এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠেয় একটি পরীক্ষা বর্জন করে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের শাস্তিও দাবি করেন।
সদর উপজেলার দীঘিরচালা এলাকায় রয়েছে আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির এই ক্যাম্পাস।
পুলিশ এ ক্যাম্পাসের দুই কর্মকর্তাকে আটক করেছে।
এরা হলেন বিশ্ববিদালয়ের এ ক্যাম্পাসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমানত উল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাসসহ ১২টি শাখা ক্যাম্পাসের বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেনি কর্তৃপক্ষ।
“সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাদের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা মন্ত্রণালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনের প্রমাণ দেখাতে পারেনি,” বলেন নাজমুল।
দ্বিতীয় সেমিস্টারের মো. আলামিন বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫-২০ হাজার করে টাকা নিয়েছে।
“আমরা বুঝতে পেরেছি তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কেনো অনুমোদন নেই। এখানে ভর্তি হয়ে আমাদের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়েছে। তাই আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই এবং আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য কতৃপক্ষের বিচার দাবি করছি,” বলেন আলামিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ক্যাম্পাসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ফার্মগেটস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস থেকে অনুমোদন নিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এ শাখা চালু করা হয়েছে।
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমানত উল্লাহ বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানে বৈধতা আছে। তারপরও যারা টাকা ফেরত দাবি করেছেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে রাজি আছি। এজন্য আমাদের সপ্তাহ খানেক সময় দিতে হবে। ”
জয়দেবপুর থানার ভোগড়া ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল হক বলেন, বুধবারের মধ্যে ছাত্রদের দাবিমতো টাকা ফেরত এবং প্রতিষ্ঠানের বৈধ-কাগজপত্র দিতে বলা হয়েছে।
আটকদের ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।