আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন শহরে নতুন কর্মস্থল

এটা ক্যামেলিয়ার প্রথম চাকরি নয় ঠিকই; কিন্তু একেবারে নতুন শহরে বদলি হয়ে নতুন অফিসে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার পাঁচ বছরের চাকরিজীবনে এই প্রথম। সিলেটে কোম্পানির হেড অফিসে এসে যোগ দিয়েছে দিন-দশেক হলো। প্রথমে প্রমোশন পেয়ে বেশ আনন্দেই ছিল। কিন্তু এখন চিত্রটি একটু ভিন্ন। শুধু নতুন অফিসই নয়, নতুন শহর, নতুন সহকর্মী- সব মিলিয়ে খুব জটিল মনে হচ্ছে এই পরিবর্তন।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আগের কর্মস্থলের জন্য মন খারাপ। পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও জানা জিনিস ভুল হয়ে যাচ্ছে বারবার। এর জন্য বারদুয়েক সহকর্মীদের সামনে হঠাৎ করে অপ্রস্তুতও হতে হয়েছে ক্যামেলিয়াকে। এভাবে চললে যে কিছুদিনের মধ্যে অফিসে প্রচণ্ড অসুবিধা এবং বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে, এটা সে ভালোভাবেই বুঝতে পারছে। চাকরির জন্য শহর বদলের কথা শুনলে আজকাল আর কেউ অবাক হন না।

কিন্তু নতুন চাকরির মতো নতুন জায়গাও যে আমাদের কর্মজীবনে নানা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করি না। নতুন শহরে নতুন কর্মস্থলে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে রইল কয়েকটি পরামর্শ-

কী করবেন : নতুন শহরে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে একটু প্রস্তুতির প্রয়োজন। সেখানকার অফিসের স্ট্রাকচার, ওয়ার্কিং আওয়ার্স, ড্রেস কোড সম্বন্ধে যতটা পারেন খোঁজ নিন। সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্বন্ধেও পুরোপুরি অন্ধকারে থাকা কোনো কাজের কথা নয়। যদি সম্ভব হয়, ফোন বা ই-মেইলের মাধ্যমে সেই অফিসের কোনো কর্মীর সঙ্গে একটু অগ্রিম যোগাযোগ করুন।

নতুন অফিসের কাজ যদি আপনার এখনকার কাজের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা হয়, তাহলে একটু হোমওয়ার্ক করে নিতে দ্বিধা করবেন না। এর জন্য আপনার ব্যক্তিগত সময় খানিকটা খরচ হলেও, পরে 'কুইক লার্নার' হিসেবে বাহবা পাবেন।

* মনে রাখবেন, যে কোনো জায়গায় 'ফার্স্ট ইম্প্রেশন' খুব গুরুত্ব রাখে। সে জন্য অফিসে প্রথম ক'দিন নিজেকে একটু ফর্মালি পেশ করাই ভালো। সহকর্মীদের নাম মনে রাখা, মন দিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেওয়া, অফিসের চৌহদ্দি ভালো করে চিনে নেওয়া- সবই প্রথম ক'দিনের কাজের মধ্যে পড়বে।

প্রথম থেকেই অফিস গসিপ বা ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ঠিক নয়। সহকর্মীদের থেকে সাহায্য অবশ্যই চাইবেন কিন্তু তাদের কোনো ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করাই সমীচীন।

* ধীরে ধীরে নিজের বন্ধু চিনে নিন। সহকর্মীদের মধ্যে সবাই না হলেও দুয়েকজন সমমনস্ক মানুষ অবশ্যই পাবেন। তাদের সঙ্গে সময় বুঝে কাজ এবং কাজের বাইরের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

* আঞ্চলিক ভাষা অনেক সময়ই মানুষের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় দূরত্ব সৃষ্টি করে দেয়। অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে চলতে থাকা অনেক আলোচনা, আড্ডা, জোকস থেকে ভাষা না জানার কারণে বাদ পড়ে যেতে পারেন। নতুন সহকর্মীরা যদি অন্য ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত হন তাহলে যেমন-তেমনভাবে কাজ না চালিয়ে তাদের আঞ্চলিক ভাষা শেখার সহজ গাইডবুক কিনে ফেলুন। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত সহজ কথাগুলোর প্রতিশব্দ জেনে নিয়ে ডায়রিতে লিখে রাখুন। প্রয়োজনে ব্যবহার করুন।

এভাবেই সহকর্মীদের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.