আমাদের দেশ বাংলাদেশ। এই দেশকে আমরা খুব ভালোবাসি। রক্ত দিয়া স্বাধীনতা আনছি, ভাষা আনছিÑ দেশের মহিলাদের অপমানের মধ্যে দিয়ে আমাদের এই দেশ অস্তিত্ব পাইছে। তার অস্তিত্ব গঠনের ইতিহাস-কথা আমাদের ইসকুলের বইয়ে নানা বয়ানে ছাপা আছে। এমনতর বিবিধ মাধ্যমে আমাদের চেতনা গঠন ও কাঠামো পাইছে।
এই চেতন লাইয়া আমরা বড় হইছি। চোখ-কান খোলা রাখলেই এই সব চেতনা মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে। তবে আমি এতো সব বুঝি না।
বুঝার চেষ্টায় আছি।
কিছু বুঝার আগেই দেখি দেশে কিছু অপঃ ঘটলেই লোকজন হাত ধরাধরি করে দাঁড়াইয়া থাকে।
কখনো সকলেই মৌন, কখনো দু’একজন বক্তৃতার ঢঙে কথা কয়।
আমি দেখি।
আমি দেখি আর বোঝার চেষ্টা করি। কিভাবে তারা ঘটিত অপঃ ঘটনার প্রতিবাদ জানাইতেছে। তাদের চোখে-চেহারায় কিসের ছায়া পড়ছে সেটাও দেখার চেষ্টা করি।
লোকমুখে শুনিÑ তারা নাকি মহান। সমাজের সেবক। তারা হাত ধরাধরি করে প্রতিবাদ করতাছে। এখন এমন একটা ধারণা আমার মধ্যে হইছেÑ সমাজে যারাই হাত ধরাধরি করে রাস্তার পাশে লাইন করে দাঁড়ইয়া থাকে তারাই মহানÑ সমাজ সেবক। সমাজের সেবা করতে করতে প্রাণ তাদের যায় যায় গো...
আমার ভালো ঠেকে না।
সমাজে অপরাধ আকছার ঘটতাছে। দুর্ঘটনা, নিত্যঘটনার রূপ পাইছে। সন্ত্রাস প্রতিদিনের পত্রিকার ছবি। কিশোরী ধর্ষণ-আত্মহত্যা-হত্যা.... পরিসংখ্যান ভয়ঙ্কর। নানা বিষয়ে রাষ্ট্রের উদাসীনতার ফালাফলÑ ভুগছে জনগণ।
এই বিষয়ে আমার দুই মত নাই।
কিন্তুক এই সবের প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে যদি হাত ধরাধরি করে দাঁড়ায় তাহলে মনে মধ্যে কেমন কেমন যেন লাগে। কিছুতেই মনকে বুঝাইতে পারি না।
এতো এতো বিভৎস-মর্মান্তিক-অযাচার-অন্যায়-অপরাধ-সন্ত্রাস-রাষ্ট্রীয় উদাসীনতার প্রতিবাদের প্রকাশ হিসেবে কিছু লোক হাত ধরাধরি করে রাস্তার এক পাশে লাইন করে দাঁড়ানোÑ এটা একটা প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে কার্যকর হতে পারে এটা কিছুতেই আমার বুঝের জগতে আসে না।
আমার প্রায়ই মনে হয়Ñ সমাজ সেবক ভাই ও বোনেরা একটা অপঃ কিছু ঘটলেই মনে করে কিছু তো একটা করতে হইবোই।
তার তো সমাজের প্রতি দায়িত্ব আছেÑ এই দায়িত্ব বোধ থেকে তারা রাস্তার পাশে লাইন করে হাত ধরাধরি করে দাঁড়ায়। এই দাঁড়ানো দিয়ে তারা নিজেকে দায়মুক্ত মনে করে। এই দাঁড়ানো থেকে তারা নিজেদের সমাজে মহান শ্রেণীভুক্ত মনে করে। কিশোরী ধর্ষণের পর গলাকাটা হয়েছেÑ কিছু লোক মানববন্ধব করলোÑ দায়িত্ব শেষ। মনে মনে একটু প্রশান্তিও পাওয়া যায়।
প্রতিবাদ তো জানাইলাম। সব কিছুর পর আমরা তো হিউম্যান বিং! বিং বলতে কিছু একটা আছে তো, তাই না! আফটার অল উই আ সিভিলাইজড!!
এর থেকে শুরু হয় দায় সারা গোছের দায়িত্ব শেষ করা। দায়মুক্ত ভেবে নিজেকে সমাজে পুনরায় স্থাপন করতে শেখা। সমাজে সেবক হতে পারলেÑ সমাজের কাছ থেকে নানা সুবিধাও আদায় করা যায়।
আজ কতো রকমারি মানববন্ধন দেখিÑ জলবায়ু বিপর্যয়Ñ ধরো হাত।
নদীর্ ভাঙ্গন রোধÑ দাঁড়াও নদী পাড়ে (মনে হয় নদী বুঝে ১০ জন মানুষ তার তীরে দাঁড়াইছে, এখন আর ভাঙ্গন যাইবে না!!)
নদী তো বোকা!! তবু লোকজন চিনতে না পেরে তার কর্ম করতেই থাকে। মানববন্ধনের লোকজন পাছা উচাইয়া.. উচাইয়া .. একটু একটু করে পিছাইতে থাকে। যেন নদীতে পড়ে না যায়। তাদের মধ্যে অনেকেই তো আবার জলাতঙ্ক রোগে ভুগতাছে!!!
পৃিথবীর আর েকান েকােনা েদেশ এমন প্রিতবােদর ভাষা আেছ তা জানার খুব ইেচ্ছ থাকেলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।