আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুমনা মেহেরুন আত্মহত্যা: বিডিপিসি'র ফলো আপ সংবাদ সম্মেলন

যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।

সুমনা মেহেরুন আত্মহত্যা: গতকাল ১৩ জুন ২০১০ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিডিপিসি ফলো আপ সংবাদ সম্মেলন করেছে। নীচের লিংকে মাবজমিনের প্রতিবেদনটি দেখতে পাবেন। Click This Link তরুন কবি মেহেরুন্নেছা (সুমনা মেহেরুন) ১৬ ফেব্রুয়ারী তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২:৪৫ মিনিটের সময় তার ভাড়া বাসায় (বাড়ী নং ২৭১/৮, নিরিবিলি আবাসিক এলাকা, শংকর, থানাঃ হাজারীবাগ, ঢাকা) সিলিং ফ্যানের সাথে নিজের ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মানবাধিকার রক্ষায় আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টনারশীপ সেন্টার (বিডিপিসি) ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে।

সুমনা মেহেরুনের আত্মহত্যা ঘটনাটির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে স্বরাস্ট্র সচিবকে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সুমনা মেহেরুনের সাড়ে দশ বছর বয়েসী ছেলে বলেছে---“(আত্মহত্যার আগে) আম্মু দরজা লাগানোর আগে আমাদের দুই ভাই-বোনেকে ডেকে নিয়ে বললো, আমার মৃত্যুর জন্য তোমার বাবা আর ভুত আঙ্কেল দায়ী থাকবে। তোমারা বড় হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। আম্মু প্রয়ই বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে যেতো ভুত আঙ্কেলের জন্য। আমরাও বেশ কয়েকবার ভুত আঙ্কেলের আফিসে গিয়েছিলাম।

আমার মা আর ভুত আঙ্কেল ফিসফিস করে কথা বলতো। আমরা কিছু্ই বুঝতে পারতাম না। বাসায় যতবারই ভুত আঙ্কেল আসতো ততবারই ভুত আঙ্কেল চলে যাবার পর আম্মু বলতো আব্বুকে কিছূ না বলার জন্যে। আমরাও তাই কিছু বলতাম না। ভুত আংকেলের আসল নাম কাজী আরিফ।

ধানমন্ডী ষ্টার কাবাবের উল্টো দিকে তার আফিস। আমি অফিস চিনি এবং আম্মুর সাথে সে অফিসে আমি গিয়েছি। “ বাড়ী নং ৭৭, রোড ৯এ, ধানমন্ডীর দারোয়ান কালাম ফকির বলেছে, “আব্বাস সাহেব বাসায় না থাকলে প্রায়ই সকালের দিকে আপার সাথে দেখা করার জন্য কাজী আরিফ সাহেব আসতো। আর আপাও মাঝে মাঝেই খাবার নিয়া যাইতো। একদিন কাজী আরিফ বাসায় ঢুকতে নিলে সোহাগ(আরেকজন গার্ড) কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করলে কাজী আরিফ সাহেব ওকে অনেক হুমকি ধামকি এমনকি গায়ে হাত পর্যন্ত তুলেছিল।

আর বলেছিল, তুই জানিসনা আমি কই যাই?“ কাজী আরিফের অফিসের দারোয়ান আরমান বলেছে, “আপা (সুমনা মেহেরুন) প্রায়ই সকালবেলা চলে আসতো (আমাদের অফিসে) স্যারের কাছে। আসার সময় খাবারও নিয়ে আসতো স্যারের (কাজী আরিফ) জন্য। আপা যখন আসতো তখন স্যারের রুমে ঢোকা বারণ ছিলো সবার। ১৫ তারিখ (১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১০) দুপুরের দিকে আপা হঠ্যাৎ করে কেমন যেনো রেগে দ্রুত (আমাদের অফিস ফেকে) চলে গেলেন। “


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.