হট নিউজ
এক গল্প শুনেছিলাম। গ্রামের এক সরল-সাদাসিধে মানুষ। সে নাকি গুণতেও জানতো না। তার স্ত্রী তাকে পঞ্চাশ টাকার একখানা নোট দিয়ে দোকানে পাঠালো। বলে দিল এই এই জিনিস আনবা।
দোকানদারকে এই নোট দিলে বিশ টাকা রেখে তোমাকে একখান সবুজ ও একখান লাল নোট অর্থাৎ ত্রিশ টাকা ফেরত দেবে। বেচারা দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে নোটখানা দোকানদারকে দিল। দোকানদার সবুজ নোট অর্থাৎ বিশ টাকার নোট না দিয়ে তিনখানা দশ টাকার নোট দিয়েছে। ঐ ব্যক্তি এতে দারুণভাবে চটে গিয়ে দোকানদারকে বললো, আমারে পাগোল পাইছো, সবুজ নোট কৈ? দিবা একখান সবুজ, একখান লাল নোট। দিছো তিনখান লাল নোট।
দোকানদার বললো, তিনখান লাল নোটেও ত্রিশ টাকা হয়। ঐ ব্যক্তি বললো, আমি ওসব বুঝি না আমার বাড়িওয়ালী যা বলে দিছে তার থেকে একটাকাও বেশিও নেব না একটাকা কমও নেব না। আমাদের মন্ত্রী-এমপি মহোদয়গণ ভারতের ডিকটেশন মানতে ঐ ব্যক্তির চেয়েও বেশি নিষ্ঠাবান। নাটবল্টু ঢিলে লোকেরা যাদের অভিভাবক মনে করে তাদের নির্দেশ পালনে এভাবেই নিজের সর্বস্ব বিলিযে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না।
এদেশে বিদ্যুৎ সমস্যা বর্তমানে সব থেকে কঠিন সমস্যা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে এসে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ মানেই আলো। চারদলীয় জোট মানেই অন্ধকার। আমরা যখন '৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম তখনও বিদ্যুৎ সংকট ছিল না এখন আমরা ক্ষমতায় এসেছি এখনো বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। চারদলীয় জোট সরকার বিদ্যুৎ খাত থেকে বিশ হাজার কোটি টাকা লুটেপুটে খেয়েছে। বিদ্যুতের কয়েকটি খুঁটি পোঁতা ছাড়া তারা এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করেনি।
তাই বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমরা এসেছি এখন আর বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। দেশবাসী খুবই আশান্বিত হয়েছিল যে এবার মহাজোট ক্ষমতায় এসেছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন দলের জাঁদরেল নেতারা রয়েছে। হয়তো অচিরেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আগে দিনে তিন-চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যের দু'তিন দিন পর হতে বার থেকে ষোল ঘণ্টা লোডশেডিং শুরু হয়ে গেল। বিদ্যুতের সাথে পানি ও গ্যাসের সমস্যাও প্রকট হয়ে দেখা দিল। কোনো কোনো এলাকায় তিন-চারদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অভাবে জীবন ধারণ করা খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিভিন্ন এলাকায় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাবিতে প্রায়ই মিছিল বের হচ্ছে।
যারা মিছিল বের করছে মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন তারা নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। জনগণের আগে জীবন ধারণের প্রশ্ন তারপরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। তাছাড়া যুদ্ধাপরাধীর বিচার এ দেশের জনগণের ইস্যু না। ভারতের ইস্যু। যে কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নামক নাটকটির ব্যাপারে জনগণের মোটেই মাথাব্যাথা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।