আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারবে কি খালেদা সার্ভাইভ করতে - যুদ্ধাপরাধের পক্ষে দারিয়ে ?? বিদায় ঘন্টা বাজলোনাতো !


পারবে কি খালেদা সার্ভাইভ করতে - যুদ্ধাপরাধের পক্ষে দারিয়ে ?? বিদায় ঘন্টা বাজলোনাতো ! এখন যদি এই সরকার দোদর মোদর করে যে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবেনা - কি হবে তবে ?? জনগন কি ছেরে দেবে এই সরকার কে, অয়ামিলীগ কে , শেখ হাসিনা কে ? এই প্রশ্নের উত্তর এ দেশের সবাই জানে । মনে হয় জানেনা শুধু খালেদা জিয়া । আজকে খালেদারা ঘোষনা দিয়েছে তাদের সাথে তিনাদের বন্ধন নাকি অটুট থাকবে --নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীর মুক্তি চেয়েছেন খালেদা জিয়া । কিসের আশায় কিসের ভরসায় খালেদা এই কাজ করে ? এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে বুড়া আংগুল কেন দেখায় - ব্যাপারটা আমাকে সত্যি ভাবায় । কি সেটা ? কি ? কি ?? কি এমন জিনিষ যার জন্য খালেদা ওদের সাপোর্ট করে ?তবে আমরা কি ভাববো খালেদার স্বামীকে মুক্তিযোদ্ধা - নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরভিত্তি ? খালেদা নাকি এক সময় পাকিস্তানীদের ক্যাম্পে ছিল ।

কি ভাববো আমরা এই ক্যাম্পে থাকাকে ? নিজামী মুজাহিদদের খুব শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধের অপরাধে গ্রেপ্তার দেখানো হবে । খালেদা তাদের মুক্তির জন্য আন্দোলন গড়ে তুলছে । কৈ মির্জা আব্বাসের আটকের জন্য আন্দোলন করত - তাওতো চোখের পর্দা থাকতো । খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা হয়ে দারালে যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে এক বিশাল জনমতের বিরূদ্ধে দারাতে হবে । কিসের জন্য খালেদা এই কাজ করছে ? কি এমন জিনিষ আছে তার কাছে যা এই বিশাল জনমতকে বুড়া আংগুল দেখাচ্ছে ? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হলে কাদের লাভ - খালেদার কি লাভ ? খালেদা পারত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক সেটা চাইতে ।

খালেদা পারত বিচারে বাধা না দিতে । পারত এদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে । পারত জনগনের সামনে কোন স্ট্রাটেজি থ্রো করতে যা দিয়ে দেশের উন্নতি হয় । একটা দায়িত্বশীল আচরন করতে পারত । তিনি তা করলেন না ।

তিনি স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরেও পাকিস্তানের স্বার্থরক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে রাজাকারদের সমর্থন দিলেন। বিরোধীদললিয় নেত্রী একজন সেকেন্ড প্রাইম মিনিষ্টার । আমরা সত্যি হতভাগা জাতী । একটা গল্পবলি - কোর্টে মামলা চলছে এক বাচ্চার মাত্রিত্ব দাবী করছে ২ মহিলা । এক পর্যায়ে জজ সাহেব বলল - ঠিক আছে বাচ্চা কেটে ২ ভাগ করে ২ মা কে দিয়ে দেই ।

তখন আসল মা চিৎকার করে বলে উঠল - " আমি ওর মা নই । " মানে বাই হুক অর ক্রূক আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবেই । ক্ষমতার চেয়ারে আমি না বসতে পারলে কাউকে বসতে দিবনা - স্পষ্ট এই তো খালেদার রাজনিতী । দেশে খালেদা জিয়াধারার রাজনীতি থাকলে বার বার আরেক পক্ষকে এই সিচুয়েশন ফেস করতে হবে । আমার মনে হয় এখন সময় যারা প্রোলিবারেশন এবং প্রোপিপল এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের ।

যারা সরকারের ব্যার্থতার স্বমালোচনা করবে । দেশের স্বার্থে কাজ করবে । সংঘাতের রাজনিতী থেকে আমাদের বেরিয়ে আসবে । জীবন দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে । এই দেশে অনেক ভাল মানুষ আছেন যারা আওয়ামিলীগ সাপোর্ট করেন কারন এ এছারা অন্য কোন ভাল অপশন নাই বলে ।

আবার অনেকে আছেন যারা কোনদলকেই সাপোর্ট করেনা । আওয়ামীলীগ একটা হেটারোজেনাস দল - তবে যারা আওয়ামিলীগের ডিসিসিভ পারসোনালিটি তারাও এই ২ ডাইন্যাস্টি চায়না । এমনকি শেখ হাসিনা নিজেও না । বিরোধী দলের কাজটা তো অনেক দায়িত্বপূর্ন । সরকার ভূল করলে তা ধরিয়ে দেওয়া ।

শুধু সরকার না সরকার এবং বিরোধীদলেরা মিলে দেশ চালাতে হয় । খালেদা দেশের একটা উইং দেশের বিরূদ্ধে এক্টিভেট করে না দিলে কি এমন ক্ষতি হত ?? দেশের বিভিন্ন জায়গা ব্লগে মিডিয়াতে অনেক গূনী লোক আছেন যারা সরকারের সমালোচনা করেন এবং তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাশ করে । সুখী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে । সংঘাতের পথে তারা কখনই হাটবেনা । সবাই মিলে সোনার বাংলা গড়বে ।

তবে এখন যেইটা দরকার তা হল সরকারকে সহযোগিতা করা । আওয়ামীলীগ একটা হেটারোজেনাস দল । যে যাই বলুক এই সরকারের বিন্দুমাত্র আন্তরিকতার অভাব নাই যুদ্ধাপরাধের বিচার করার । এক রাতের মধ্যে সবাইকে নিয়ে ফাসি দিলেই তা বিচার হয়না । তা করলে তো করাই যেতো ।

কাজটা করতে হবে লাইক এ পারফেকশনিস্ট । খুব খেয়াল করে । বিচার হবার পরে যেন আরো কিছু ইস্যু না থেকে যায় । বিচারের পরের কাজগুলো আরো অনেক কঠিন । দেশে যেসব মস্তিস্ক ধোলাই হয়েছে সমস্ত মস্তিস্ক কাউন্টার ধোলাই করা ।

ধোলাই করে তা একজন এলিজেবল সিটিজেন এর লেভেল এ আনা । কারন তা আমাদের দেশেরই ছেলেপেলে । তবে একটা ব্যাপার ও আছে যে - যখন আমার পায়ে গ্যাংগ্রীন হয় তখন সেটা রেখে জ্বালা সহ্য করার চেয়ে পা কেটে ফেলাই ভাল । তবুও এই কাজটি সহজ নয় । খালেদা সমস্ত যুক্তি তর্ক আলাপ আবেদন উপেক্ষা করে নিজামীদের মুক্তি চেয়েছে ।

এখন আমাদের করনীয় কি ? একটাই কাজ : সরকারের হাত ধরা । সমস্ত দেশ ২ ভাগে বিভক্ত যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষে অথবা পক্ষে । বিচার হোক তার পরে আওয়ামীলীগের তুলো ধুনা করা যাবে । সেই সময় আছে । সুযোগ আছে ।

কিন্তু এখন এই সময় আর এই ৩৮ বছর পরের সুযোগ যদি হাতছারা হয়ে যায় ৩৮০ বছরেও আসবে কিনা সন্দেহ । তবে আমি আশাবাদী । আমার মনে হয় খালেদা নিজেই তার অজান্তে তার বিদায় ঘন্টা জানালেন - যুদ্ধাপরাধীদের সাপোর্ট করে । আপনারা কি বলেন ?
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.