ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সাংবাদিক পেটানোর ঘটনা বাড়ছেই
যুগান্তর, Wed 14 Jul 2010
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংবাদিক পেটানো ও হয়রানির ঘটনা বাড়ছেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী এ ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। কোন সংবাদ তাদের বিরুদ্ধে গেলেই তারা চড়াও হচ্ছে সংশি¬ষ্ট রিপোর্টারের ওপর। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময়েও ছাত্রলীগের উচ্ছৃংখল নেতাকর্মীরা সাংবাদিক পিটিয়েছে। গত দেড় বছরে এ তিনটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হাতে হামলার শিকার হয়েছে ২৪ জন সাংবাদিক।
এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের মাত্র ১ জন কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে শাস্তি দিয়েছেন ৪ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে। সাংবাদিক নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে সংবাদ সংস্থা ‘শীর্ষ নিউজ’র বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মেহদী হাসানকে পেটানোর ঘটনা। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
গত দেড় বছরে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ১৫ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এর আগে বিরোধী দলে থাকাকালে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে মধুর কেন্টিনে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় তখন সাংবাদিকরা ছাত্রলীগের সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করে দেন। পরে সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন টিএসসিতে সাংবাদিক সমিতিতে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে সমঝোতা করেন। কিন্তু উচ্ছৃংখল নেতাকর্মীদের রুখতে পারেনি ছাত্রলীগ।
সংশি¬ষ্টরা জানান, ক্যাম্পাসে এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে বহিষ্কারসহ সাময়িক ব্যবস্থা নিলেও পরে হামলাকারীরা দাপটের সঙ্গেই ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করে।
সম্প্রতি ঢাবির ঘটনায় ১ জন গ্রেফতার : শুক্রবার রাত ১১টার দিকে শীর্ষ নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মেহদী হাসান বঙ্গবন্ধু হলের গেস্টরুমে তার বন্ধুকে নিয়ে বসতে যায়। এসময় বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন আহমদের ক্যাডার বলে পরিচিত সোহেল ও জাহিদ গেস্ট রুমেই বসে ছিল। মেহদী গেস্ট রুমে প্রবেশের সময় সালাম না দেয়া ও সোফায় বসায় ক্ষেপে গিয়ে মাথায় আঘাত করে সোহেল।
মেহদীর নাকে আঘাত লেগে নাক ফেটে যায়। এসময় সোহেলের বন্ধু জাহিদসহ কয়েকজন মিলে মেহদীকে বেদম পিটুনি দেয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি শুক্রবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এসময় ভিসি সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে শাহবাগ থানায় মেহদী বাদী হয়ে সোহেল ও জাহিদের নামে একটি মামলা করেন। মামলা নং-১৭। ৩২৩, ৩২৪ ও ৩০৭ ধারায় এ মামলাটি করা হয়। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে জাহিদকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ ক্যাডার সোহেল এ ঘটনার আগেও ২ জন সাংবাদিককে মেরেছিল।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ একই হলের ওয়াহিদ ও সোহেল বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক বাবুর ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার রাকিব আহমেদকেও তারা পিটিয়ে আহত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওয়াহিদকে ৬ মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও সোহেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
ঢাবিতে সাংবাদিক আহত ১৫ : গত দেড় বছরে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৫টি হামলার ঘটনা ঘটায়। এতে ১৫ সাংবাদিক আহত হন।
২০০৯ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ছাত্রলীগের হামলায় ৮ জন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরপর গত অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে আহত হয়েছেন ইউএনবি’র বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারসহ ২ সাংবাদিক। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ৩ জনের নাম উলে¬খ করে ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায়ও ছাত্রলীগ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এছাড়াও কয়েক মাস আগে সূর্যসেন হলের এক ঘটনায় এবিসি’র বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার রামিমসহ ২ জন সাংবাদিক আহত হন। এতেও ছাত্রলীগ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক পেটানোর সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ঘটে এবছর ৫ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর শাহবাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল সভাপতি তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এ ঘটনা ঘটান। এতে সাপ্তাহিক বুধবারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রদায়ক ও সাপ্তাহিক ২০০০-এর স্টাফ রিপোর্টার আহত হন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসন রিপনসহ ১২ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এ ঘটনায়ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
জাবিতে আহত ৩ : গত দেড় বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি ঘটনায় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে ৩ সাংবাদিক পিটুনির শিকার হয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ শিক্ষার্থীকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলাকালীন এক মাসের জন্য বহিষ্কার করে। পরে আবার তারা ক্যাম্পাসে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়।
এ বছরের এপ্রিলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাগর গ্র“পের সম্রাটের হাতে আহত হন কালের কণ্ঠ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ইমন রহমান। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ জনকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করে।
গত বছরের এপ্রিলে ছাত্রলীগ ক্যাডার জসিমের হাতে পিটুনির শিকার হন দিনকালের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার সাজ্জাদ পারভেজ। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ওই বছরই মে মাসে ছাত্রলীগ ক্যাডার শামিমের হাতে পিটুনির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার রেজাউল হক কৌশিক। এ ঘটনায়ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় শামিমকে ১ মাসের (গ্রীষ্মকালীন ছুটির মাস) জন্য বহিষ্কার করে।
জবিতে আহত ৬ : ১৭ জানুয়ারি ২০০৯ মোবাইল ছিনতাই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে দৈনিক সংবাদপত্রের জবি প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রূপককে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
একই বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জবি প্রতিনিধিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলাও করা হয়েছিল। চলতি বছরের ১ এপ্রিল ছাত্রী লাঞ্ছনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারের হাতে আহত হন দৈনিক ডেসটিনির প্রতিনিধি পারভেজ রেজা ও কালের কণ্ঠের জসিম রেজা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া ৮ এপ্রিল ছাত্রলীগের ক্যাডাররা রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় মানব জমিনের জবি প্রতিনিধি সোলায়মান সালমান ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি জসিম রেজাকে পিটুনি দেয়।
এ ব্যাপারেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
জবি সাংবাদিক সমিতি দখল : ২৮ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দখল করে নেয় ছাত্রলীগ। ওইদিন সাংবাদিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভায় ১০-১২ জন ছাত্রলীগ ক্যাডার হামলা চালিয়ে সমিতিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এখানে ছাত্রলীগের ৮ বছরের পুরনো কমিটির নেতাদের ইচ্ছাতেই গঠিত হয় সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি। আর মার খাওয়ার ভয়েই কর্মরত সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন কোন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
শুধু সাংবাদিক বলে কথা নয়, একজন সাধারণ ছাত্র কারও দ্বারা নির্যাতনের শিকার হলে তারও বিচার হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, গত দেড় বছরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মীদের মোট ৩টি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানেন। তবে তার মধ্যে ২টি ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ২ জনকে বহিষ্কার আর ১টি ঘটনায় তাৎক্ষণিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা খুবই বিরল। সাংবাদিক লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের একাডেমিকভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের বক্তব্য : সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ছাত্রলীগ সব সময়ই সাংবাদিকতা পেশার প্রতি সম্মান জানিয়ে আসছে। আমার জানা মতে, ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যদি কোথাও এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। তিনি এসব ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপিত শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, ছাত্রলীগ সুশিক্ষিত শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন।
এখানে বিশৃংখলাকারীদের কোন স্থান নেই। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সেক্রেটারি নির্জল আলম সাম্য বলেন, যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি এখন স্থগিত, সেহেতু প্রশাসনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, তবে কোন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়নি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সেক্রেটারি গাজী আবু সাঈদ বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ফলে এ ধরনের ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
আমরা প্রতিটি ঘটনারই দৃষ্টান্তমূলক বিচার করেছি। এ ধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
**নিজ ঘরানার পাচাটা সাংবাদিকরাও সাবধান!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।