আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীলঙ্কায় আটক ৬১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

রোববার দুপুরে তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
দেশে ফেরত আসা টেকনাফের বাসিন্দা আব্দুর সাকুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৯ জানুয়ারি টেকনাফ করমুড ঘাট থেকে দালালের মাধ্যমে আমরা নৌকা যোগে মালয়শিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। ৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের কোস্টগার্ড  আটক করে। ”
“একদিন একরাত মারধরের পর কোস্টগার্ড সদস্যরা আমাদেরকে মারধর করে ছেড়ে দিলে ৯ দিন পর থাইল্যান্ডের কাছাকাছি আমাদের বহনকারী নৌকাটি পৌঁছায়। ”
মহেশখালীর মো. শাহিনের ছেলে জিয়াউল হকও অবৈধভাবে মালয়শিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে একই নৌকায় উঠেছিলেন।


তিনি জানান, নৌকার মাঝি শরীফ তাদের দালালের কাছে হস্তান্তর করলে তারা থাইল্যান্ড কোস্টগার্ডের কাছে তুলে দেয়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা একটি জাহাজে উঠিয়ে তাদের ভারত মহাসাগরে ছেড়ে দেয়।
“তারপর প্রায় না খেয়ে ২৪ দিন সাগরে ভাসতে ভাসতে শ্রীলঙ্কার উপকূলে চলে আসি। ”
সাগর থেকে একটি ৪০ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়েছিল এবং সেই মাছ ও লোনাপানি খেয়েই মূলত তারা ২৪ বেঁচে ছিলেন বলে জানান জিয়াউল।
ফেরত আসা  টেকনাফের হোসেন আলীর ছেলে সাইদুল আলম বলেন, “শ্রীলঙ্কান মাঝিরা আমাদেরকে দেখলে সেখানকার কোস্টগার্ডকে বলে।

পরে তারা  উদ্ধার করে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যায়। ”
ফেরত আসাদের মধ্যে আনোয়ারা বেগম নামের  একজন নারীও রয়েছেন। আনোয়ারার স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন, তিনিও একইভাবে সেখানে গিয়েছিলেন।
স্বামীর পরামর্শে শরীফ ও মিটুন নামের দালালদের মাধ্যমে তিনি অন্যদের সঙ্গে মালয়শিয়া যেতে চেয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
আনোয়অরা বলেন, “ স্থানীয় দালালদের সাথে পৌনে দুই লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল, যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলাম বাকি টাকা পৌঁছানোর পর দেয়ার কথা ছিল।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ পরিচালক ইকবাল হোসেন  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আটককৃতদের মধ্যে ৬১ জনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করে তাদেরকে রেডক্রিসেন্ট এর সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। ”
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বহির্গমণ ও প্রটোকল পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “নৌকার মাঝি শরীফের সঙ্গে দালালদের আঁতাত থাকার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ”
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারিতে লঙ্কান নৌবাহিনী একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে  নারী-শিশুসহ মোট ১৩৮ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
বিবিসি তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১২৭ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছিল। বাংলাদেশর পররাষ্ট্র দপ্তর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৬১ জন বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক বলে নিশ্চিত করে তাদের দেশে ফিরে আনার উদ্যোগ নেয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.