আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গলার কাঁটা পুরনো ফাটা ও ছেঁড়া টাকা’



ড. আর.এম. দেবনাথ কিছুদিন আগে ইত্তেফাকের ‘শিল্প বাণিজ্য’ পাতায় ছোট্ট একটি খবর ছাপা হয়েছে। খবরটি ছোট, কিন্তু জনস্বার্থ ও অর্থনীতির নিরিখে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জানি না খবরটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে কীনা। আমার অনুমান তা না পড়ার কথা। পড়-ক বা না পড়-ক বিষয়টির ওপর সিরিয়াস আলোচনা হওয়া দরকার।

সংশ্লিষ্ট খবরটির শিরোনাম: ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গলার কাঁটা পুরনো ফাটা ও ছেঁড়া টাকা। ’ দৃশ্যত মনে হবে এ আর কী খবর? কিন্তু খবরের ভেতরে গেলে পিলে চমকে ওঠে। যেমন খবরে বলা হচ্ছে ‘পুরাতন ছেঁড়া ও ফাটা নোটের স্তূপ জমেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। লোকবলের অভাবে এসব নোট এখন গণনা ও যাচাই-বাছাই করা ছাড়াই রেখে দেয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে। পুরনো নোটের সংখ্যা প্রতিদিন এত বেশী বাড়ছে যে ভল্টের ভেতরে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

ভল্টে ঠাঁই না হওয়ায় বারান্দায় রাখতে হচ্ছে এসব নোটকে। খবরে আরো বলা হচ্ছে নোট গণনা করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় নোট পোড়ানো বা ধ্বংস করাও সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু স্থান সংকুলান হয়েছে না, গণনা করা যাচ্ছে না এবং যেহেতু লোকবলের অভাব তাই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ছেঁড়া-ফাটা নোট বাংলাদেশ ব্যাংক আর গ্রহণ করছে না। ফলে ব্যাংকে ব্যাংকে জমা হচ্ছে ছেঁড়া ফাটা নোট। মানুষ পড়ছে বিপাকে।

খবরটিতে আরো বলা হয়েছে নোট গণনার মেশিনগুলোর মধ্যে অধিকাংশ মেশিনই এখন অচল। ওপরে আমার মত করে উদ্ভূত খবরটি পড়লেই বোঝা যায় কী ভয়াবহ চিত্র! খবরের শেষের অংশটুকু দিয়েই আলোচনা শুরু করি। ভাবা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মত দেশের একটি অত্যন্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নোট গণনার মেশিন অচল। সারা বাংলাদেশের ছেঁড়া-ফাটা নোটের শেষ অবস্থানস্থল হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাংকে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকার নোট জমা হয় এবং শত শত কোটি টাকা সেখান থেকে বিভিন্ন ব্যাংক উত্তোলন করে।

নোট গণনার কাজ এখানে একটি অত্যন্ত জরুরি কাজ। এ কাজে লোকবল যতই হোক না কেন মেশিন না থাকলে সে কাজ আজকের দিনে সুচারুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় আরো একটি কারণে। আমাদের দেশে যেখানে নগদ টাকার ব্যবহার কমার কথা সেখানে তা বাড়ছে। আমরা প্রযুক্তিগত উন্নতির যত কথাই বলি না কেন, এটিএম, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদির কথা যতই বলি না কেন বাস্তবে নগদ টাকার ব্যবহার বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানাবিধ নিয়মের কারণে মানুষ নগদ টাকায় লেনদেন করে বেশী। এমতাবস্থায় লোকবল বাড়িয়ে নোট গণনার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা অসম্ভব একটি ব্যাপার। এ কাজে সহায়তা করার জন্য এখন ব্যবহƒত হচ্ছে নোট কাউন্টিং মেশিন। মুহূর্তে এসব মেশিন শতগুণ টাকা গুণতে পারে। সেই কাউন্টিং মেশিনই বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই।

যা আছে তার অধিকাংশই অচল। বাংলাদেশ ব্যাংকের কী টাকার অভাব? টাকার অভাব বাংলাদেশ ব্যাংকের একথা বিশ্বাস করা আর পাগলামি করা একই কথা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক অপারেটিং মুনাফা করেছে ২৫০০ কোটি টাকা। অতএব এ কথা কোনভাবেই বলা যায় না যে, বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার অভাবে কাউন্টিং মেশিন কিনতে পারে না। যদি তাই হয় তাহলে নষ্ট হওয়া মেশিন ঠিক করতেও টাকার অভাব তা বিশ্বাস করা যায় না।

টাকা খরচের ক্ষমতা কী বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই? এটাও বিশ্বাস করা যায় না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? কাউন্টিং মেশিন পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকলে, বর্তমান মেশিনগুলো ঠিক থাকলে কী আজকে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা হতো? নিশ্চয়ই নয়। এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত সবার কাছে পরিষ্কার করা। এমনিতেই আমরা কিছুদিন আগে খবরের কাগজের মাধ্যমে জেনেছি পুরনো, ছেঁড়া-ফাটা নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে এবং তা বাজারে আবার ঢুকছে। এ ঘটনা উšে§াচনের পর কাগজে দেখেছি কিছু লোকের চাকরি গিয়েছে।

যে কারণে চাকরি গিয়েছে বা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে কারণটি কিন্তু ঘোরতর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে টাকার মালিক। সেখানে যদি টাকা নিয়ে নয়-ছয় হয় তাহলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। স্বাভাবিক অবস্থাতেই যদি এমনটি হয় তাহলে তো আমরা সাধারণ লোকেরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাবতেই পারি বর্তমান বিশৃঙ্খল অবস্থায় না জানি কী ঘটেছে? বারান্দায় টাকা, ভল্টে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। পরিস্থিতিটা কী ভয়াবহভাবে জটিল নয়? আমি নিশ্চিত এ অবস্থা একদিনে তৈরী হয়নি।

টাকা তোলা, বিভিন্ন ব্যাংকের জমা দেয়া টাকা তোলা, বিভিন্ন ব্যাংককে টাকা বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যাশ বিভাগের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের লোকজনদেরকে নিয়মিত মাসোহারা দিতে হয় বলে অভিযোগ আছে। না দিলে টাকা গোণা বাছার কাজ হয় না। এ সমস্যা শুধু ঢাকা অফিসের নয়। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের বিরুদ্ধেই এ অভিযোগ আছে।

অভিযোগ আছে, সোনালী ব্যাংকের অফিস সম্বন্ধেও। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই সেখানে সোনালী ব্যাংক ‘ট্রেজারির’ কাজ করতে গিয়ে একই হয়রানির সৃষ্টি করে। এ সম্বন্ধে যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংককে জিজ্ঞেস করলে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। সমস্যাটির সমাধান দরকার। হয়রানির কথা বাদই দিলাম, টাকা না গোণার ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তার সমাধান কী? প্রথম সমস্যা ছড়িয়ে- ছিটিয়ে থাকা ট্রাঙ্ক ভর্তি নোট বেহাত হয়ে যেতে পারে।

শত শত ট্রাঙ্কভর্তি অ-গোণা নোটের হিসাব কে রাখে? সত্যি সত্যি এগুলোর সিকিউরিটির ব্যবস্থা কী আমার জানা নেই। আমার সন্দেহ একই অবস্থা সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারিতেও। সন্দেহ অমূলক হলে দেশবাসী নিশ্চয়ই খুশী হবেন। কিন্তু এক সমস্যা যে আরেক সমস্যার সৃষ্টি করছে তার কী হবে? দেশবাসী দেখতে পাচ্ছেন বাজারে ছেঁড়া-ফাটা নোটে সয়লাব। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় দুই টাকার নোটের কথা।

এই নোটের ওপর এ পর্যন্ত বহুবার বহু কাগজে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। স্বাস্থ্যের নিরিখে ডাক্তাররা বারবার বলছেন এ ধরনের পচা নোট নানা ধরনের রোগ ছড়ায়। কিন্তু পচা দুই টাকার নোট বাজার থেকে যাচ্ছে না। পাঁচ টাকার নোটের অবস্থাও তাই। আগে এ নোট নতুনভাবে পাওয়া যেত না।

ইদানীং মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। দশ টাকার নোটের অবস্থা কী ভিন্ন? আমি জানি না এ ধরনের নোট বাজারে কীভাবে চালু থাকে। এখন শুনেছি নোট নাকি দেশের ভেতরেই ছাপা হয়। সত্য-মিথ্যা জানি না, তবে একথা জানি আমাদের দেশে যেভাবে ছেঁড়া-ফাটা নোট বাজারে চালু আছে তা কোন সভ্য দেশে সম্ভব নয়। কেন এমনটি হচ্ছে? টাকার অভাবে নোট ছাপা যাচ্ছে না? না কি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া ছেঁড়া-ফাটা নোট চোরাই পথে অবিরত খোলাবাজারে চলে আসছে।

একথা একদম অসত্যি এবং অমূলক তা এখন আর বলতে পারছি না। কারণ ইতিমধ্যেই এ ধরনের ঘটনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেক স্টাফের বিচার হয়েছে। ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে তাই শেষ কথা নয়। কিছুদিন আগে খবর ছাপা হয়েছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্লোজ সার্কিট টিভি’ নাকি অচল। এসব খবর ছোট।

কিন্তু যখন এ ঘটনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঘটে তখন তা আর ছোট থাকে না। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশে দুটো নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ অন্য কোন ব্যাংক দিয়ে সম্ভব নয়। নিয়মিতভাবে নোট ছাপানো, নোট ইস্যুকরণ, নোট বদলানো, মুদ্রা সরবরাহ ঠিক রাখা এটা তাদের অন্যতম প্রধান কাজ। এ কাজ অন্য কোন ব্যাংক দিয়ে সম্ভব নয়।

অথচ কিছু কিছু কাজ আছে যা এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক করতে করতে তারা ভারাক্রান্ত বলে মনে হয় তা অন্য প্রতিষ্ঠানেও করতে পারে। বিষয়টি পরিষ্কার করি। নোট ইস্যু, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা সরবরাহ বাদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো কয়েকটি কাজ করে। যেমন আন্তঃব্যাংক ক্লিয়ারিং-এর কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে। ৪৮টি তফসিল ব্যাংকের কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে।

বিভিন্ন ব্যাংকের কাজ তারা নিরীক্ষা করে। অনেকের ধারণা একাজ করতে করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার আসল কাজে নজর দিতে পারছে না। কিছুদিন আগে একটি ওয়ার্কশপে অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিষয়টি তোলা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ বিষয়টি খুব জরুরি। নিরীক্ষণ, ব্যাংক সুপারভিশন, ক্লিলারিং-এর মত কিছু কাজ আছে যা আলাদা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে করানো সম্ভব।

কারেন্সী ব্যবস্থাপনাসহ অনেক জরুরি কাজে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান পারফরমেন্স দেখে মনে হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। এটি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার আসল কাজ অর্থাৎ মুদ্রা ব্যবস্থাপনার কাজে মনোনিবেশ করতে পারে। অনেকেরই ধারণা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ও সুপারভিশন কাজে খুব বেশী নিয়োজিত। এ ধারণাটি অমূলক তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। উপস্থিত ক্ষেত্রে অবশ্য আমার কয়েকটি সুপারিশ আছে।

সোনালী ব্যাংকের যেসব শাখায় ‘ট্রেজারির’ কাজ হয়, সেখানে তদন্ত হওয়া দরকার, বিশেষ করে অগোণা টাকার ওপর। ট্রাঙ্কভর্তি টাকা-সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকেই হোক আর সোনালী ব্যাংকেই হোক না অখোলা অবস্থায় পড়ে আছে তা নিয়মিত ‘মনিটর’ করার ব্যবস্থা করা দরকার জরুরী ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে একটি উদাহরণ দিতে চাই। একসময় স্বর্ণ রেখে ব্যাংক ঋণ দিত। এরজন্য স্বর্ণ পরীক্ষক ছিল।

একসময় দেখা গেল ভল্টে সোনা আছে খাতায় অথবা কেতাবে। বাস্তবে যা পাওয়া গেল তা হচ্ছে সোনার নামে দানা/ভিন্ন কিছু। কী বিচার হবে তখন? স্বর্ণ পরীক্ষক জীবিত নেই, সংশ্লিষ্ট অফিসাররা অবসরে। অতএব কার বিচার কে করে? এমন একটা অবস্থা ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে হোক তা কেউ চায় না। আশাকরি বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে গভর্নর সাহেব ভাববেন।

এই প্রসঙ্গে আর একটি কথা আলোচনা করতে হয়। ঢাকা শহরের বিভিন্ন খোলামেলা জায়গায় নোট বদলের কাজ হয়। এই ব্যবসায়ীরা টাকার বিনিময়ে/কমিশনের বিনিময়ে পুরনো নোট নিয়ে নতুন মোট দেয়। ডজন ডজন লোক প্রকাশ্যে এ ব্যবসা করে। তাদেরকে সদরঘাটে পাওয়া যায়, পাওয়া যায় গুলিস্তানে।

প্রশাসন সবই জানে, কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। অথচ একজন সাধারণ লোক যদি কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে যায় এবং নোট বদল করতে চায় তাহলে তাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। এক কথায় খাতিরের লোক ছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক নোট বদলের কাজ করে না। তারা বলে এ নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে তারা বদলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। অতএব তারা ঝামেলা নিতে চায় না।

অথচ নোট ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও স্টাফের সাথে যোগসাজশে এই নোট বদলের ব্যবসাটা করে যাচ্ছে দিব্যি। বহুবার একথা বলা হয়েছে যে এরা একটা চক্র। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছেঁড়া-ফাটা নোট বের করে এনে বাজারে পুনঃচালু করার কাজে এরাও জড়িত বলে দীর্ঘদিনের সন্দেহ। এমন অভিযোগের পরও এ ব্যবসা চলছে দিব্যি। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।

এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবমূর্তি নষ্ট হলে তা অর্থনীতির জন্য মারাত্মক খবর। আশা করি গভর্নর সাহেব এ বিষয়টি নিয়েও ভাববেন। [লেখক: অর্থনীতিবিদ] দৈনিক ইত্তেফাকের চিঠি পত্র কলাম থেকে সংগ্রিহিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.