যখন যেখানে যেমন তেমন
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রায় ২ বছর হল কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকেট ইস্যু করছে। বেশ ভাবের কাজ, টিকেট চাইলে কম্পিউটারে টাইপ করে প্রিন্ট আউট দেয়, আবার দেখাও যায় যে কয়টি সিট ফাঁকা আছে, আদৌ আছে কিনা। সিস্টেমটা ভালো, সন্দেহ নাই। কিন্তু কথা হল, রেলওয়ের সবগুলো স্টেশন কি একটি সেন্ট্রাল নেটওয়ার্কের আওতা ভুক্ত? নাকি, লোকালি ওই স্টেশনে যতগুলি সিট আছে ততগুলোই দেখা যায়?
যদি সেন্ট্রাল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হয় তাহলে ছোট স্টেশন গুলোয় সিট পাওয়া যায় না কেন? আর রিটার্ন টিকেট কাটা যায় না কেন? দক্ষিণ বঙ্গের বাস গুলোতে যাদের এমন সিস্টেম আছে তাদের তো রিটার্ন টিকেট পাওয়া যায়।
আর যদি সেন্ট্রাল সিস্টেমের আওতাভুক্ত না হয় তাহলে কি সেন্ট্রাল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করার কোন প্রজেক্ট আছে সরকারের? আর যদি নাই হয় তাহলে এই সিস্টেমের দরকার কি? আজাইরা ডিজিটালের তো কোনো দরকার নাই, ২ দিন পর পর ই প্রিন্টার নষ্ট, কম্পিউটার চলে না। যে কাজ হাতে করতে ৫ মিনিট লাগে সেটার জন্য আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা, কোনো লাভ আছে?
আজকে অগ্রিম টিকেট কাটতে গেছি, কয় ৫ টার আগে দিব না, আজব কথা! আবার কয়েকদিন আগে সিরাজগঞ্জ স্টেশন থেকে বার্থ এর টিকেট কাটতে গেছি, কয়, এই স্টেশন এর আওতার বার্থ নাই, অথচ কম্পিউটারে বসে টিকেট ইস্যু করছে। ব্যটারে তুইলা আছাড় মারতে মনে কইছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।