আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ: http://bit.ly/gaWV2X
চলছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কমবেশি সবাই ফুটবল জ্বরে ভুগছেন। বিশ্বকাপ সেকেন্ড রাউন্ডে যাওয়ার আগেই আসুন ফুটবল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই যে তথ্যগুলো না জানা থাকলে আপনার দুঃখেই মরে যেতে ইচ্ছে করবে।
>> ফুটবল এমন একটা খেলা যেখানে বল থাকে মাত্র একটা । (প্রশ্ন করতে পারেন কোন খেলায় বল একটার বেশি থাকে? উত্তরঃ নাইন বল।
নাম নাইন বল হইলেও আসলে বল থাকে ১০টা)
>> ফুটবল খেলায় ব্যবহৃত বলটা গোলাকার । (জ়িজ্ঞেস করতে পারেন আরে মিয়া কোন খেলার বল গোলাকার হয় না? উত্তরঃ রাগবি। নিচে ছবিতে উদাহরণ দেখানো হইল।
>> ফটবল খেলা যে মাঠে হয় সেটার একটা সাইজ আছে আর সেটা সোজা বাংলায় চারকোণা আর কঠিন বাংলায় আয়তাকার । (মাঠের সাইজ কোন ব্যাপার না এমন খেলাও আছে।
জানেন সেটা? চিন্তা করতে থাকেন আর পড়তে থাকেন। লেখারই কোন এক চিপায় উত্তর দেয়া আছে। )
>> ফুটবল খেলায় দুইটা টিম একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে । (ইয়ে দুইটার বেশি টিম খেলে এমন খেলার নাম আমি জানি না। বক্সিং হইতে পারে।
যখন বাড়তি কোন পার্টি আইসা রিং এ ঢুইকা যায়)
>> ফুটবলে খেলায় গোলপোস্ট থাকে দুইটা । (টিম যখন দুইটা তখন গোলপোস্ট তো দুইটাই থাকা উচিত, কি বলেন? )
>> বিশ্বাস করেন আর না করেন, প্রত্যেক টিমে ১১জন করে খেলোয়াড় থাকে । (কসম! এতে আমার কোন দোষ নাই!! বিশ্বাস না হইলে ফিফা’র সাইট থেইকা দেইখা আসেন। )
>> এই খেলা হাফপ্যান্ট পিন্দা খেলন লাগে। (ব্লগার মাহমুদহাসান এর সৌজন্যে)
>> ফুটবল ৯০ মিনিটের খেলা।
১০০ মিনিট হলে ক্রিকেটাররা চিল্লাফাল্লা করতো তাদের সেঞ্চুরীর সাথে মিলে যায় বলে; তাই ৯০ মিনিট রাখা হয়েছে। (এই তথ্যের জন্য ব্লগার সালাহউদ্দীন আহমদকে ধন্যবাদ। )
>> এই খেলার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে বল ঢুকানো। (নিজের পোস্টেও ঢুকানো যায়, এত কোন বাধা নিষেধ নাই। তবে তখন সেটাকে আত্বঘাতী গোল বলে।
আর এ গোল হবার পরে নিজের টিমের চেয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা খুশি হয় বেশি। )
>> এই খেলায়ও প্রতি দলের একজন করে কোচ থাকে। যার কাজ হলো মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে চিল্লাফাল্লা আর নর্তনকুর্দন করা।
>> প্রতি গোলপোস্টের সামনে একজন করে গোলকিপার থাকে । (খেলোয়াড় যখন আনলিমিটেড না তখন তো একজনই রাখা উচিত।
)
>> গোলকিপারের সামনে তার টিমের দুই থেকে চারজন পর্যন্ত খেলোয়াড় থাকে যাদের নাম ডিফেন্ডার (গোল ডিফেন্ড করে তো তাই। )
>> মাঝমাঠেও দুই থেকে চারজন খেলোয়াড় থাকে যাদের নাম মিডফিল্ডার ( মিড অর্থাৎ মাঝমাঠে থাকে তো তাই। )
>> প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের একেবারে সামনে যে খেলোয়াড় থাকে তাদের বলা হয় স্ট্রাইকার। (ডিফেন্ডার আর মিডফিল্ডার নামের অর্থ বুইঝা থাকলে এইটাও বোঝার কথা। )
>> এই খেলাতে পুরো খেলাটাই খেলতে হয় পা দিয়ে।
মাঝেমধ্যে মাথাও ব্যবহার হয়। তবে হাত দিয়ে বল ধরলে বা হাতে বল লাগলে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করে।
>> ফুটবলে সাধারণত রেফারি তিনজন থাকে। কিন্তু এই বিশ্বকাপে আসলে রেফারি চারজন যার নাম খুব সম্ভবত ফোর্থ অফিসিয়াল।
এই লেখা যারা এতটুকু পড়েছেন তাদের এতক্ষণে বুঝে ফেলার কথা এটা পুরাই একটা ফাউলপুষ্ট।
তারপরেও যারা মাইনাস দেয়ার ইচ্ছায় দাঁত কিড়মিড় করে এতটুকু পড়েছেন তাদের সান্তনার জন্য রইল ফুটবল দিয়ে একটা জুস থুক্কু জুক্স।
এক পাগলাগারদের পাগলের সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলেন তুলনামূলকভাবে যাদের পাগলামি কম তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। তো সেজন্য তারা একটা ফুটবল খেলার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সাধারণ খেলার সাথে পার্থক্য এটাই যে এখানে ফুটবলটা লোহার! তো খেলা শুরু হবার পর যা হবার তাই হল। একের পর এক পাগল ধুমধাম পা ভেঙে মাঠের বাইরে যাচ্ছে।
এর মাঝে দেখা গেল এক পাগল মাঠে দাঁড়িয়ে আগ্রহের সাথে খেলা দেখছে। তার বলে লাথি দেয়ার কোন আগ্রহই নেই। তাই তার আচরণ দেখে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিলেন তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। রিলিজ পেপার তৈরি হবার পরে এক ডাক্তার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি বলে লাথি দিলে না কেন? তথাকথিত সুস্থ মানুষটি উত্তর দিল, আসলে আমি বলে হেড করার ধান্ধায় ছিলাম।
ওহো কুইজের উত্তর দেয়া হয়নি।
খেলার মাঠের সাইজ কোন ব্যাপার না এমন খেলাটি নাম হল গলফ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।