আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাশ্চাত্যে ইসলাম



ইসলাম কখনো বাধ্য করেনি কাউকে ধর্মান্তরিত হতে । তারপরও যুগে যুগে মানুষ ইসলামের মহানুভবতায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছে । যেমন বিগত কয়েকটি বছরে দেখা যায় : পশ্চিম জার্মানী : সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমানে পশ্চিম জার্মানীতে মুসলিম সংখ্যা প্রায় ১৯ লক্ষ । পশ্চিম জার্মানীর হামবুর্গ সর্বাপেক্ষা বেশি মুসলিম-অধ্যুষিত নগরী । আরউইন বায়ার কয়েকবছর আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন ।

তিনি ছিলেন এক প্রটেস্ট্যান্ট পরিবারের সন্তান । খ্রীস্ট ধর্মের প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে তিনি বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করেন । এরপর ইসলামে দীক্ষিত হন । তিনি হামবুর্গ থেকে প্রকাশিত আল-ফাজর পত্রিকার প্রকাশক । এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, মাত্র এক বছরে শুধু তাঁর প্রচেষ্টাতেই দুইশত জার্মান পরিবার ইসলাম গ্রহণ করেছে ।

২৭ বছর বয়স্কা সেবনে স্মীথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন । আরব,তুরস্ক এবং পাক-ভারত উপমহাদেশীয় কিছু মুসলিম সহপাঠীর কলুষহীন উন্নত চরিত্র তাকে ইসলামের প্রতি কৌতুহলী করে তোলে । শেষপর্যন্ত এক লেবাননী সহপাঠীর সহায়তায় ইসলাম সম্পর্কে প্রচুর জানার পর ইসলাম গ্রহণ করেন । তিনি বলেন, যেদিন প্রথম ইসলামী পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম সেদিন পূর্ব-পরিচিত ৪/৫ জন জার্মান সহপাঠী নানা প্রশ্ন বাণে আমাকে জর্জরিত করে দিয়েছিল । এরপর আর কোন দিন অসুবিধায় পড়তে হয়নি ।

বরং লক্ষ্য করেছি, মাতৃজাতির সহজাত প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার এ শালীন পোশাক তাদের অধিকাংশের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধই জাগ্রত করেছে । আমেরিকায় ইসলাম : ১৯৯০ সালের এক ঘটনা । জনাব রায়হান খান আমেরিকান ইস্টার্ন মিসিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । তাঁর এক ছাত্রী ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামী পোশাক ও আচার-আচরণে নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেললে তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে তাকে কিছু প্রশ্ন করেন । তাদের এ প্রশ্নোত্তর গুলো পরে উত্তর আমেরিকার "ইউনিটা টাইমে"প্রকাশিত হয় ।

তাঁর একটি প্রশ্ন ছিল:" আপনি নিজের মাথার চুল পর্যন্ত নেকাব দিয়ে ঢেকে রাখেন । আমেরিকার এ সমাজে আপনার এ পোশাক কেমন লাগে?" তিনি উত্তরে বলেন :" একজন ধার্মিক মহিলার অনুভূতি যেমন, আমারও তেমন । মাথা ঢেকে রাখার কারণে অর্ধ উলঙ্গ মেয়েদের ভীরে একটি স্বতন্ত্র নিরাপত্তা বোধ করি । সাধারণত আমেরিকার মেয়েরা অর্ধ উলঙ্গ থাকার কারণে সবসময় অপহরণ আর ধর্ষণের আশংকার মধ্যে থাকে । কিন্তু আমাকে সে শংকা পোহাতে হয় না ।

" তাঁর আরেকটি প্রশ্ন ছিল:"আমেরিকাতে যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছে ,তাদের অধিকাংশই ইসলাম গ্রহণ করছে । এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?" তিনি বলেন:" এটার একটিই কারণ, পশ্চিমা জগতের জীবন সংগ্রামে না আছে সভ্যতার নাম-গন্ধ,না আছে সেখানে কোন ভারসাম্য ও পবিত্রতা । অথচ ইসলাম এগুলোর সমন্বয়ে একটি উন্নত জীবনের পথনির্দেশ দিয়েছে । পশ্চিমা দুনিয়ার সংকটপূর্ণ জীবনাচার থেকে ইসলাম বহু উন্নত ও উঁচুমানের । " শীর্ষস্থানীয় এক বৃটিশ বিজ্ঞানী ড: আর্থার জে এলিসন ইসলাম গ্রহণ করার পর একবার বলেন : "পবিত্র কোরআনে মানব সৃষ্টি সম্পর্কিত যেসব তথ্য রয়েছে সেসব নিয়ে দীর্ঘকাল প্যারাসাইকোলজিক্যাল গবেষণার ফলে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, কোরআন কোন মানুষের রচিত গ্রন্থ নয় এবং এতে নির্দেশিত ধর্মমতই প্রকৃত সত্য ধর্ম ।

" এতো গেল দুটি দেশের নতুন ও পুরনো ঘটনা । এ ধারাতেই চলছে এসব দেশে ইসলামের অগ্রযাত্রা । যার অগণিত প্রমাণ আমরা বিদেশি ইসলামী পত্র-পত্রিকার দিকে নিয়মিত চোখ রাখলেই দেখতে পাচ্ছি । এভাবেই চলছে, চলতে থাকবে ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।