আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি মহিলারা কেমন আছে।



আমি সৌদি আরবে আছি, এখানে যা দেখতেছি তা কোন কোন ক্ষেত্রে সৌদি পুরুষদের চাইতে সৌদি মহিলারা এগিয়ে। হাসপাতাল কলেজ ইউনিতে চাকুরি এবং ব্যবসার দিকে সৌদি মহিলারা অনেক অগ্রসর। বর্তমানে , এখন আমাদের কোম্পানির অফিসে দেখছি নতুন করে ডেকর করা হচ্ছে , জানতে পারলাম মহিলাদের জন্য আলাদা কক্ষ বানানো হচ্ছে এবং ঐ কক্ষ মহিলাদের রুচি সম্মত। মহিলারা যে রং পছন্দ করেন ঐ রুমে ঐ রকম রং করা হচ্ছে, মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেট, আলাদা ক্যাপটেরিয়া। ঐ অফিসটা আমাদের বিশাল অফিসের মধ্যে আরেকটা অফিস।

মহিলারা ঐ খানে স্বাধীন ভাবে নিজেদের ইচ্ছামতো অফিস করতে পারবেন, কোন রকম ইভটিজিংয়ের শিকার হবেন না। আর তারা যদি কোন কাজে পুরুষদের সাথে তাদের যোগাযোগের প্রয়োজন হয় তার জন্যে টেলিফোন এবং কাগজ আনা নেওয়া করার মতো জায়গা রাখা হয়েছে। বাহির থেকে কোন পুরুষ ঐ রুমের বিতরে দেখার অথবা প্রবেশ করার সুযোগ নাই। এমন কি বাহির থেকে মহিলারা তাদের অফিসে প্রবেশের সময় ও কোন পুরুষের সামনে পরবেনা, বাহির থেকে তাদের জন্য আলাদা দরজা করা হয়েছে। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে যেখানে মহিলারা খুব আনন্দের সাথে কাজ করে যেতে পারবে।

বাংলাদেশে দেখা যায় স্ত্রী অফিসে কাজ করে আর স্বামী খুব টেনশানে থাকে যে অফিসে না আবার স্ত্রী পরকিয়া শুরু করেদেয়। একই রকম স্ত্রীরা ও টেনশান থাকে যে তার স্বামী অফিসের কলিগের সাথে ইটিশ পিটিশ করতেছে কিনা। কিন্তু এইখানে যে পরিবেশ, ঐ রকম টেনশান করার কোন রকম প্রয়োজন হবেনা। যে কোন পরিবারের মেয়ে, বউ অথবা স্ত্রী খুব সহযে কোন রকম টেনশান ছাড়া কাজ করে যেতে পারবে। মহিলাদের জন্যে অফিস এবং মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা সৌদি বলদিয়ার লোক এসে দেখে যাবে।

নির্ধারিত সময়ের পর বলদিয়ার লোক এসে যদি দেখে যে মহিলাদের জন্য অফিস এবং মহিলাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি, তাহলে কোম্পানির জরিমানা করবে, এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কোম্পানির লাইসেন্সও বাতিল করে দিতে পারে। এই জন্যে আমাদের অফিসে দেখালাম খুব দ্রুত কাজ করানো হচ্ছে। সৌদি সকল কোম্পানিতে কত % নাকি নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের জন্য, যেটা বাধ্যতা মুলক। সৌদি আরবের সৌদিদের ব্যবসা করতে কোন সমস্যা হয়না, এইখানে নাই হরতাল, নাই কোন আন্দোলন, নাই প্রতিমাসে যে কোন অযুহাতে ছুটি, নেই কারেন্ট চলে যাওয়ার ভয়। তাই যে কোন ব্যবসায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই ছলে।

আর ব্যবসার ক্ষেত্রে সৌদি মহিলারা অনেক অগ্রসর। আর হাসপাতাল গুলোতে সৌদি পুরুষদের চাইতে সৌদি মহিলারা অনেক এগিয়ে। কোম্পানীগুলোতেও সৌদি পুরুষদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে, ঠিক একই ভাবে মহিলাদের জন্যও কোটা করা হলো। আমি যা দেখছি, আমাদের দেশ এবং যারা নারীদের অধিকার নিয়ে গলা পাঠান তাদের দেশের চাইতে অনেক এগিয়ে সৌদি আরবের নারীরা এবং তারা পর্দার মধ্যে থেকেই তা সম্ভব করেছে। সৌদিআরবের নারীরা পৃথিবীর অন্যান দেশের নারীদের তুলনায় এতো অগ্রসর হওয়ার পরও কিছু লোক বেহায়ার মতো সৌদিআরবের নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন, শুধু তারা পর্দার মধ্যে থাকেন এই জন্যে।

যারা অসব্যের মতো নারীদের কে বেপর্দা করার জন্যে, সৌদিআরবের নারী অধিকার নিয়ে চিৎকার করছেন, তাদেরকে বলবো সৌদিআরব এসে নিজ চোঁখে দেখেন। এবং শিক্ষানেন এই দেশের নারীরা পর্দার মধ্যে থেকে কি ভাবে অনেকটা পুরুষের চাইতে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.