আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু নির্যাতন।

* আমি খুজে বেড়াই নিজেকে *

রাজধানীর নামকরা স্কুলগুলোতে শিশু নির্যাতন। একটা উদাহরন নীচে দিলাম আমার ভাগ্নে একটা নামকরা স্কুলে পড়ে, ক্লাস সিক্সে। বয়স ১০/১১ বছর। সে ভুল ক্রমে টুপি(ইউনিফর্ম)পরেনি। ক্লাশ টিচার এই অপরাধে তাকে ১০০ বার কান ধরে উঠ বস করিয়েছে।

পাক্কা ১০০ বার, এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে । ক্লাস ছুটি শেষে সে যখন বের হয় তখন সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এবং গত এক সপ্তাহ ধরে তার সমস্ত শরীর ব্যথার জন্য সে চলাফেরা করতে পারেনি। পেইনকিলার খেয়ে ব্যথা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। তার সেকি কান্না।

আমার বোন কমিটির কাছে কোন অভিযোগ করতে রাজী নয়। কারন তাহলে ওরা নাকি ভাগ্নেকে স্কুল থেকে বের করে দিবে। এরকম নাকি অহরহই ঘটে থাকে। একজন টিচার কেমন করে কোন ধরনের পশু হলে একটা নুন্যতম অপরাধে এমন বাচ্চা স্টুডেন্টকে এরকম শাস্তি দিতে পারে। এই ভালো স্কুলের টিচারগুলা কি পশুর চেয়েও অধম।

যেখানে উন্নত দেশে বাচ্চাদের অনেক যত্ন সহকারে আদর স্নেহ দিয়ে পড়ানো হয়। সেখানে আমাদের তথাকথিত ভালো স্কুলগুলোতে সামান্য পান থেকে চুন খসলে অমানুসিক নির্যাতন শুরু করে দেয়। এবং বাচ্চাদের মতে তাদের টিচার রা এতে আনন্দ অনুভব করেন। যেখানে দেশ জাতি শিশু অধিকারের জন্য লড়াই করে থাকে। শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকার, বিভিন্ন সংগঠন ওয়ার্কশপ চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এরকম শিশু নির্যাতন মানা যায়? আমাদের টিচারদের কি কোন আচরন বিধি নাই? তাদের কি কোন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা থাকা উচিত নয়? তারা শিক্ষক নাম দিয়ে অমানুষই থেকে যাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.