আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো কাম্য

৭১ এর চেতনা বুকে জ্বলছে অবিরত

ঢাকা নগরী থেকে ২০-২৫ বছরের পুরনো ও অননুমোদিত বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনার যে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নিয়েছে, তা বহুল প্রত্যাশিত। লাইসেন্সবিহীন বা ভুয়া চালকদের আইনের আওতায় আনার কথাও সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছিল। কারণ রাজধানীর রাস্তায় এক-চতুর্থাংশ গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী থাকবে_ এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কেবল দুর্ঘটনা ও দূষণই নয়, ঢাকায় চলাচলকারী প্রায় এক লাখ ফিটনেসবিহীন গাড়ি যানজটের জন্যও প্রধানত দায়ী বলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি গঠিত এক কমিটি জানিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ সেল এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে, রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিনই একজনের মৃত্যু হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

আহত হচ্ছে আরও বেশি। পরিসংখ্যানে এ-ও জানা যাচ্ছে যে, এসব দুর্ঘটনার ৯৮ ভাগই ঘটছে বাস, মিনিবাস বা ট্রাকের বেপরোয়া গতির কারণে। এসবের চালকদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দুর্ঘটনাও নিশ্চয়ই নিয়ন্ত্রণে আসবে। আমরা পুরনো ও অননুমোদিত যানবাহন এবং লাইসেন্সবিহীন ও ভুয়া চালকবিরোধী এ অবস্থানকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে ঢাকঢোল পিটিয়ে সূচিত অভিযানটি যাতে নিছক শাসানিতে পরিণত না হয়, সে সতর্কতাও আগাম দিয়ে রাখতে চাই।

কারণ এর আগে নিকট অতীতে এমন তিনটি অভিযান লক্ষ্য পূরণ ছাড়াই সমাপ্ত হতে দেখা গেছে। সর্বশেষ গত বছর সেপ্টেম্বরে 'অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট' চলাকালে আটক প্রায় দুই হাজার পুরনো গাড়ি ফের রাজপথে ফিরে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। এবার এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। অভিযান ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে আটক গড়ে তিনটি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিং স্পট থেকে 'সার্টিফিকেট' নিয়ে রাস্তায় নামার অভিযোগটিও কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখুক। বিশেষ অভিযানের বদলে অনুমোদনহীন গাড়ি ও চালক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সারাবছরই জারি রাখা যায় কি-না সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে বলি আমরা।

এক্ষেত্রে বিআরটিএর জনবল সংকটসহ যেসব সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়, সরকার আন্তরিক হলে তা নিরসন কঠিন নয়। ঢাকার রাস্তা দূষণ, দুর্ঘটনা ও যানজটমুক্ত রাখতে বাড়তি মনোযোগ দিতেই হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.