আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটবল নিয়ে সেরা কিছু জোকস



*************************** তোমাদের দলটা যাচ্ছেতাই। আমাদের একজন কম ছিল, তার পরেও তোমরা ৯ গোলে হারলে। - একজন কম, মানে? তোমাদের দলে ছিল ১১ জন খেলোয়াড় এবং স্বয়ং রেফারি। তাই নয় কি? *************************** দুই চরম ফুটবল ভক্ত বন্ধু প্রতিজ্ঞা করল, তাদের ভেতর যে-ই আগে মারা যাক না কেন যেভাবেই হোক, দুনিয়ায় ফেরত এসে জানাবে যে পরপারে ফুটবল ম্যাচ হয় কি হয় না। একদিন হঠাৎ করে তাদের একজন মরে গেল।

মৃত বন্ধুকে কবর দিয়ে এসে রাতের বেলা জীবিত বন্ধু অপেক্ষা করতে থাকে, কখন খবর আসবে বন্ধুর কাছ থেকে। এমন সময় ঘর ভরে গেল কুয়াশায়। জীবিত বন্ধুটি দেখতে পেল, কুয়াশার মধ্যে আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে মৃত বন্ধুর ছায়ামূর্তি। সেই ছায়ামূর্তিকে দেখেই সে ভীষণ কৌতূহলে জিজ্ঞেস করল, ‘কি রে, কী খবর?’ ছায়ামূর্তি বলল, ‘তোর জন্য দুটো খবর আছে। একটা ভালো, একটা খারাপ!’ ‘কী খবর, তাড়াতাড়ি বল!’ ‘পরপারে ফুটবল খেলা হয়।

’ ‘বাহ্! সে তো খুবই ভালো খবর! আর খারাপ খবরটা কী?’ ‘ঐ ম্যাচে তুই রেফারি!’ ************************************ স্বর্গ আর নরকের মধ্যে একটা ফুটবল ম্যাচ খেলা হবে। স্বর্গের বাসিন্দারা তো হেসেই খুন, বলে, ‘সেরা ফুটবলারদের সবাই তো স্বর্গে রয়েছেন, তো তোমরা খেলবে কাকে নিয়ে!’ তাই শুনে নরকের বাসিন্দারা হেসে জবাব দিল, ‘রেফারিরা যে সবাই এখানে, সেটা জানো না!’ ************************************* নিজেদের দল হেরে যাওয়ায় তিন ফুটবল ভক্ত বেশ হা-পিত্যেশ করছে। প্রথম ভক্ত: এই অবস্থার জন্য দলের ম্যানেজারই দায়ী। যদি তিনি দলে নতুন খেলোয়াড় নিয়ে আসতেন, তাহলে জয় আমাদের নিশ্চিত ছিল। দ্বিতীয় ভক্ত: না না, এর জন্য খেলোয়াড়েরাই দায়ী।

তারা যদি আরেকটু ভালো খেলে একটা গোল দিতে পারত, তাহলে বিরোধী দলকে কুপোকাত করা যেত। তৃতীয় ভক্ত: আরে ধুর! তোরা যা বলিস না! এর জন্য আসলে আমাদের বাবা-মা দায়ী। বাবা-মা যদি অন্য কোথাও থাকতেন, তাহলে আমাদের অন্য কোথাও জন্ম হতো। তখন আমরা অনেক ভালো একটা ফুটবল দলকে সমর্থন করতাম। তাহলে আর এমন পরাজয় দেখে কাতরাতে হতো না, বুঝলি? ************************************** গোলের পর গোলদাতা উল্লাসে ফেটে পড়বে, সতীর্থরা এসে আলিঙ্গনে বাঁধবে, আর সেই উৎসবে গ্যালারি থেকেই যোগ দেবে সমর্থকেরা—এটাই তো স্বাভাবিক দৃশ্য।

কিন্তু ভেবে দেখুন, গোলের পর পুরো গ্যালারি হাসছে, আর গোলদাতা বিব্রত, লাজ-রাঙা মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনটাই হয়েছিল ১৯৩৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। টানা দ্বিতীয় শিরোপা থেকে মাত্র দুই ধাপ দূরে ইতালি। প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গেল ইতালি।

শট নিতে এগিয়ে এলেন অধিনায়ক পেপিনো মিয়াজ্জা। শট নিলেন, গোল হলো এবং প্রায় একই সঙ্গে খুলে পড়ে গেল তাঁর প্যান্ট! হয়েছে কি, খেলা চলার সময়ই মিয়াজ্জার শর্টসটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। পেনাল্টি কিকের সময় জোরালো শট নিতে গিয়ে শর্টসের দফারফা। গোল উদ্যাপন আর সতীর্থের সম্ভ্রম রক্ষা—দুটোই একসঙ্গে করতে হয়েছিল ইতালির খেলোয়াড়দের। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁরা ঘিরে রেখেছিলেন মিয়াজ্জাকে, ওই আড়ালেই নতুন শর্টস পরে নিয়েছেন মিয়াজ্জা।

****************************************** সুত্রঃ প্রথম আলো, রসআলো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.