আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে বলার আপনি কে: মজিনাকে লতিফ সিদ্দিকী

এই বক্তব্য জানিয়ে রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, যে চিঠির শিরোনাম- ‘ট্রেড ইউনিয়ন প্রশ্নে আপনি বলার কে?’
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে প্রচলিত ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় তা চালুর দাবি রয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম প্রধান ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রও এই কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেয়ার সুপারিশ বিভিন্ন সময়ে করে আসছে।
মজিনা শনিবার এক অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন চালু করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
তার ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মন্ত্রী চিঠিটি পাঠান বলে তথ্য কর্মকর্তা জহিরুল সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
চিঠিতে মন্ত্রী বলেছেন, “ট্রেড ইউনিয়ন চালুর বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের ওপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি- তার (রাষ্ট্রদূত) কূটনৈতিক শিষ্টাচার এবং পদমর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না; বরং তার মন্তব্য দেশের সরকারের প্রতি অনধিকারচর্চাপ্রবণ, পীড়াদায়ক এবং উসকানিমূলক বলে মনে হতে পারে।”
বাংলাদেশে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন চালুতে উচ্চকণ্ঠ মজিনার নিজের দেশে কয়টি অঙ্গরাজ্যে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। 
বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক কল্যাণ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এবং শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধন করতে যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসও জানে বলে মন্ত্রী জানান।
সংবাদপত্রপত্রে প্রকাশিত মজিনার বক্তব্যকে ধরে এই চিঠি পাঠিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী। সেজন্য তিনি চিঠির শেষে লিখেছেন, “যদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত আপনার বক্তব্য সত্য না হয়ে থাকে, তাহলে দয়া করে আপনার অবস্থান ব্যাখ্যা করুন, যাতে করে অচিরেই বিভ্রান্তির অবসান হয়।”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.