আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মর্ডান সুদ প্রথা যার নাম ব্যাবসা।

আমি একটা কান্ড জ্ঞানহীন, মূর্খ, অশিক্ষিত, আনস্মার্ট, আনকালচার্ড, অভদ্র, বোকা, বলদ, গাধা, আহাম্মক, বদের হাড্ডি।
ভালো লাভবান ব্যাবসা করার জন্য পার্টনার খুজতেছি। আমার মত যারা শুক্রবারের জুম্মাহ্ পরা নামাজী টাইপের মুসলমান তারাও জানি সুধ ইসলামে হারাম করা হইছে। যিনি সুধ নিবেন বা যিনি সুদ দিবেন দুইজনেই সমান অপরাধী। যাইহোক হাদিস কোরআন নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে সরাসরি চলে যাই মেইন পয়েন্টে।

গত কাল এক বন্ধু আসে দেখা করার জন্য। মাস দুইয়েক আগে আমার বন্ধুটি দেশের থেকে ছুটি কাটিয়ে আসে। ছুটিতে যাওয়ার সময় তার ইচ্ছে ছিলোনা আবার এখানে ফেতর আসার। দেশেই কিছু একটা করবে এমন একটা চিন্তাই ছিলো তার মাথায়। তাই গাড়ি দোকান বিক্রি করে চলে যায় ছুটিতে।

ছুটিতে যাওয়ার কারন হচ্ছে যদি তেমন কোন কিছু করতে না পারে তাহলে আবার ফেরত আসবে ভিসাটা নষ্ট করবে না। তিন চার মাস ঘুরে তেমন কিছু করার মত না পাওয়াতে আবার চলে আসা টাই ঠিক মনে করেন। তাই ৫ মাস দেশে ছুটি কাটিয়ে চলে আসেন। বুদ্ধি করে হাতের টাকা গুলো দিয়ে বাড়ির পাসেই একটা ছোট জায়গা কিনে রেখে আসেন। ওর যেই কাজ তাতে ছোট খাটো একটা দোকান আর একটা গাড়ি হলেই ওর ব্যাবসা ভালো ভাবেই চালানো যায়।

পুজি ১৫-২০ হাজার রিয়েল হলেই ওর চলে যাবে। পুরাতন একটা গাড়ি যেটা ৫-১০ হাজার রিয়েলেই নেয়া যায় এখানে। আর বাকি থাকে দোকানের টুক টাক জিনিষ পত্র। যাই হোক টাকা পয়সা কেমন কি জোগার হইলো জানতে চাইলাম। তখনই জানতে পারলাম আসল ঘটনা।

একটা অফিস থেকে টাকা ঋণ করছে লাভ দিতে হবে এমন শর্তে। সিসটেম টা এমন ঐ অফিস সরাসরি টাকা দেয়নি। ১০ হাজার টাকা ঋণ নিতে চাইলে ওনারা ১০ হাজার টাকার পণ্য কিনে দিবেন। ওনাকে দেয়া হইলো ১০ হাজার টাকার কাপড় ধোয়ার গুড়ো সাবান টাইট। যেই দোকান থেকে এই গুড়ো সাবান কেনা হয়েছে ঐ দোনাকের স্লিপ সহ।

এবং ঐ নির্দিষ্ট দোকানদার কে এটা ও বলা আছে এই জিনিষ ফেরৎ দিতে আসলে ফেরৎ নিতে হবে। বিক্রি করা জিনিষ যদি ফেরৎ নেয়া লাগে তাহলে দোকানদারের কি লাভ ?? লাভ আছে দোকান দার এই জিনিষ ফেরৎ নিবে ঠিকই তবে ৯৮০০ রিয়েল দিবে। ২০০ রিয়েল এই দোকান দারের লাভ। সবারই লাভ শুধু যিনি ঋণ নিয়েছেন তার সুধু লস। এবার আসি ঋণ ফেরৎ দেয়ার সিস্টেম।

যিনি ঋণ নিয়েছেন তাকে প্রতি মাসে দিতে হবে ১০০০টাকা করে জমা। মোট ১৫ মাস টাকা দিতে হবে তার মানে ১৫ হাজার রিয়েল। এই ভাবে ১২মাসে ১২ হাজার রিয়েল জমা হওয়ার পর অফিস ঠিক করবে তাকে ১৫ হাজার জমা দিতে হবে নাকি ১৪ হাজার জমা দিলে হবে। যদি নিয়মিত প্রতি মাসে কিস্তি পরিশোধ করেন তাহলে ১ হাজার রিয়েল মওকুফ করা হয়। আর কোন মাসে টাকা না দিতে পারলে ১ হাজার রিয়েলের লাভ ১০০ রিয়েল অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হবে।

তার মানে দারায় পরের মাসে ২১০০ রিয়েল দিতে হবে। আর এমন যদি হয় তাহলে কিস্তি শেষে ১ হাজার রিয়েল মওকুফ নাও হতে পারে। এই টাকা নেয়ার জন্য একজন গেরান্টি দাতা লাগবে। যদি আবার এই টাকা আমি মেরে দেই। আমার দরকার গাড়ি আমাকে দেয়া হচ্ছে টাইট বা চা পাতা।

আমার দরকার টাকা আমাকে দেয়া হচ্ছে গুড়ো দুধ। এখন আমার কথা হচ্ছে এই সিস্টেম কি আসলেই সুদ না ব্যাবসা ?? এই সিস্টেমে টাকা নিলে কি আমার গুনাহ হবে ?? যদি গুনাহ না হয় তাহলে আমি কেন দেশে গিয়ে এমন ব্যাবসা করতেছি না। ভালো লাভবান ব্যাবসা করার জন্য পার্টনার খুজতেছি। টাকা নিয়ে যোগাযোগ করেন আমার সাথে। আমার বলার বা জানার ভুল থাকতে পারে যদি এমন কিছু লেখায় পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে দয়া করে জানাবেন।

ভুল শুধতে নিবো।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।