আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রেড ইউনিয়ন দেন, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি দিয়েন না

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

পত্রিকায় দেখলাম, গার্মেন্টস শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকার অবস্থান নিয়েছে। ভালো লাগল। গার্মেন্টস মালিকরা তাদের স্বার্থে ইচ্ছামতো ব্যবসায়িক সংগঠন গড়তে পারলে শ্রমিকরা তাদের স্বার্থে সংগঠন গড়ার অধিকার রাখে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও কনভেনশন ৮৭ এবং ৯৪ অনুযায়ী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

একটি সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৫ হাজার গার্মেন্টস কারখানার ভেতর প্রায় শতাধিক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে। তাও নিবুনিবু অবস্থায়। ২০০৬ সালের শ্রম আইন অনুসারে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বা ইপিজেডে ‘শ্রমিক কল্যাণ আইন’-এর কথা বলা আছে। সুতরাং শ্রমিকদের কল্যাণে ট্রেড ইউনিয়ন গড়া কোন অবৈধ কাজ নয়। কিন্তু শ্রমিক সংগঠন গড়ার নামে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি ও ধান্দাবাজি করা অবশ্যই অবৈধ এবং কঠিন অপরাধ।

আমরা অতীতে দেখেছি, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। যারা শ্রমিকের অধিকারের কথা বলবেন, তারা মালিক ও রাজনৈতিক নেতাদের লেজুরবৃত্তি করেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন থাকলেও শ্রমিকদের কোন স্বার্থ রক্ষিত হয় নি। বরং তথাকথিত ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে শ্রমিকরা। বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলে শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক দল নামে অঙ্গ সংগঠন আছে।

এই দুটি অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা কোন শ্রমিক না, তারা ধান্দাবাজ। যারা শ্রমিক না, তারা যখন শ্রমিক সংগঠন করে তখন বোঝা যায়, প্রকৃত শ্রমিকের পাওনাটা লুটেপুটে খাওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। এই ধরনের ধান্দাবাজ ও বাটপারি অঙ্গ সংগঠন আগে বন্ধ করেন। ট্রেড ইউনিয়নের নামে গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজকতা ও রাজনৈতিক লেজুরড়বৃত্তি মেনে নেয়া যায় না। অন্য দিকে ট্রেড ইউনিয়ন না করতে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার হরণও মেনে নেয়া যায়।

তাই ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেন, কিন্তু নিশ্চিত করেন সেই ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য শ্রমিকরাই, কোন ধান্দাবাজ অশ্রমিক নয়। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সকল রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করেন আগে। খবর এখানে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.