আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"রহস্যের জটলা”

রাত জেগে অনন্তকাল চাঁদ দেখা, কিম্বা ক্লান্তিহীন তারা গুনে চলা এক যুবক

পর্ব-০১ একটা মেয়ে । আচ্ছা সে নারী, নাকি মায়াবতী? সে কি কংকাবতী, নাকি রাজকন্যা? নাকি পরী? কোন উপমা বলব? শরতের রাতের মেঘহীন আকাশ, নাকি পড়ন্ত বিকেল? কি সে- ভোরের শিশির, নাকি ঝর্ণাধারা? কি বলব তাকে? আমার আরাধনা, আমার কল্পনা, আমার জয়, আমার পরাজয়? নাকি আমার সমস্ত সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না? কোন উপমায় তাকে প্রকৃ্তভাবে উপস্হাপন করা যাবে? বুঝতে পারছি না । আচ্ছা, একটা মেয়ে হ্যাঁ, হ্যাঁ সে একটা মেয়ে...। জানি না সে কি? তবে এতটুকু বলতে পারি, যতগুলো উপমা আমি আমি দিয়েছি, তার সবগুলোই সে । সব উপমা তার জন্য ।

হয়ত এরপরও তার বিশেষণ শেষ হবে না। হ্যাঁ সেই মায়াবতীর কথাই বলছি । কি করেছে সে------? বলছি সব বলছি, ধীরে ধীরে । নিলয় একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে চাকুরী করে । সকালে ঘুম থেকে জেগে সারাদিন কর্মব্যস্ত অফিসে কাজ করে সে ।

এ জায়গায় ও জায়গায় ঘুরাঘুরি । সকালে জেগে ওঠা সুর্যটা সারাদিন তেজদীপ্ত কিরণ ছড়িয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে আসে, ঠিক তখন, ক্লান্ত দেহটা নিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে । উচ্চতর স্তরের কিছুটা দুর্বোধ্য বিষয়ে দু’একটা ক্লাশে শিক্ষকের পঠন মনযোগ সহকারে শেষ করে যখন নিলয় বাসায় ফিরে, ততক্ষণে রাত ন’টা দশটা । তারপর অবসাদগ্রস্হ দেহে আরও কিছুই করার সাড়া পাওয়া মুশকিল । দু’চোখের পাতা বুজতে বারবার কাকুতি মিনতি করতে থাকে ।

খাওয়া দাওয়া শেষে স্বপ্ন দেখার ফুসরত কই? কিন্তু কি হল এই সপ্তাহে? সপ্তাহের সেই শুরুর দিন থেকে ঐ মায়াবতীটিকে স্বপ্নে দেখতে শুরু করেছে নিলয় । স্বপ্নটাও কি সিরিজে দেখা যায় নাকি? হয়ত যায় না । কিন্তু প্রতিরাতেই স্বপ্নে দেখতে শুরু করেছে মায়াবতী মেয়েটিকে । স্বপ্নটা দেখার ধরনটা ভিন্ন । ঘুমানোর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যে স্বপ্নে দেখতে পারে মেয়েটি কে ।

তারপরই ঘুম ভেঙ্গে যায় । রাত দু’টার দিকে সেই যে ঘুম ভাঙ্গে আর ঘুম আসে না । সারাটা রাত এপাশ ওপাশ করেই সকাল । শুধু রবিবার নয়, সোমবার নয়, সারাটা সপ্তাহ এভাবেই কেটে গেল । সারাটা সপ্তাহ যেহেতু অফিস থাকে তাই শুক্র, শনিবার দিনে ঘুমাবার সুযোগ পায় নিলয় ।

আর আজ দুপুরেও ঘুম জেগে উঠল ঐ মায়াবতী মেয়েটাকে স্বপ্নে দেখে । কি হয়েছে নিলয়ের । অথচ আজ থেকে কিছুদিন পুর্বে ঐ মায়াবতী মেয়েটিকে বলেছিন, “আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি । তোমাকে না পেলে আমি মরে যাব” । মেয়েটি শুনে দাঁতে দাঁত চেপে বলেছিন, “তুমি মরে গেলে আমি মসজিদে মিলাদ দেব”।

তারপর বহুদিন দিন নিলয় ঠিকমত কোন কাজই করে না । এক রকম মরেই গেছে । এখন আবার প্রতিদিনই স্বপ্নে দেখতে শুরু করেছে । মাথাটা একরকম নস্ট হয়ে গেছে কি? (চলবে...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।