আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বজ্র আঁটুনি, ফস্কা গেরো



বাংলাদেশের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু ঘটে নি, কিন্তু তাদের পেশাগত দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করবার সময় এসেছে এখন। এর আগে বিডিআর বিদ্রোহের সময় উত্তেজিত সেনাকর্মকর্তারা যখন শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক ক্যান্টনমেন্টে যেতে বাধ্য করে এবং সেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক কিংবা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে হাহাকার বাইরে চলে আসে তখন সেনাবাহিনীর নিজস্ব নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিলো। মোবাইলে ধারণ করা এসব রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সংবাদ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া যে তাদের বজ্রআঁটুনি ফোস্কা গেরোর প্রভাব এটা বুঝবার মতো ক্ষমতা সম্ভবত হাঁটুতে বুদ্ধি নিয়ে চলা সেনাবাহিনীর নেই। তারাই নিজস্ব উদ্যোগে শেখ সেলিম, জলিল এবং বাবরের জবানবন্দী নীলক্ষেত এবং অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছিলো। যদিও সে জবানবন্দী ছড়িয়ে দেওয়ার নৈতিক এবং আইনী অধিকার তাদের আছে কি না এটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করাই যায়, কিন্তু সেটার তদন্ত হয় নি, এমন কি অভিযুক্ত কে কিংবা কারা সেটাও নির্ধারণ করা যায় নি।

যদি যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রের অত্যুৎসাহী কোনো কর্মকর্তা নিজস্ব উৎসাহে এটার প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব গ্রহন করেন তবে সে সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত সকল ব্যক্তিকেই ন্যুনতম শাস্তি প্রদান করা উচিত। বর্তমানে একই ভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে বিডিআরদের জবানবন্দী। জবানবন্দীতে সাক্ষর করবার পরে পুনরায় জবানবন্দী রেকর্ড করা এবং জিজ্ঞাসাবাদ করবার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে আমার। তবে আশ্চর্য হয়েছি এই চক্রের বেআইনী কার্যকলাপ দেখে। জিজ্ঞাসাবাদ এবং এ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যদি সবার জন্য উন্মুক্তই হয় তবে তাদের আলাদা করে নির্যাতনের প্রয়োজন কি, সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক এই জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্র, সাংবাদিকরা দেখুক, উপভোগ করুক এবং অবিকল জবানবন্দী ছাপিয়ে দিক সংবাদপত্রে।

আর যদি জিজ্ঞাসাবাদ সেলের লক্ষ্য এটা না হয়, তারা যদি গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় তথ্য গোপন রাখতে চান এবং তদন্তের তথাকথিত অগ্রগতি তদন্তের স্বার্থে কাউকে জানাতে না চান, তবে যে ব্যক্তি নিজে উদ্যোগি হয়ে এ কাজ করেছে তাকে শনাক্ত করা হোক। তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এটার পেছনের রাজনীতি কি? এটা কোন লক্ষ্যে করা হয়েছে? শেখ সেলিম, জলিল আর বাবরের সাক্ষাৎকার প্রকাশের লক্ষ্য ছিলো বিশেষত রাজনীতিবিদদের নগ্ন করে তাদের দুর্নীতি এবং কলুষতা সবার সামনে তুলে ধরে বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগে জনসমর্থন তৈরি করা, এবার লক্ষ্যটা কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.