আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুইরা আসলাম জাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়

জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখতে চাই। গতানুগতিকতার গন্ডি থেকে মুক্তি চাই। এতে হয়তো শুনতে হবে অনেক অপমানের বাণী। ভয় করি না।

হায় হায় হেড লাইনের বানানডা দেহি ভুল হইয়া গেল।

আইচ্ছা হউকগা। মানুষ তো মাত্রই ভুল করে। ম্যান ইজ মর্টাল এইডা তো আমার চেয়ে আপনারা ভাল জানেন। যাক হেইডা বাদ দেই। এইবার আসল কথায় আসি।

আমার এক ফ্রেন্ড বহু দিন যাবৎ ত্যাক্ত বিরক্ত করতেছে যে জাহাংগীর নগর ইউনিভার্সিটিতে যাইব। যাই হোক জাবি নামটা শুনলেই ইদানী কেমন যেন আৎকে উঠি। আফটার অল পত্রপত্রিকায় যা দেখতাছি। যাত্রা শুরু করলাম আমরা দুই বন্ধু। ফার্স্টেই রিক্সা পাই না।

যা পাই ভাড়া শুইনা মাথার চান্দি হট হইয়া যায়। অনেক কষ্টে বাস স্ট্যান্ডে গিয়া বাসে সীট পাইলাম। গিয়া দেখি পুরা বাস ভর্তি মানুষ । আর পিছনে একটা সীট খালি। দেইখা তো আমরা ২ জন ঐ সীটে বইসা পড়লাম।

পাছে যদি কেউ সীট খানা দখল নিয়া নেয়। পরে দেখি সীট খালি নড়ে । একবার সামনে আরেকবার পিছে। অবস্থা বেগতিক দেইখা বুঝলাম কেন এখানে পাব্লিক বসে না। আমরা পিছনে চইলা গেলাম আবার।

এমন সময় নেক্সট বাস স্টপে আরও ২ জন লোক উঠল । হেরাও আমার ঐ নাট-বল্টু ঢিলা সীটে বইসা একবার সাম্নে-পিছে আইতাছে। এই দৃশ্য দেইখা আমারই এক সহযাত্রী আমার দিকে চাইয়া মুচকি হাসি দিল। আমিও হাসি দিলাম এক খানা । যার মানে এইবার বুঝবা বাবাজী কত ধান আর কত চাউল।

বাসে তীল -ধারণের জায়গা নাই। হেল্পার আরও প্যাসেঞ্জার খালি লইতাছে আর লইতাছেই। এমনেই যেই গরম পরচে মনে লইতাছিল যে সিদ্ধ হইয়া শেষ পর্যন্ত আবার বাষ্প না হইয়া যাই। তাইলে তো ডেড বডিডা বাপ-মা দেখব না। যাই হোক অনেক চড়াই -উৎড়াই পার হইয়া অবশেষে জাংগীর নগর থুক্কু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাইলাম।

ঐ খানে পা দিয়াই সবার আগে মনে পড়ল এই খানেই আমাদের সেঞ্চুরিয়ান মানিক অবস্থান করত। স্রদ্ধায় মাথা নত হইয়া গেল এই সেই বিখ্যাত যায়গা যেখানে পেপার খুল্লেই প্রতিদিন এর নাম দেখা যায়। যদিও এখানে তারই উত্তরাধিকার ভাইরা তারই মত সার্ভিস দিতাছে। ছাত্র-লীগ নামে একটা দল নাকি অনেক সক্রিয় এই খানে। হেরা আবার আমাগো পুলিশেরে পিডায় আবার।

আবার কয় এরা একটু বাইরা গেছে তাই সাইজ মত রাখতাছে। ভাল ভাল। দেখলাম ঐখানে দেয়ালে লেখা "সন্ত্রাস মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়তে দলে দলে ছাত্র লীগে যোগ দান করুন"। পুরা দেয়াকে খালি এই চিকা মারা। খাইছে তাইলে যে দেশের কয়ডা বাজব এই নিয়া ভাবতাছিলাম।

রিক্সা নিলাম পুরাডা ক্যাম্পাস আমাগোরে ঘুইরা দেখাইব মামা। রিস্কা ওয়ালা মামা কইল আর কইয়েন না মামু যদি কই যামু না কুনো জায়গায় । তাইলেই আমাগোরে পার্টির মামারা কিমা বানায়া দিব। আমি কই ভাই আস্তে কন। আপ্নাগো লগে আমি আবার কিমা/সালাদ না হইলেই হয়।

পুরা ক্যাম্পাস্টা আসলেই অনেক সুন্দর,। অনেক লেক পুকুর আছে। গাছ-গাছালি ভরা। খুবই চমৎকার মনোরম দৃশ্য। গাছ-গাছালির আর জঙ্গলের চিপার মধ্যে দেখি আমাগো জাবির ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া লেখা করতাছে।

তবে কেউ আইলেই হেগো মনে হয় একটু ডিস্টার্ব হয়। বাহ এই না হয় ক্যাম্পাস। এইখানে শিক্ষকরাও নাকি তাগো লগে সমান তালে তালে আছে। ভাল, ভাল। বিল্ডিং এর সংখ্যা কম হইছে মনে হয়।

তাই ছেলে মেয়ে জংগলে পর্তাছে। যাই হোক এই রকম ক্যাম্পাসে আনন্দময় সময় কাটানোর পরে আবার আমার বন্ধুর লগে ডাক্কা শহরে ব্যাক করলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.