কার আমলে কত বৈদেশিক সাহায্য (ভিক্ষা) এসেছে।

মনে হয় আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিভংগীর বিষয়ও এর সাথে জড়িত। আমি নিজে সাধারনত ভিক্ষা দেইনা এবং কাউকে উৎসাহও দেইনা। এবার আসল ঘটনায় আসি। আমাদের পাড়ার এক এতিমখানা থেকে বাচ্চাদের সপ্তাহে একদিন সবার বাসায় বাসায় পাঠানো হয় ভিক্ষা নিতে। ছেলেগুলো এসে যখন দরজায় দারায়, আমি খুব বিরক্ত হই, বিব্রতও হই।

এই এতিমখানাটি মোটামুটি ধনবান। কিছুদিন আগে তারা প্রায় এককোটি টাকার একটি জায়গা কিনেছে। কিছু বৈদেশিক সাহায্য তারা পায়, আবার এলাকা বাসীর মাসিক চাদার টাকাতো আছেই। এছাড়া কোরবানীর সময় চামড়া ও অন্যান্য দান বাবদ তাদের আয় আমার হিসেবে যথেষ্ট। তারপরও অল্প কিছু চালের জন্য বাচ্চাগুলোকে যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভিক্ষা শেখানো হচ্ছে, ভিক্ষায় অভ্যস্ত করা হচ্ছে তা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।