আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মায়ান সভ্যতা ও ২০১২ সাল


মায়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত হচ্ছেন সেইসব মানুষ যারা প্রত্নতাত্ত্বিক সংস্কৃতির এবং আধুনিক জনগণ, যারা মেক্সিকোর দক্ষিণে এবং উত্তর-মধ্য আমেরিকাতে বসবাস করতো এবং তারা মায়া ভাষী় পরিবারের মানুষ। প্রথম দিকে এর সময় কাল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-২৫০ অব্দ পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রাচীন কালে খ্রিস্টপূর্ব ২৫০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অনেক মায়া নগরীগুলোতে তাঁরা উন্নতির উচ্চশিখরে পৌঁছেছিল এবং স্প্যানিশদের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত পুরো পোস্টক্লাসিক জুড়ে চালিয়ে গিয়েছিল। এটি ছিলো বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ঘন জনবসতি এবং সংস্কৃতিভাবে গতিশীল একটি সমাজ। উচ্চ স্তরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কারণে এবং সাংস্কৃতিক প্রসারণ করার দরুন অন্যান্য মেসোআমেরিকান সভ্যতার সঙ্গে মায়া সভ্যতাকে অনেক ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

যেমন: লেখার উন্নতি-সাধন, গ্রন্থারম্ভে উদ্ধৃত বাক্য এবং বর্ষপঞ্জিকা যা মায়ার সঙ্গে উদ্ভূত হয়নি, তবুও তাঁদের সভ্যতা তাঁদেরকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করেছিল। হণ্ডুরাস, গুয়াতেমালা, এল সালভাদর এবং যতদূর দেখা যায় মায়া অঞ্চল থেকে ১০০০ কিলোমিটারের (৬২৫ মাইল) চেয়েও বেশি, মধ্যে মেক্সিকোতেও মায়ার প্রভাব লহ্ম্য করা যায়। এর বাইরেও অনেক মায়া সভ্যতার প্রভাব শিল্প এবং স্থাপত্য খোঁজ পাওয়া যায়, যা বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের চিন্তা ধারার ফলস্বরূপ বরং সরাসরি বাহ্যিক জয়। মায়া জনগণ কখনই অন্তর্ধান হয়নি, প্রাচীন কালেও না, স্প্যানিশ বিজয়ীদের আগমনের সাথেও না, এবং পরবর্তীতে যখন স্প্যানিশরা আমেরিকা মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে তখনও না। আজ, পুরো মায়া অঞ্চল জুড়ে মায়া এবং তাদের বংশধরদের বিস্তার।

প্রাচীন কলাম্বিয়ান এবং ভাবতত্ত্বের জয়ের ঐতিহ্য ও ধারণার পাথক্যসূচক একটি সমষ্টির ফলাফল বজায় রাখার অর্ন্তভুক্তি। অনেক মায়া ভাষী তাদের প্রাথমিক ভাষা হিসেবে আজও মায়া ভাষায় কথা বলে। রাবিনাল আচি, আচি ভাষায় একটি খেলা লিখেছে। মায়াকে ২০০৫ সালে ইউনেস্কো মাস্টারপিস অফ দি ওরাল এন্ড ইন্ট্যানজিবল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। মায়ানরা জানত যে চাঁদ, শুক্র এবং অন্যান্য গ্রহ-তারা মহাবিশ্বে চক্রাকারে ঘুরছে।

তারা নিখুঁভাবে সময় গণনা করতে পারত। তাদের একটি পঞ্জিকা ছিল যাতে সৌর বছরের প্রতিটি মিনিটের নিখুঁত বর্ণনা ছিল। মায়ানরা মনে করত প্রতিটি জিনিসের উপর সময়ের প্রভাব আছে এবং প্রতিটি জিনিস সময় অনূযায়ী একেকটি অবস্থানে অবস্থান করছে। পুরোহিতরা নভোঃমন্ডল এবং পঞ্জিকা ব্যাখ্যা করতে পারত। এ কারণে সাধারণ মানুষের সমস্ত কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাঁর হাতে থাকত।

কখন বীজ রোপণ করতে হবে, কখন ফসল ঘরে তুলতে হবে, কবে থেকে বর্ষা শুরু হবে, কবে থেকে গরম শুরু হবে- এ সব সম্পর্কে তারা জানত বলে তারা ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের সময়, ঋতু, চক্র উপলব্ধি করার খুব উচ্চ ক্ষমতা ছিল। মায়ানদের কাছে মহাকাশের উপর ১৭ টি ভিন্ন ভিন্ন পঞ্জিকা ছিল। এদের মধ্যে কোন কোন পঞ্জিকা এখান থেকে ১০ মিলিয়ন বছর আগের। এবং সেগুলো এত দুর্বোধ্য যে তা বুঝতে চাইলে হিসেব-নিকেশ করার জন্য সাথে অবশ্যই একজন করে অ্যাস্ট্রোনমার, অ্যাস্ট্রোলজার, জিওলজিস্ট, এবং ম্যাথমেটিশিয়ান থাকতে হবে।

শুক্র গ্রহের পরিক্রমণ পথ এবং এর অরবিট সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বানী করা একটি সারণীও তারা তৈরি করেছিল। যে পঞ্জিকাগুলো পৃথিবী এবং পৃথিবীতে বসবাসরত প্রাণীদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হল হা’ব, তুন-উক এবং তযোকি’ন। এদের মধ্যে তযোকিইন হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং এর প্রভাব আমাদের উপর অনেক বেশি। হা’বঃ এটি পৃথিবীর পরিক্রমণ পথের উপর রচিত। এতে সর্বমোট ৩৬৫ দিনের হিসাব আছে।

হাব এ ২০ দিন করে মোট ১৮ মাসের উল্লেখ আছে (এত গেল মোট ৩৬০ দিন)। আর বাকি ৫ দিন নিয়ে আরেকটি মাস হিসাব করা হয়েছে যার নাম উয়ৈব। প্রতিটি মাসের নিজস্ব একটি করে নাম আছে। প্রতিটি দিনের আবার ধর্মীয় তাৎপর্য আছে। তুন-উকঃ এটা হচ্ছে চাঁদের পঞ্জিকা।

এতে চক্রটি হিসাব করা হয়েছে ২৮ দিন দিয়ে যাতে মেয়েদের রজঃচক্রের হিসেবের প্রতিফলন দেখা যায়। এই চক্রানুসারে প্রতি ৭ দিন পরপর আরও চারটি করে ছোট ছোট চক্র সম্পন্ন হয়। এই ছোট চক্রগুলো হল চাঁদের চারটি দশা। তযোকি’নঃ এটি মায়নাদের একটি পবিত্র পঞ্জিকা। এতে কৃত্তিকার পরিক্রমণ পথানুসারে চক্র পূরণ করা হয়েছে।

এ চক্রানুসারে সম্পূর্ণ অরবিট ঘুরে আসতে এর সময় লাগে ২৬,০০০ বছর। আর এই পঞ্জিকাতে ২৬০ দিনে একেকটি বছর পূর্ণ করা হয়েছে। এতে মায়ানদের দুটি পবিত্র নম্বরের বিন্যাস ঘটেছে। একটি ১৩ এবং অন্যটি ২০। এতে চারটি ছোট ছোট চক্র আছে যাদের বলা হয় সিজন বা ঋতু।

প্রতিটি ঋতু ৬৫ দিনের। এদের নামগুরো হল চিকচ্যান, ওক, মেন এবং আহাউ। এই পবিত্র পঞ্জিকাটি এখনও মায়ান আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত আছে। তযোকি’ন পঞ্জিকাটি হা’ব পঞ্জিকার সাতে সম্পর্কযুক্ত। হা’ব পঞ্জিকাটিতে ৫ দিনের সমন্বয়ে যে মাসটি রয়েছে সেটিকে খুব ভয়ঙ্কর একটি সময় বলে গণনা করা হয়।

তযোকি’ন এবং হা’ব পঞ্জিকা দিয়ে একটি পূর্ণ চক্র সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৫২ বছর। অধিকাংশ আর্কিওলজিস্টরা মনে করেন মায়ানরা খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৩,১১৪ বছর আগে থেকে সময় গণনা করা শুরু করেছে। আমাদের বর্তমান পঞ্জিকা মতে খ্রিস্টের জন্মের বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রথম বছর গণনা করা হয়। আর মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটাকে হিসাব করা হয় শূন্য বছর। এই সময়টাকে লেখা হয় এভাবেঃ ০-০-০-০-০।

একটা নতুন চক্র শুরু হওয়ার আগে ১৩ চক্রের ৩৯৪ বছর শেষ হয়ে যাবে। আর নতুন চক্রটি শুরু হবে ২০১২ সালে। " মায়া" সভ্যতার ভবিষ্যতবানী অনুযায়ী আগামী ২০১২ সালের ২১শে ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে। কেউ কেউ বলছেন এটা কেবল এক স্তর থেকে অন্য স্তরে যাওয়া। মায়া'দের মতে এ ধরনের স্তরগুলো ২০ বছর পার হয়ে অন্য স্তরে পৌঁছায়।

২১শে ডিসেম্বরে পৃথিবী এমন একটি স্তরে যাবে। বর্তমানে অন্য একটি চক্রে আছে পৃথিবী। এটাতো হলো মায়া'দের বিশ্বাস। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে আরো একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। আমরা যে ক্যালেন্ডার আজ ব্যাবহার করছি, তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার যেটা দিন, সপ্তাহ, মাস এবং বছরের সমন্বয়ে গঠিত।

মায়াদের ক্যালেন্ডার আরো জটিল যেটা আসলে একসাথে তিনটি ক্যালেন্ডার। তাদের ধর্মীয় ক্যালেন্ডার হলো ২৬০ দিনের। এখানে আছে ১৩ দিনের ২০ টি সপ্তাহ। এরপর আছে তাদের সৌরজগতের ক্যালেন্ডার যেটি ৩৬৫ দিনের যা ২০ দিনের ১৮টি মাসে বিভক্ত। ধর্মীয় ক্যালেন্ডার মতই এগুলোরো আছে বিভিন্ন চিহ্ন।

২০১২ সালের সাথে যে ক্যালেন্ডারটির সংযোগ, সেটা হলো মায়াদের দীর্ঘ ক্যালেন্ডার বা লং কাউন্ট। তাদের ধর্মীয় এবং সৌরজগতের ক্যালেন্ডারগুলো বছরের পর বছর একিভাবে আবর্তিত হতে থাকে। কিন্তু লং কাউন্টের ক্যালেন্ডার দিন ১ থেকে শুরু করে চলতেই থাকে ক্রমানুসারে। প্রথম দুটো ক্যালেন্ডার কে বলে "কগ" বা "গিয়ার্স"। লং কাউন্ট ব্যাবহার করে ইতিহাসের যেকোন দিনকে লিপিবদ্ধ করে রাখা যায়।

মেক্সিকানরা অনেক সময় এটি ব্যাবহার করে বিশেষ দিন যেমন বিবাহ, জন্ম, বা ভয়াল কোন দিনের ভবিষ্যতবানী করে থাকে। আমরা যেরকম ১, ২, ৩, ৪ ..... ইত্যাদি অনুসারে গুনি, মায়ান'রা তাদের লং ক্যালেন্ডারে ব্যাবহার করে অন্যভাবে। তারা আমাদের মত ডান থেকে বামে লিখে। কিন্তু তাদের শুধু ৫টি ঘর বরাদ্দ আছে। প্রথম ঘরের সংখ্যাটি হতে পারে ০ থেক ২০ এর মধ্যে।

ডান পাশের দ্বিতীয় ঘরে হতে পারে ০ থেকে ১৭'র মধ্যে, তৃতীয়তে ০ থেকে ১৯, চতুর্থতে ০ থেকে ১৯ এবং পঞ্চমে ০ থেকে ১২'র মধ্যে। মায়াদের সিস্টেমে আমাদের মত ১০ এর বদলে তারা সবচে ডান পাশের সংখ্যাকে গুন করে ০ দিয়ে, ডান থেকে দ্বিতীয়কে গুন করে ২০ দিয়ে, তৃতীয়টিকে ৩৬০ দিয়ে, চতুর্থকে ৭২০০, এবং পঞ্চমকে ১৪৪০০০ দিয়ে গুন করা হয় এবং সবশেষে এগুলোকে যোগ করা হয়। তারা নাম্বার লিখে একটি ডটের মাধ্যমে আলাদা করে। যেমন ৪.১২.৫.৯.০ সংখ্যাটি। উপরোক্ত নিয়মানুযায়ী এটি হবে, (4 x 144000) + (12 x 7200) + (5 x 360) + (9 x 20) + (0 x 1) = 145980 একটু মাথা ঘাটালেই দেখবেন এভাবে সর্বোচ্চ যে সংখ্যাটি হিসেব করতে পারবেন, তা হলো ১২.১৯.১৯.১৭.২০, তবে অনেক বিশেষজ্ঞরা এটাকে ১৩.০.০.০.০ হিসেবে লিখে থাকেন।

হিসেব করলে যেটি পাবেন, তা হলো ১,৮৭২,০০০ দিন বা ৫১২৫.৩৬ বছর। মায়াদের বিভিন্ন ইতিহাস এবং পুরাতত্বের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা হিসেব করেছেন যে আগস্ট ১১, ৩১১৪ বি.সি (বিফোর ক্রাইস্ট, যীশু খ্রিস্টের পুর্বে) ই ছিল,মায়াদের লং কাউন্টের প্রথম দিন। এবং এভাবে হিসেব করলে তাদের ক্যালেন্ডারের যে দিনটিতে সমাপ্তি ঘটবে তা হলো ডিসেম্বর ২১, ২০১২। এখন প্রশ্ন হলো, শুধু কেবল মায়াদের ক্যালেন্ডার ২০১২ সালেই শেষ হবে বলে কি পৃথিবীরও কি একি দিনে সমাপ্তি ঘটবে? আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে কি সৌরজগতের সাথে এটি কি কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে? কি ঘটবে এই দিনে? সুর্যের কি হবে? সৌরজগত - এই দিনে সুর্য এবং আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের সাথে সমন্বয় ঘটবে বলে অনেকে বলছেন। কিন্তু অন্যরা বলছেন এটা অসম্ভব কারন মিল্কিওয়ের কেন্দ্র এবং পৃথিবীর মধ্যে ৬.৫ ডিগ্রির তফাত রয়েছে।

সুর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে সমন্বয়কারী লাইনটি বছরে দুবার মিল্কিওয়ে অতিক্রম করে এবং এটা হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে। এছাড়া মিল্কিওয়ের প্লেন পরিস্কারভাবে বর্নিত কোন প্লেন নয়। বরং এটা পরিসংখ্যান, বিজ্ঞান এবং গনিতের উপর ভিত্তি করে বর্নিত আনুমানিকে প্লেন। দুরত্বের উপর মধ্যাকর্ষন শক্তির প্রভাব নির্ভর করে। সুর্য থেকে আমাদের দুরত্ব ৮ মিনিট আলোকবর্ষ।

চাঁদ থেকে সুর্যের দুরত্ব আরো কম। কাজেই তার উপর সুর্যের প্রভাব পৃথিবীর চেয়ে বেশি। মিল্কিওয়ের ব্ল্যাকহোল থেকে আমাদের দুরত্ব ১৮,০০০ আলোকবর্ষ এবং তার মধ্যাকর্ষন শক্তির প্রভাব কোনভাবে মাপা সম্ভব নয়। অন্যরা বলছেন, আপনি কোন বৃত্তের ভেতর থাকলে, তার কেন্দ্র থেকে সবসময়েই এই এলাইনমেন্ট হতে পারে। সংক্ষেপে, দুটি বস্তু, তারা যেখানেই অবস্থিত হোকনা কেন, তাদের মধ্যে একটি সরলরেখা একেঁ এলাইনমেন্ট তৈরি করা যায়।

একটা উদাহরন দেই। ব্যাপারটা হচ্ছে এমন ধরনের - ধরুন আপনি হলেন পৃথিবী, আপনার মাথার ৪০ ফুট উপরে একটি কবুতর, এই কবুতর কে সুর্য হিসেবে কল্পনা করুন। কবুতরের ৪০,০০০ ফুট উপরে একটি বিমান, এখানে বিমান হলো মিল্কিওয়ের কেন্দ্র। এখন আপনারা তিনটি বস্তুই একত্রিত হলেন, মানে এলাইনমেন্ট হলো আপনাদের। এখন এর ফলাফল কি? একে অন্যকে কিভাবে প্রভাবিত করছে? কেউ কেউ বলছে সৌরজগতের এসব প্রক্রিয়ার কারনে পৃথিবীতে নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ যার মোকাবেলা করা অসম্ভব।

প্রতি ১৩,০০০ বছর পর পরই এ নিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এভাবেই 9792 BD তে ধ্বংস হয়ে গেছে (খুঁজে না পাওয়া) আটলান্টিস সিটি। তখনো ঠিক সুর্য মিল্কিওয়ের কেন্দ্র অতিক্রম করছিল এভাবে। বিজ্ঞানীরাও ১০,০০০ বছর বা তারো আগের বরফ পরীক্ষা করে দেখেছেন যে ওই সময়ে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছিল পৃথিবী। মায়া'য় বিশ্বাসকারীরা বলছেন সব ধুয়ে মুছে শেষ হয়ে যাবে ২০১২ তে।

পুনরায় শুরু হবে জীবন, আবার শুরু থেকে যাত্রা হবে। উপসংহার- পৃথিবী ধ্বংস হোক বা না হোক, ২১শে ডিসেম্বর বিশেষ একটি দিন। কিন্তু মায়া'ন সভ্যতা কিভাবে এই দিনকে খুঁজে বের করেছে তা ধাঁধার । তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.