আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কন্ঠ যুদ্ধ- নাহি কাজ, নাহি লাজ- মোরা সমানে সমান!

প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরওতো জানা!

আপনি চলতি পথে কোন পাগমানী (আফগানিস্তানের এক প্রভিন্সের পাঠান সম্প্রদায়) লোকের সাথে দেখা হলে যদি তাকে স্বর্গে যাওয়ার লোভ দেখান- সে আপনার প্রস্তাবে রাজী নাও হতে পারে যদি আপনার ভাষা বা আচরণ তার মনপুতঃ না হয়! আর যদি আপনাকে তার মনে ধরে, আপনার আচরণে সন্তুষ্ট হয় তাহলে আপনি যদি তাকে আপনার সাথে নরকে যেতে বলেন- সে লাফিয়ে বলবে 'পরোয়া নিস্তা!' এইটা হলো পাগমানীদের নিয়ে একটা জনপ্রিয় 'মিথ'। লিলিপুট আর ব্লেফুসকোবাসীদের পারস্পরিক যে যুদ্ধ- তার গোড়াতে ছিলো একটা বিতর্ক: ডিম মোটা অংশে ভাংগা আর ডিম চিকন (পাতলা) অংশ দিয়ে ভাংগা। লিলিপুটদের চিকন অংশে ভাংগার যুক্তি ব্লফুস্কোবাসীরা মেনে নিবে কেনো? আমাদের 'এ' দল আর 'বি' দলও তো এই একই যুদ্ধে সমাসীন। ডিম কোন অংশ দিয়ে ভাঙলে ভালো সেই বাকযুদ্ধ। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেসকল অস্ত্র দিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুরধার হলো আমাদের 'জিহবা'।

যা আসে তাই বলে ফেলি। ডিম সংকট কেনো? 'বি' দল মুরগীরে যথেষ্ট খাবার দাবার দেয়নি তাই। আর তুফান আসলো কেনো? 'এ' দলের মিনিস্টার কালো কুর্তা পরে তাই। আঘাতে আঘাতে জীঘাংসা চরিতার্থ না হওয়া পর্যন্ত এতে তৃপ্তি নাই। তবে কিনা গালিভার (জনগন) কিন্তু এই আগুন নিমিষেই মিটাতে পারে! (রাণীর বাড়ীতে যখন আগুন লাগলো লিলিপুটিয়ানরা শেষ পর্যন্ত গালিভারের দ্বারগ্রস্ত হলো।

আর গালিভার তো সেই আগুন নিভিয়েছিলো সামান্য এক চেষ্টায়- প্রাকৃতিক কর্ম করে!) পাগমানিদের কথায় ফিরে আসি- এই প্রচলিত পাগমানী মিথের ভাল বা মন্দ দুটো দিকই আছে- কিন্তু এর আলোকিত দিকটা হলো 'আমরা যদি আমাদের এই জিহবাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তবে আমাদের যে সামষ্টিক লাভ তাতে আমরা পিছিয়ে যেতে থাকবো নিরন্তর। আর এত যদি ব্যর্থ হতেই থাকি তাহলে আমাদের স্বপ্ন গুলো চারখার হতেই থাকবে- দেশ এবং দেশের বাইরে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।