আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিষ্টির প‌্যাকেটের মত বাংলাদেশ

কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..

একদা বিটলাদেশ নামক দেশে এক মহান শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষক মহোদয়ের নাম ছিল পল্টিট্রিক্স। একসময় সেই শিক্ষকের ছাত্রে ভরে গেছিল পুরো দেশ। প্রথমেই কিন্তু তাঁর এত্ত ছাত্র ছিলনা। তাঁর প্রথম ব্যাচে ছাত্র ছিল মোট দুজন।

ঐ দুই ছাত্রের নাম ছিল বেনেপিট্রো ও আওয়ামেট্রিক্স। প্রায় দশ বছরের শিক্ষা লাভের পর ঐ দুই ছাত্রের সমাপনী পরীক্ষা নিতে চাইলেন তাঁদের মহান শিক্ষক পল্টিট্রিক্স। তিনি এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে উঠোনে এসে বসলেন। সেখান থেকেই তাঁর ছাত্র বেনেপিট্রো ও আওয়ামেট্রিক্সকে ডাক দিলেন। বেনেপিট্রোকে আদেশ দিলেন, “হে আমার আদর্শবাহী প্রিয় ছাত্র, আজ তোমার সমাপনি পরীক্ষা নেব।

তুমি আমার কাছ থেকে এই মিষ্টির প্যাকেটটা নিয়ে দুই কিলোমিটার দুরের নদীর পাড়ে গিয়ে তোমার পায়ের ছাপ রেখে আসবে। এটাই তোমার পরীক্ষা। “ বেনেপিট্রো মিষ্টির বাক্স নিয়ে শিক্ষকের আদেশমত নদীর পাড়ে পায়ের ছাপ রেখে প্রায় আধঘন্টা পর ফিরে এল। এবার শিক্ষক পল্টিট্রিক্স তাঁর অপর ছাত্র আওয়ামেট্রিক্সকে মিষ্টির প্যাকেটটা দিয়ে একই আদেশ করলেন। আধঘন্টা পর আওয়ামেট্রিক্সও ফিরে এল।

শিক্ষক তাদেরকে বললেন, “বাছারা, তোমাদের পরীক্ষা হয়ে গেছে। এবার ফলাফল দেব। “ এই বলে তিনি মিষ্টির প্যাকেটটা খুললেন এবং একটা একটা করে মিষ্টিগুলো বেশ কয়েকবার গুনে দেখলেন। অনেকটা রাগত স্বরে ছাত্রদেরকে বললেন, “কি ব্যাপার! আমি যখন মিষ্টিগুলো প্যাকেট করেছি, তখন এতে বিশটা মিষ্টি ছিল, অথচ এখন দেখছি এখানে মাত্র তেরটা। বাকি মিষ্টিগুলো কোথায়?” আওয়ামেট্রিক্স প্রশ্ন শুনে সাথে সাথেই নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করার জন্য স্থূল জ্ঞানে জবাব দিল, “দেখেন আমার কোন দোষ নাই, আমাকে যখন আপনি প্যাকেটটা দিয়েছিলেন, তখন আমি গুনে দেখেছি এতে সতেরটা মিষ্টি ছিল।

নিশ্চয়ই বেনেপিট্রো আগেই কয়েকটা মিষ্টি মেরে দিয়েছে। “ --পাঠক, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, হারিয়ে যাওয়া বাকি চারটা মিষ্টি কে মেরে দিয়েছে? এই আজগুবি কাহিনীর মতই আমাদের দেশের রাজনীতিবিদগন নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমানিত করার জন্য একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকেন। অথচ তারা এটুকুও আন্দাজ করতে পারেনা যে, সাধারন মানুষ খুব বেশি বোকা নয়। আওয়ামী সভানেত্রী যখন বিএনপি সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বক্তব্য রাখেন, তখন সাধারন মানুষ বুঝতে পারে যে, আওয়ামী সভানেত্রী নিশ্চয়ই নিজের কোন অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছেন। আশা করি, স্থুল বুদ্ধির এসব রাজনীতিবিদদের পর নিশ্চয়ই কোন বুদ্ধিমান নের্তৃত্ব আসবে যারা নিজেদের দুর্বলতা এমন সহজভাবে প্রকাশ করে দেবেনা।

বরং ভাল ভাল কিছু কাজের মাধ্যমে খারাপকে দূরীভূত করে সকলের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে যে, এভাবেই দেশকে গড়তে হয়। হিংসা দিয়ে নয়, সহানুভূতিই এদেশকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সংঘর্ষ কখনোই ভাল ফলাফল আনেনা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.